আমাদের মাতৃভাষার কমিউনিটি-
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের জন্য ডিজিটাল মুদ্রা বা সিবিডিসির বিষয়ে একটি আপডেট নিউজ শেয়ার করতে চলে এসেছি। আপনারা জানলে খুশি হবেন যে, বর্তমান বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দেশ পুরোপুরি ভাবে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করেছে। ২০২৫ সালকে ডিজিটাল মুদ্রার গোল্ডেন বর্ষ হিসাবে অবহিত করা হয়েছে। এই মুদ্রা হলো প্রত্যেকটা দেশের নিজস্ব মুুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ। যে দেশ গুলো ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে তারা বিশ্ব অর্থনীতির ৯৮ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। এই মুদ্রা বিশ্বে পরিচিতি পাচ্ছে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সিজ বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিজিটাল মুদ্রা নামে। যে তিনটি দেশ পুরোপুরি ভাবে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করেছে তারা হলো চীন, বাহামা ও নাইজেরিয়া।
আপনারা হয়তো অনেকেই দেখেছেন দিন দিন বিটকয়েনর অগ্রগতি বাড়ছে। এই বছরই গত মার্চ মাসে বিটকয়েনের দাম প্রায় $74000 পৌচে গেছিলো। গতকালও এই সংখ্যাটার কাছাকাছি চলে গেছে। এখন এই বিটকনের জনপ্রিয়তা বৃ্দ্ধির কারনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবীদরা নিজেদের দেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। বর্তমানে কেউ আর কাগজেরর নোট চাই না। কেউ নোট ক্যারি করতে চাই না। যার ফলে প্রত্যেক দেশই অনলাইন ভিত্তিক লেনদেন চালু করেছে। এখন বিটকয়েনর হুমকি স্বরোপ সবাই ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার উদ্যোগ গ্রহন করছে।
এখন পর্যন্ত ৪৪টি দেশ পরীক্ষামূলকভাবে নিজেদের দেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালু করেছে। বিশেষ করে চীন, বাহামা, জ্যামাইকা ও নাইজেরিয়ায় এই মুদ্রায় লেনদেন চলছে। অন্যদিকে রাশিয়া মস্কোর মেট্রোব্যবস্থা ও কিছু কিছু পেট্রলপাম্পে ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার শুরু করেছে। আবার ইরান, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং ও সৌদি আরব খুব শীগ্রই ডিজিটাল মুদ্রা চালু করতে যাচ্ছে। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদ মনে করেন ইউক্রেন রাশিয়া, গাজা, লেবানন ও ইসরাইলের যুদ্ধের কারনে বিভিন্ন দেশ ডিজিটাল মুদ্রা চালুর বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। এসব দেশের যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গেলে মোটামুটি বিশ্বের অনেক দেশই ডিজিটাল মুদ্রা চালু করবে।
যুগ পরিবর্তন হচ্ছে, মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হচ্ছে। কেউ আর কাগজের নোটে লেনদেন করতে চাই না। মানুষ দিনকে দিন নতুনের দিকে আকৃষ্ট হতে যাচ্ছে। তবে ডিজিটাল কারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা চালুর বিষয়ে উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে আমেরিকা সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তারা এখনও ডিজিটাল মুদ্রা চালুর বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে। তবে কিছু কিছু প্রদেশে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর বিষয়ে প্রক্রিয়া চালু করেছে। সবাই মনে করছে ২০২৫ সালের শেষের দিকে বিশ্বের সব মানুষ ডিজিটাল মুদ্রার ব্যাপারে জেনে যাবে। যেহেতো এটা অধুনিক যুগ, অলাইন যুগ তাই সবাই মুহূর্তে আপডেট চাই। আর ডিজিটাল মুদ্রা হলে খুবই সহজে সব কিছুর আপডেট পাওয়া যায়।
ডিজিটাল মুদ্রার মধ্যে BTC, ETH, BNB, SOL, USDC, USDT, STEEM, HIVE, DOGE এগুলো সব থেকে বেশি পরিচিত। এগুলো বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সাথে কনবার্ট করা যায়। আবার যে কোন ডিজিটাল মুদ্রা USDT বা USD এর সাথে কনবার্ট করে বাইসেল করা যায়। যদি বিষয় গুলো মনযোগ সহকারে দেখা হয় বা আলোচনা করা হয়। তাহলে কঠিন কিছু না। তবে বেশি দিন বাকি নেই যে, ডিজিটাল মুদ্রা বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পরবে। দুই বছর আগে আর পরে বিশ্বের সব ব্যাংকেই ডিজিটাল মুদ্রা চালুর করবে।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের ডিজিটাল মুদ্রার বিষয়ে মূল ব্লগ। আশা করি ব্লগটি পড়লে সব কিছু সহজ ভাবেই বুঝতে পারবেন। তো বন্ধুরা আজকে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP