আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি আজকে আপনাদের সাথে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর ভ্রমনের ষষ্ট পর্ব শেয়ার করবো। আজকের পর্বে দেখতে পারবেন নবাবদের ব্যবহৃত পুরাতন অনেক জিনিষ পত্র। আজকে আমি এমন কত গুলো জিনিষের ফটো শেয়ার করবো যে গুলো আপনারা কখনো কল্পনাও করেন নাই। জিনিষ গুলো দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি। তৎকালিন সময়েও এসব জিনিষ ছিল।
আমি জানতাম পানির ফিল্টার আবিষ্কার হয়েছে দশ পনের বা বিশ বছর আগে। কিন্তুু জাদুঘরে গিয়ে দেখলাম আরো দুই তিন শত বছর আগের পিতলের পানির ফিল্টার। ছোটখাটোর মধ্যে দেখতেও অনেক সুন্দর। আরো দেখলাম দুই তিনশত বছর আগের হারিকেন। যদিও হারিকেন গুলো কিছুটা নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও সুন্দর ভাবেই বুঝা যায়। সৃষ্টির পর থেকে পরিবর্তন হয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। এখন তো হারিকেন পুরোপুরি ভাবে বিলপ্ত হওয়ার পথে দাড়িয়ে আছে।
আরো দেখলাম নবাবদের ব্যবহৃত পানির গ্লাস,মগ ও বৈদ্যুতিক লাইট। টমাস এডিসন দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করার পরেই রাজা বাদশা বা নবাবরা এগুলো বিদেশ থেকে কিনে নিয়ে আসতেন। এছাড়াও আরো কিছু জিনিষ রয়েছে যে গুলোর নাম আমি জানি না। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখার সাথে সাথে বর্ণনা উপস্থাপন করতেছি।
এটি একটি পিতলের চায়ের কেটলি। আগে তো সিলভার বা প্লাষ্টিক ছিল না। খাটিঁ পিতল দিয়ে বানানো হয়েছে এই চায়ের কেটলি টি। নবাবরা এই চায়ের কেটলি ব্যবহার করেছেন। এখন স্মৃতি হিসাবে জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
পিতলের পানির ফিল্টার। এগুলো ভাবা যায়,তৎকালিন সময়ে পিতল দিয়েও পানির ফিল্টার তৈরী করা হয়েছিলো। রাজা বাদশাদের কাজ,যেখানে যেটা দেখেছে,সেটােই নিয়ে এসেছে। টাকা পয়সার তো আর অভাব ছিল না। জনগনের খাজনা তুলে ভালই ভোগবিলাস করেছে।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
কালো কালারের জিনিষটা হলো পানির পাত্র। তৎকালিন সময়ে এটিকে পানির মস্ক বলা হতো। আর সাদাটা হলো সিমেন্টের তৈরী পানির ফিল্টার। আগে তো ফ্রিজ ছিল না। পানি ঠান্ডা রাখার জন্য এগুলো ব্যবহার করা হতো। এগুলো এখনো মাঝে মাঝে দেখা যায়।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৩৫ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
এটি সম্ভবত একটি লাইট। কেরোসিন দিয়ে এই লাইট গুলো জালানো হয়। আমরা তো কেরোসিনের কুপি বাতি জালাতাম। আম্মু শখ করে একদিন একটি পিতলের কুপি বাতি কিনেছিলন। কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো চোরে সেই কুপি বাতিটা চুরি করে নিয়ে গেছে।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৩৫ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
এটা কি আমি সঠিক ভাবে বুঝতেছি না। এগুলো দিয়ে কি করতো। মুড়ি ভাজতো না কি কোন কিছু বানাতো কিছুই মাথায় ঢুকছে না। আমার যতটুকু ধারনা এই দুইটি জিনিষ এক সাথে করে কোন কিছু বানানো হতো। দুটো জিনিষই লোহা দিয়ে তৈরী।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
এই ফটোগ্রাফির মধ্যে দুইটি ফ্যান দেখা যায়। একটি হলো ইলেকট্রিক ফ্যান আর একটি হলো তরল পদার্থ দিয়ে চালিত ফ্যান। ইলেকট্রিক ফ্যানটি খুলে গেছে। আর তরল পদার্থ দিয়ে চালিত ফ্যানটি এখন অক্ষত অবস্থায় আছে। তৎকালিন সময়ের টেবিল ফ্যান বলা যায় আর কি।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
এগুলো হলো নবাবদের ব্যবহৃত পানি পান করার গ্লাস। এ টু জেট নবাবদের ব্যবহৃত যাহা কিছু আছে সব কিছুই জাদুঘরে সংরক্ষন করা আছে। অনেক বিদেশি মানুষও এগুলো দেখার জন্য বাংলাদেশে আসে। পৃথিবীতে কত কিছু যে আছে,তার কোন হিসাব নেই। জীবনে কিছুই দেখতে পারলাম না।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
এটি সেই হারিকেন। তৎকালিন সময়ে কয়েক প্রকারের হারিকেন ছিল। আর সে গুলো অনেক বড় বড় ছিল। এগুলো থেকে পরিবর্তন হয়ে বর্তমানের রুপে এসেছে। এখনো গ্রামগঞ্জে গেলে হারিকেনের দেখা পাওয়া যায়। এগুলো সবই এখন স্মৃতি।
তারিখ-২১-০২-২০২৩
সময়-বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিট।
স্থান-আহসান মঞ্জিল জাদুঘর,আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন বিষয় নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। ভূল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইল। সবাইকে ধন্যবাদ ।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
জাদুঘরের নাম | আহসান মঞ্জিল জাদুঘর |
স্থান | আহসানুল্লাহ রোড,নওয়াব বাড়ি, ঢাকা । |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ২১-০২-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আসলে আগেরকার সময়ের রাজা বা জমিদাররা এতটাই বিলাসবহুল জীবনযাপন করত সেটা শুধুমাত্র মিউজিয়ামে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় বা বোঝা যায়। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা জিনিসই আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। তবে সবথেকে যেটা বেশি আকর্ষণীয় লাগলো, সেটা হল তরল পদার্থ দিয়ে চালিত ফ্যান। সেই সময়ও মানুষের মাথায় কত বুদ্ধি ছিল যে এরকম করে জিনিস তৈরি করত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী ভাইয়া সেই সময়ও মানুষের মাথায় কত বুদ্ধি ছিল। আমার কাছেও ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit