আসসালামু আলাইকুম,
কেমন আছেন সবাই? অনেকদিন পর আসলে। অফিসের কাজ নিয়ে এত বেশী ব্যস্ত এখানে লিখার সময়টুকু আসলে পারছিনা। অনেক দিন আপনাদের ছেড়ে থাকতে থাকতে আসলে ভাল লাগতেছিল না, তাই আজকে কিছু লেখার চেষ্টা করলাম। আশা করছি ভালোই লাগবে আপনাদের। মূলত আমি আজকে শেয়ার করব আমার ঢাকা ভ্রমনের কাহিনী। আপনারা জানেন গত কিছুদিন আগে অফিসের মিটিং এ আমি দুদিনের জন্য ঢাকা গিয়েছিলাম। এ দুই দিনে ঘটে যাওয়া ঢাকার কিছু কাহিনী আজকে সবার সামনে তুলে ধরব।
ঢাকার কাজের জন্য কক্সবাজার থেকে আসলে দুই দিন আগেই চট্টগ্রাম আসি।
যেদিন ঢাকা যাব মূলত চট্টগ্রাম থেকে গাড়িতে উঠছে উঠে চট্টগ্রাম স্টেশন রোড থেকে রাত ১১ঃ৩০ এ গাড়ি ছিল। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা নয়াবাজার এলাকায় গাড়ি থেকে নামলাম। যেহেতু অনেক সকাল রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ খুব কম। তো রাস্তার পাশ ধরে হাঁটা শুরু করলাম। আমি যাব মূলত বনানী ২৭ নাম্বার রোড ১৭ প্লটে
এটি মূলত একটি সংরক্ষিত এলাকা। রাস্তার দুধারে শুধু পুলিশ। এলাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অফিস বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতদের বাসা। সকালে যখন যাচ্ছিলাম রাস্তার দু'পাশে সম্পূর্ণ খালি কিছুদূর গিয়ে গিয়ে পুলিশ দেখা যাচ্ছে। তো ছবি তোলার সময় একটু একটু মনে মনে ভয় হচ্ছিল, ভয় হচ্ছিল কারণ পুলিশ আবার কি ভেবে বসে।
ফাঁকা রাস্তা পার হয়ে কিছুদূর আসার পর দেখলাম একটা লেকের মত। দেখতে ভাল লাগল তাই ছবিতে বন্দি করে নিলাম
আর কিছুদূর আসার পর দেখলাম এখানে বিভিন্ন পাখির ছবি মূর্তির মত করে গোলাকারে রাস্তার মাঝখানে ডিজাইন টা করা হয়েছে। দেখতেও বেশ ভালই লাগছে এটাও ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম।
অবশেষে বনানী ২৭ নম্বর রোডে পৌছালাম হোটেলে ঢোকার পর হোটেল থেকে জানালো রুমে ইন করতে পারব দুপুর ২ঃ৩০ এর পর। যখন আমি হোটেলে প্রবেশ করেছিলাম তখন বাজে মাত্র সকাল ৬ টা। কি করব তখন সোফায় বসে ছবিটা তুলেছি। আর অপেক্ষা করছিলাম কখন রুম ইন করতে পারবো। রিসেপশনে থাকা ব্যক্তি দ্রুত চেষ্টা করছিল আমি যে রুমে যাব, রুমটা খালি করার জন্য। রুমগুলো আমাদের জন্য বুকিং করেছে মূলত ডোনার থেকে।
খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন ২য়দিন থেকে হোটেলেই ছিল। কিন্তু আমি যেদিন আমি ইন করি সেদিন এর কোন খাবার হোটেলে ছিলনা। পরের দিন থেকে আসলে হোটেলে খাওয়া যাবে। যেদিন উঠলাম সেদিন দুপুরে খাওয়ার জন্য বাইর হইলাম। বাহির হয়ে একটু সামনে এসে দেখলাম রাস্তার মাঝে সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাচ্ছে বিরানি তেহেরি এসব।
তা আমিও রাস্তায় দাঁড়িয়ে একজনের কাছ থেকে খেয়ে নিলাম।
বিকালের দিকে যখন হোটেল থেকে বাহির হলাম রাস্তার পাশে দেখলাম আনারস বিক্রি করছে। আমি প্রায় সময়ই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আনারস খায়। আজকে আনারস দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না অল্প কিছু খেয়ে দেখলাম।
রাতে যখন খাওয়ার জন্য বের হলাম। দেখলাম দুপুরের মতো ওরকম রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা নাই। আমি যে হোটেলে অবস্থান করছি তারপাশেই এই হোটেলটা। আমরা চট্টগ্রামের মানুষ মেজবান খেতে বেশি পছন্দ করি। তখন এর নাম দেখে ভালো লাগলো তখন আমি এবং আমার একাউন্টস অফিসার হোটেলে গেলাম এবং আমাদের চট্টগ্রামের প্রিয় খাবার মাংস সেটা দিয়েই রাতের খাবার শেষ করলাম।
এ ছিল মূলত আমার ঢাকার প্রথম দিনের কাহিনী। আশা করি যারা সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়েছেন তাদের খানিকটা হলেও ভালো লেগেছে। তোর ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ দেখা হবে দ্বিতীয় পার্টে।
আপনার ঢাকার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে খুবই ভালো লাগলো ।তবে আশা করছে ঢাকার জ্যাম আপনার তেমন ভাল লাগেনি। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি আশা করছি। আপনি চট্টগ্রামের প্রিয় খাবার দিয়ে রাতের খাবার শেষ করেছেন দেখে ভালো লাগল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit