আসসালামু অলাইকুম/আদাপ,
কেমন আছেন সবাই।আশা করছি ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ,ভালো আছি।হঠাৎ করেই ব্যক্তিগত কাজে গাইবান্ধা জেলা শহরে যাওয়া।পৌছানো মাত্রই বালুঝড়ের কবলে পড়লাম।তাই বালুঝড় নিয়েই সাজানো হলো আজকের পর্ব।তো শুরু করা যাক।
গাইবান্ধা সদরে হঠাৎ করেই ধূলিঝড় শুরু হয়েছে।সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে গাইবান্ধা সদর ও তার আশেপাশের এলাকায় কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়।কিছুক্ষণ পর শুরু হয় প্রচণ্ড বাতাস ও ধূলিঝড়।শহরে থাকা রাস্তায় চলাচলে মানুষগুলো দিগ্বিদিক ছুটতে শুরু করেছে।সে মুহূর্তে আমি যানবাহন থেকে নেমে শহরের পৌঁছেযাই।চারদিকে ধুলোবালি উড়ছে চোখ মুখ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।
রাস্তার মানুষগুলো যানবাহন থেকে নেমে গন্তব্যের দিকে দ্রুত ছোটাছুটি করছে।শহরের অটোগুলো মোড়ে এসে আটকা পড়েছে।মনের ভিতরে ভয় হচ্ছে কখন জানি ঝড়ো হওয়া তুফান বইতে শুরু করে।
আমি ঠিক গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সামনে অবস্থান করছিলাম।রাস্তার উপর প্রচন্ড বেগে ধুলাবালি উড়তে শুরু করেছে।রাস্তার পাশ থেকে ওপাশে যাওয়াই যাচ্ছিল না।খুব কষ্ট করে কোনোমতে এক মিনিট হেঁটে রেল লাইনের উপরে অবস্থান করলাম।সেখান থেকে ধুলাবালি উড়ার মুহুর্তে কিছু ছবি নিয়ে নিলাম।
কিন্তু পরিস্থিতিতে এমন খারাপ হচ্ছিলো যে রাস্তার উপড় অবস্থান করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল।উপায় অন্তর না দেখে গন্তব্যের দিকে রওনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।অটোতে বসলাম কিন্তু যাত্রী নাই।গাছের ডালপালা এবং পাতা পড়ে রাস্তা ভরে গেছে।থমকে থমকে ধুলো ঝড় বইছে।মাঝেমধ্যেই বাতাস কুন্ডুলি আকারে ধুলো-ময়লা নিয়ে ধেঁয়ে আসছে।যাত্রী হয়ে গেলো।ধুলোবালির বাতাসে শহরের খন্দকার মোড়ে নামলাম।সেখানে দেখলাম রিক্সাওয়ালারা রিক্সা নিয়ে দিকবিদিক চেয়ে আছে।মানুষ ছুটাছুটি করছে।আমার অফিসের পাশেই চায়ের দোকানে দাড়ালাম।অপেক্ষা করছি কলিগদের সাথে দেখা করার জন্য।রাস্তার পাশের গাছ থেকে পাতাগুলো ঝড়ে পড়ে জড়ো হয়ে গেছে।গাড়িগুলো তাড়াতাড়ি করে যেতেই জ্যাম লেগে গেলো।আমি দোকানের পাশে নিরাপদে দাঁড়িয়ে আছি।
পরে খবর নিয়ে জানা যায়,গাইবান্ধা জেলার অধিকাংশ অঞ্চল বালুঝড়ের কবলে পড়েছে।তবে এতে হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায় নাই।গাছপালাসহ আবাদী জমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
সন্ধ্যা নামার আগেই অফিসে ঢুকলাম।যেহেতু চাকুরী ছেড়ে দিছি তাই সাবেকদের সাথে আলাপ হলো।দেখি সবই আগের মতো আছে।সুন্দর আপ্যায়ন আর ভালবাসায় আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।এমন আতিথেয়তায় মন ভরে গেলো।এরপর অফিস থেকে নেমে ব্যক্তিগত কিছু কাজের জন্য শহরে গেলাম।কাজ শেষ করে সাবেক কলিগদের নিয়ে নাস্তার জন্য অফিসের পাশের রেস্টুরেন্টে বসলাম।
সবাই মিলে গরম মোগলাই খাওয়া হলো।তারপর মনমাতিয়ে আড্ডা।ততক্ষণে আবহাওয়া শান্ত হয়েছে।রাত বেশি হওয়ায় তাদের আবাসিকে থাকা হলো।সব মিলিয়ে যাওয়ার শুরুটা ধুলাঝড়ের মধ্যে হলেও শেষটা খুবই আনন্দঘন হয়েছিলো।রাতে রুমেও ব্যাপক আড্ডাবাজি করলাম।
ভালো থাকার শুভ প্রত্যয়ে,আজ এখানেই শেষ করছি।দেখা হবে পরবর্তী কোন গল্পতে।সে পর্যন্ত ভালো থেকো,সুস্থ্য থেকো,নিরাপদে থেকো,প্রিয় প্লাটফর্ম@amarbanglablog
বিষয় | ধুলোঝড় |
---|---|
বর্ণনায় | @kamrul8217 |
ডিভাইস | Samsung A32 |
লোকেশন | w3w |
তারিখ | ২৪ মার্চ ২০২২ |
এতক্ষন সাথে ছিলাম আমি@kamrul8217
পেশায় একজন সাংবাদিক,উপস্থাপক ও ক্ষুদ্রলেখক।জ্ঞান আহরণের সর্বাত্মক ছুটে চলা।একজন সাদাসিধা জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত মানুষ।দু-চোখে যা দেখি শব্দাকারে তা লিখতে থাকি।ভালো কাজে পাশে থাকি।একজন প্রকৃত মানুষ হওয়ার চেস্টায় চিরকৃতজ্ঞতায় পাশে আছে দুই বাংলার এক অবিচ্ছেদ্য প্রাণ@amarbanglablog
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে ধুলোঝড়ের দিনটার বর্ণনা করেছেন। এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ধুলো ঝড়ের দিন টা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সাবেক কলিগদের সাথে রেস্টুরেন্টে বসে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তাও বেশ বুঝতে পারছি। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ঝড়ের দিন টা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শুরুটা ঝড়ের কবলে হলেও শেষটা দারুন মজা হয়েছে।আড্ডা,গল্পে,খানাপিনায় বেশ জমেছিলো।আপনি অনেক সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করেছেন। আপনার জন্য অনেক বেশি ভালবাসা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটিকে এক প্রকার টর্নেডো বলে। আপনি ধুলো ঝড়ের সময় খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছি ছবিগুলো।আপনার লেখার হাত অনেক শক্তিশালী। খুব গুছিয়ে লেখেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। ধুলাঝড় এক প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যাই হোক হতাহতের ঘটনা না ঘটায় এটা তেমন আলোচনায় আসে নাই।সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনার প্রতি অসংখ্য ভালবাসা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে কাল দিনাজপুরেও এরকম বাতাস এবং ধূলো ঝড় হয়েছে। তবে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে দিনাজপুরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে আপনাদের ঐদিকে। যাক খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনার মাধ্যমে সেটা উপস্থাপন করেছেন ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ, গাইবান্ধা ছাড়াও বেশ কিছু অঞ্চলে ধুলিঝড় হয়েছে।হঠাৎ এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়েছিলো সাধারণ জনগণ।কালো অমনিশায় ঘিরেছে চারিদিকে,সাথে ধুলোবাতাস।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধূলিঝড় গরমকালেই বেশি চোখে পড়ে।সত্যিই বিরক্তিকর এই ধূলিঝড়টি।তারমধ্যে আপনি খুব সুন্দর সময় পার করেছেন।মানুষের ভালোবাসা পাওয়াটাই বড়ো বিষয়,ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়। আপনার এমন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ভালবাসা বাড়িয়ে দিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit