হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে একটি জেনারেল পোষ্ট শেয়ার করবো। আমাদের জীবন,সময় নিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখবো,আশা করি কথা গুলো পড়লে আপনাদের অনেক কিছু জানা হবে।
পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষ নতুনত্বের পাগল। কেউ কোন কিছুতে স্থীর হতে চাই না। আমরা সবসময় নতুন জিনিষ বা নতুন বিষয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি। তারপর কি হবে,তারপর কে আসবে, এর পরে কি আছে, এই গুলো নিয়েই আমাদের রাত দিন অতিক্রম হয়। আমাদের জীবনটা যেমন সংক্ষিপ্ত,তেমনি পৃথিবীর সব কিছু সংক্ষিপ্ত। আপনি আমি আমাদের চারদিকে তাকালে কত পরিবর্তন দেখতে পায়। কিছু দিন আগে কি ছিল,এখন কি হচ্ছে,ভবিষ্যতে কি হবে, সেটাই সবার চিন্তা ভাবনা। একটি জিনিষ বা একটি বিষয়ের উপর কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের ভালো লাগা চলে যায়। কোন কিছুতে আমাদের মন স্থীর হয় না। আমাদের মন শুধু নতুনত্ব খুঁজে।
একটি খাবার দুই থেকে তিনবেলা ভালো লাগে তারপর আর সেটা ভালো লাগে না। একটি পোষাক একমাস দুই মাস পড়তে ভালো লাগে তারপর আর সেটা পড়তে মন চাই না। যাদের কাছে অর্থ আছে,সামর্থ আছে তারা মিনিটে মিনিটে,ঘন্টায় ঘন্টায় জিনিষ পত্র পরিবর্তন করে। আকাশের রংয়ের মত আমাদের মনের পরিবর্তন হয়। কখন কি মন চাই সেটা কেউ জানে না। জীবনের প্রথম দিক দিয়ে একটি লক্ষ থাকে,জীবনের মাঝখানে এসে আবার লক্ষ পরিবর্তন হয়ে যায়। জীবনের শেষের দিকে এসে আবার অন্য লক্ষ চলে আসে। এটা কেউ ইচ্ছা করে না করলেও অটোমেটিক চলে আসে। সময়,পরিস্থিতি সেটা পরিবর্তন করতে বাধ্য করে।
একজন মানুষ যতই আলোচিত থাক,নির্ধারিত একটি সময়ের পরে সে আর আলোচনয় আসে না। একসময় যার জন্য মানুষ পাগল থাকে,নির্ধারিত একটি সময় অতিক্রম হওয়ার পরে কেউ তার খবরও রাখে না। আমার কাছে সব থেকে বেশি অবাক লাগে আমাদের নিজের জীবনের দিকে তাকালে। জীবনের প্রথম দিকে কেমন ছিলাম,কি হচ্ছি,ভবিষ্যতে কি হবো, সেটা চিন্তা করলে অবাক লাগে। কত জাগায় কত মানুষের সাথে সময় অতিবাহিত করেছি। আজকে তারা কোথায়,আমি কোথায় সেটা চিন্তা করলে মন ভারাআক্রান্ত হয়ে উঠে। সব কিছু এত সংক্ষিপ্ত কেন। কেন জীবন এত তারাতারি শেষ হয়ে যায়। কেন সব কিছুর স্থায়িত্ব এত অল্প...।
সকাল আটটার সময় তরিগরি করে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে হতে নয়টা বেজে যায়। দৌড়ে অফিসে এসে ডেস্কে বসে হাতের কিছু কাজ করতে করতেই লাঞ্চের সময় হয়ে যায়। নামাজ পড়ে লাঞ্চ করে কিছুক্ষন কাজ করলেই আসরের আজান,নামাজ। তারপরে অল্প সময় পরেই মাগরিবের আজান হয়ে যায়। মাগরিবের নামাজ পড়ে বসে বসে চিন্তা করি দিনটা তো শেষ হয়ে গেল। বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমালেই রাত শেষ হয়ে সকাল হয়ে যায়। আবার শুরু হয় যুদ্ধ, চোখের পলকে সময়,দিন,মাস,বছর চলে যাচ্ছে। কয়দিন আগে চাকরিতে জয়েন দিলাম দেখতে দেখতে আট বছর চলে গেছে। কয়দিন আগে বিয়ে করলাম, আর এখন দুই বছর হতে চললো। জীবন থেকে সময় যেন পাগলা ঘোড়ার মত দৌড়াচ্ছে। ঘড়ির কাটার মত দৌড়ে জীবন অতিবাহিত করছি। যদি বাংলাদেশের গড় আয়ু অনুযায়ী ৬০ বছর বেছে থাকি তাহলে জীবনের প্রায় অর্ধেক চলে যাচ্ছে।
সৃষ্টিকর্তা মানুষকে কেন এত কম সময় দিয়ে পৃথিবীতে পাঠালো। কেন আমাদের দিন গুলো লম্ব হয় না,কেন আমাদের জীবনটা আরো ধীর্ঘ হয় না। কেন আমাদের শরীরে অতি তারাতারি ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। বয়সের ছাপ শরীরে,চেহেরায় পড়তে শুরু করেছে। কাছের মানুষ গুলো ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও বিলুপ্ত হওেয়ার সময় চলে আসতেছে। এক সময় চিন্তা করি কেন আমি এত তারাতারি দুনিয়াতে আসলাম। আরো পরে আসলে হয়তো আরো অনেক কিছু দেখতে পেতাম। যখন কোন বাচ্ছা দেখি তখন নিজেই বাচ্ছা হতে মন চাই। নিজের বয়সকে কমাতে মন চাই। সবাই তার নিজের বয়সকে লুকিয়ে যৌবনকে ধরে রাখতে চাই। কেউ এত তারাতারি পৃথিবী থেকে যেতে চাই না। সবাই চায় পৃথিবীতে শত শত বছর ধরে বেঁচে থাকতে কিন্তুু সেটা তো অসম্ভব।
আমরা যখন কোন জিনিষ ক্রয় করি বা কোন জিনিষ তৈরী করি, সেটার স্থায়িত্ব কামনা করি। কিন্তুু আমাদের মনের কথা সেটা শুনে না। নির্ধারিত একটি সময়ের পরে ক্ষয় শুরু হয়। ধীরে ধীরে ধ্বংসের ধারপ্রান্তে চলে যায়। আমরা খুশির সময়টা ধরে রাখার চেষ্টা করি, কিন্তুু সেটা আরো তারাতারি শেষ হয়ে যায়। নিজের অজান্তে প্রিয় জিনিষের ক্ষয় শুরু হয়। বাস্তবতা হলো আমরা যেটা না চায় সেটাই হয়। আমরা যেটা চাই সেটা সবসময় হয় না। প্রত্যেকটা মাসের এক তারিখ যখন আসে তখন আফসোস করি,নিজের জীবন থেকে একটি মাস চলে গেলো। যখন নতুন বছর উৎযাপন করি তখন মনে মনে চিন্তা করি জীবন থেকে একটি বছর চলে গেল।
মাঝে মাঝে শুয়ে শুয়ে নিজের অতীত জীবনে হারিয়ে যায়। মন চাই আবার ফিরে যায় সেই অতীত জীবনে। মন চায় আবার স্কুলে যেতে,কলেজে যেতে,বন্ধুদের সাথে মিশতে। মন চাই স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়াতে। অথচ দেখতে দেখত জীবনটা দায়িত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে গেলো। মন চাইলেও এখন কোথাও যাওয়া যায় না। নিজের চাওয়া পাওয়াও সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। সব সময় মনের মাঝে একটি প্রশ্ন জেগে উঠে সব কিছু এত সংক্ষিপ্ত কেন......।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সবকিছু এত সংক্ষিপ্ত কেন শিরোনামে ভালো একটি পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া। একদম ঠিক বলেছেন,জীবন থেকে সময় যেন পাগলা ঘোড়ার মত দৌড়াচ্ছে।মানুষও দৌড়াচ্ছে। কে কার আগে যাবে চলছে প্রতিযোগিতা। সবকিছুর শেষ আছে বলেই সংক্ষিপ্ত মনে হয়। অপূর্ণ থেকে যায়। পোস্টটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার দেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু বিষয় গুলো বুঝার আগেই জীবনটা কেমন যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে। অবাক লাগে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি আজকে একদম বাস্তবিক কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। আসলেই ঠিক আমরা প্রতিনিয়ত সবকিছুই চেঞ্জ করে চলেছি। এমনকি কে কতটুকু কি ব্যবহার করছি তার কোন হিসাব নেই। আসলে আপনার কথা গুলোর মত যদি কেউ হিসেব করে চলত তাহলে হয়তোবা সবকিছু আরো সুন্দর হতো। কিন্তু কারো তো এরকম ভাবে ভেবে চলার মত সময় নেই। তবে আপনার কথাগুলো পড়ে অনেক কিছুই অনুধাবন করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু সবাই যার যার মত ব্যস্ত। আর সময়ও পার হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit