আপনি এই ঘটনার বিস্তারিত পড়তে পারেন Zee News এ।
সাম্প্রতিক সময়ে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তদন্ত শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। এই অভিযোগটি এক মহিলা কর্মচারীর দ্বারা করা হয়েছে, যিনি রাজভবনের কর্মী ছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, বোস তার প্রতি অশালীন আচরণ করেছিলেন, যা রাজ্যের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষাপট
মহিলা কর্মচারীর অভিযোগ অনুযায়ী, রাজভবনের মধ্যে বেশ কয়েকবার বোসের দ্বারা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। এই অভিযোগগুলি প্রকাশ্যে আসার পর, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক কর্মীরা এই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি অভিযোগটি নিয়ে সরব হয়েছেন এবং যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
রাজ্যপালের প্রতিক্রিয়া
সি ভি আনন্দ বোস এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন এবং বলছেন যে এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তিনি বলেছেন যে, তার সাংবিধানিক সুরক্ষা থাকার কারণে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করতে পারবে না এবং আদালতও কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। বোসের মতে, এই অভিযোগগুলি তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত
সর্বোচ্চ আদালত অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্তের অনুমতি দিয়েছে। আদালত বলেছে যে, কোনও ব্যক্তির সাংবিধানিক পদমর্যাদা থাকলেও, তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর, রাজভবনের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পর, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অভিযোগের তদন্তের জন্য রাজভবনকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, মহিলাদের সম্মান রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব এবং কোনও অবস্থাতেই মহিলাদের প্রতি অবিচার সহ্য করা হবে না।
সমাপ্তি
এই ঘটনা আমাদের সমাজের একটি বড় সমস্যা তুলে ধরেছে। মহিলাদের প্রতি যৌন হেনস্থার অভিযোগগুলি দ্রুত এবং নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা উচিত। সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি প্রমাণিত হলে, তাকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। এই তদন্তের মাধ্যমে আমরা একটি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারি এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করতে পারি।