হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। সব সময় ভালো থাকেন,সুস্থ থাকেন, আনন্দে থাকেন, সেই কামনাই করে থাকি। আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে ভ্যালেন্টাইন'স ডে উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন ১৪ ফেব্রুয়ারি হলো বিশ্ব ভালোবাসা দিবস তথা ভ্যালেন্টাইন’স ডে। এই ভ্যালেন্টাইন ডে কোথায় থেকে, কিভাবে শুরু হয়েছিল আমরা অনেকেই হয়তো জানেন। তাই আমি সেই ইতিহাস বা গল্প এখানে শেয়ার করতে যাচ্ছি না। শুধু একটি বাক্য এখানে তুলে ধরছি যে, ভ্যালেন্টাইন ডে শুরু হয়েছিল অত্যাচারী রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লাডিয়াস এবং খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে দিয়ে। ভ্যালেন্টাইন আর জুলিয়ার প্রেমের কাহিনী দিয়েই ভালোবাসা দিবস শুরু হয়। বিভিন্ন মানুষ ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস বিভিন্নভাবে দিয়ে থাকে। তবে মূল কথা হল ভ্যালেন্টাইন ডে তে প্রেমিক প্রেমিকা,স্বামী স্ত্রী, ছাত্র শিক্ষক, ফ্রেন্ড সার্কেল, ছোট বড় সবাই নিজেদের আপনজনকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পারে। এখানে কারো জন্য কোন নিয়ম নীতি বা সীমাবদ্ধতা নেই। তাছাড়া নিজের আপনজনদের প্রতি সারা বছরই ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়। তারপরেও কালক্রমে ১৪ ফেব্রুয়ারি কে ভালোবাসা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বের মানুষ পালন করে আসতেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে সরকারি বেসরকারি সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে আমাদের দেশে সরকারিভাবে এই দিবসটি পালন করা হয় না। সবাই নিজেদের মতো করে পালন করে থাকে। ভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্ট পার্ক, বিনোদন স্পট গুলো নিজেদের মত করে আয়োজন করে,দিবসটি পালন করে থাকে। আমাদের বাসার পাশেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। যেটা চাষাড়া মোড়ে অবস্থিত। সাধারণত নারায়ণগঞ্জের সরকারি বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান অথবা দল যেকোনো অনুষ্ঠান সেই শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজন করতে পারে। ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। আমি সাধারণত ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কোন দিবস বা অনুষ্ঠান পালন করি না। তবে ওইদিন কিভাবে যেন সন্ধ্যার দিকে চা খাওয়ার জন্য হাঁটতে হাঁটতে শহীদ মিনারের দিকে গেলাম। গিয়ে দেখি সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। যার ফলে একটু ভিতরে এগিয়ে গেলাম।
![03.PNG](UPLOAD FAILED)
আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা প্রায় সময় সেখানে আড্ডা দেওয়ার জন্য যায়। সেখানে রং চা, মালটার চা, দুধ চা, কফি সহ অনেক স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায়। আমরা প্রায় সময় সেখানে গিয়ে সময় কাটাতাম। তবে আজকের চিত্রটা একটু ভিন্ন ধরনের ছিল। গিয়ে দেখি শহীদ মিনার কে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষের ভিড় রয়েছে। সবাই শহীদ মিনারের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি প্রথমে সেখানে গিয়ে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম। মানুষের জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই দুর থেকেই কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।
![04.jpg](UPLOAD FAILED)
গিয়ে দেখি একজন শিল্পী একটি গান গাচ্ছে। গানের প্রথম লাইনটি ছিল, "এই মরার দেশে আর ভালো লাগেনা"। গানটি এতই হিট হয়েছিল যে ওইখানে যতগুলো দর্শক ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ দর্শক ওই গানের তালে তালে নাচতে শুরু করেছিল। আপনারা ভালো করে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন যে শিল্পীটি গান গাচ্ছে, সে একটি কালো লুঙ্গি আর একটি গেঞ্জি পরিহিত। আর বিশাল বড় বড় দাড়িও রয়েছে। শিল্পীর বয়স আনুমান ৪৫ থেকে ৫০ হবে। কিন্তু তার গলার মধ্যে গানের এত সাউন্ড যা বলে বুঝানো যাবে না। সেও গানের তালে তালে নাচতেছিল। একটি গান শেষ করেই দর্শকদের উদ্দেশ্য করে চটাং চটাং ইংরেজিতে কথা বলতেছিল।
আমরা দুই বন্ধু সেখানে দাঁড়িয়ে দুইটি গান শুনেছিলাম। দ্বিতীয় গানটি ছিল "রেড মাওলানা" নামের একটি গান। মোটামুটি অনেক মানুষ সেখানে জমায়েত হয়েছে। যেকোনো দিবসের অনুষ্ঠান সেখানে করা হয়। গানের সাথে বাদ্যযন্ত্র গুলো দারুন সাউন্ড করছিল। যারা বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছিল তাদেরও লম্বা লম্বা চুল ছিল। গানের স্টেজ তথা শহীদ মিনারটি খুব সুন্দর ভাবেই সাজানো হয়েছে। সাড়ে দশটা নাগাদ দাড়িয়ে থেকে পেটে খিদা লেগে গেছিল। তাই সুলতাইন ডাইনে কাচ্চি খেতে চলে গেছিলাম,হা হা হা। ধন্যবাদ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ভ্যালেন্টাইন'স ডে উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখার অনুভূতি।। |
স্থান | কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, নারায়নগঞ্জ ,ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১৫/০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
Ramim Hasan, [2/23/2024 10:09 PM]
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server