হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন,ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। আজকে আমি আপননাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ডিজিটাল মানি বা অনলােইন মানি নিয়ে কিছু কথা বলবো। আশা করি সবাই মনযোগ সহকারে পড়ার চেষ্টা করবেন।
বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল যুগ। সবাই সব কিছু ডিজিটাল ভাবে করার চেষ্টা করছে। এখন কম বেশি সবাই একটু পড়াশোনা করার চেষ্টা করে। দেশ বিদেশের খুঁজ-খবর রাখার চেষ্টা করে। রিকশাওলা থেকে ধরে,চায়ের দোকানদার,মুদি দোকানদার, দিন মজুর, কৃষক ভাই,ফুটপাতের ব্যবসায়ী,দর্জি,সেলুনের দোকানের কর্মচারী সবাই মোবাইল ব্যবহার করে। সবাই কিন্তুু চটাং চটাং ইংরেজি বলতে পারে না বা লিখতেও পারে না। কিন্তুু সবাই ইংরেজিতে মোবাইল ব্যবহার করতে পারে। আমার বাবা-মা যারা টিপ সই দিয়ে বিভিন্ন কাজ চালায় তারাও মোবাইল ব্যবহার করে। নরমাল ফোন নয়,অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এটা সম্ভব হয়েছে এক মাত্র চর্চার মাধ্যমে। তাদের কাছে এখন অনলাইন মানিই ভালো। যখন তখন টাকা হাতে পেতে পারে।
এক সময় মানুষ বিদেশ থেকে বা শহর থেকে ডাক টিকেটের মাধ্যমে গ্রামে টাকা পাঠাতো। যার কাছে টাকা পাঠাতো তার কাছে টাকা পৌছতে পৌছতে সময় লাগতো কমপক্ষে সাতদিন,আবার অনেক সময় আরো বেশি দিন লাগতো। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে বিদেশ থেকে বা শহর থেকে মানুষ গ্রামে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ পাঠিয়ে দেয়। যেটা গ্রাহকের কাছে সেকেন্টের মধ্যে পৌছে যায়। আর এটাই হলো ডিজিটাল মানি বা অনলাইন মানি। যখন তখন যেখানে খুশি অর্থ আদান প্রদান করা যায়।
বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে ডিজিটাল মানি বা অনলাইন মানি চালু হয়েছে আরো অনেক বছর আগে। বিশ্বের কয়েকটি দেশ ২০২৪ সাল থেকে তাদের দেশে কাগজের মুদ্রা ছাপানো বন্ধ করে দিচ্ছে। এই দেশ গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি এগিয়ে আছে এশিয়ার দেশ জাপান। তারা ২০২৪ সালে আর কোন নতুন কাগজের মুদ্রা ছাপাবে না। অলরেডি যে কাজগের নোট গুলো রয়েছে সে গুলো ধীরে ধীরে সরকার তুলে নিবে। সবাইকে ডিজিটাল মানি ব্যবহার করার নির্দেশ প্রদান করেছে। সবাই খুশি মনে সেটা ব্যবহার করছে। তাদের সরকার জনগনের জন্য সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে।
আমাদের দেশেও ডিজিটাল মানি চালু হয়েছে তবে সেটা অনেক পড়ে। অন্যান্য দেশে যে পদ্ধতি পুরাতন হয়ে যায় বাংলাদেশে সেটা নতুন করে চালু হয়। আমাদের দেশের অর্থনীতি,মুদ্রা,অনলাইন মার্কেট,অনলাইন মানি এসব নিয়ে কেউ চিন্তা করে না। আমাদের দেশের মন্ত্রী হয় ডিগ্রী পাশ আর এমএ পাশ লোক। তারা বিশ্ব অর্থনীতি আর বিশ্ব বাজার সম্পর্কে কি বুঝবে। তারা তো নিজেদের আখের গোছাতে ব্যাস্ত থাকে,রডের জাগায় বাঁশ দেওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকে।
আমাদের দেশে রকেট,নগদ আর বিকাশ নামে তিনটি ডিজিটাল মানি বা অনলাইন মানির প্লাটফর্ম রয়েছে। তবে তারা জনগনের সেবা বা সুবিধার থেকে নিজেদের স্বার্থ বা সুবিধাই বেশি খুঁজে। গ্রাহক যেভাবে ঠকবে তারা সবসময় সেই চিন্তাই করে। বিকাশের মাধ্যমে এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে এক হাজার টাকা পাঠাতে ১৮ টাকা কিভাবে খরচ হয়.. সেটাই আমার বুঝে আসে না। এই পদ্ধতি গুলো সহজ করার পরিবর্তে তারা আরো কঠিন করছে। এই বিষয় গুলো আমাদের দেশের দায়িত্বে থাকা কাকা বাবুরা দেখে না বা দেখার চেষ্টাও করে না। দেখবে কিভাবে দেখার আগেই যে পকেটের মধ্যে বেনিফিশারী চলে যায়।
যায়হোক সব প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে সব ক্ষেত্রে ডিজিটাল মানি বা অনলাইন মানি বিস্তার লাভ করবে। অলরেডি বিভিন্ন মার্কেট,শপিং মল,রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন জাগায় ডিজিটাল মানি চালু হয়েছে। এখন সর্বস্থরে এই সার্ভিসটা প্রচার প্রসার বা বিস্তার লাভ করার জন্য উপর মহলের সহযোগিতা দরকার। তাদের সৎ ইচ্ছা ও তদারকি দরকার। সেন্ড মানি,ক্যাশ আউট,ট্রান্সফার ফি গুলো কমিয়ে দেওয়া বা ফ্রী করে দেওয়া দরকার। তাহলে ধীরে ধীরে আমাদের দেশ থেকেও কাগজে মুদ্রা উঠে যাবে। সব জাগায় ডিজিটাল মানি চালু হয়ে যাবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server