প্রতিবাদী কবিতার পাতা
আসুন আজ একটু কবিতা পড়া যাক। একটি সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুবিচার চাইবার লক্ষ্যে অবিচল হয়ে রয়েছে বাঙালি। দুর্গাপুজোর ঠিক আগেও এই সময় দিকে দিকে চলছে মিটিং মিছিল ইত্যাদি প্রতিবাদ। আমিও আমার প্রতিক্রিয়াশীল মনটিকে দমিয়ে রাখতে পারি না। তাই বিভিন্নভাবে আমার কলমের মাধ্যমেই বজায় রাখি প্রতিবাদটুকু।
আজ যে কবিতাটি আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম তা আদ্যোপান্ত একটি প্রতিবাদের কবিতা। এই কবিতাটিতে যে স্লোগানের কথা বলা হয়েছে তা আজ মানুষের প্রধান হাতিয়ার। বিভিন্ন রকম স্লোগানে এখন শিহরিত আকাশ বাতাস। তার মধ্য দিয়েই নিজেদের প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। তার মধ্যেও আশা আছে, সুবিচার আসবেই। এবং সমাজের সমস্ত ধুলো ময়লা অচিরেই সাফ হয়ে যাবে।
এই কবিতাটিতে একটি প্রত্যক্ষ প্রতিবাদের আওয়াজ তোলবার চেষ্টা করলাম। ভালো লাগলো নাকি ভালো লাগলো না তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সুবিচারের লক্ষ্যে আমাদের সবার এগিয়ে চলা। সবশেষে বলি তিলোত্তমার জয় হোক। তার জন্য আজ সমস্ত নাগরিক সমাজ পথে নেমেছে নির্দ্বিধায়। এর চেয়ে বড় আর কিছু হতে পারে না।
সবশেষে বলতে চাই, সুবিচার প্রত্যাশী আমরা সকলেই। তাই শেষ দিন পর্যন্ত পড়ে থাকবো সেই সুবিচারের আশায়। সুবিচার হোক সকল তিলোত্তমার।
শ্লোগান
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
এই মানবতার অধিকার ছিনিয়ে নিও না
সব অন্ধকারের শেষে জমে থাকে আলো
সঙ্গে উজাড় করা রাতের অসুখ টুকু
সারিয়ে নাও তুমি-
দেশের কেন্দ্রবিন্দু ছুঁয়ে
খেলা কর চেতনার নিত্যনতুন রঙে-
ভেদ করো নীহারিকার গতি
যদি প্রতিরোধের সময় ছুটে আসে ঘনীভূত স্লোগান
আবার নতুন করে হাত দাও জমানো অস্ত্রে...
ডেকে নাও নিরপেক্ষ সৈনিক
বেছে নাও আলো দেওয়া সংখ্যাতাত্ত্বিক কিছু-
এখনো নতুন রঙে রাঙাওনি নিজের আঙুল
পরিবর্তে ছুটে গেছো রক্তের স্বাদ খুঁজে নিতে...
তুমি কি দেখোনি কিছু?
প্রতিটি দিনের শেষে কিভাবে ভিড় করে অযান্ত্রিক মেঘ-
তবুও দেশের কথা লেখনি পুরনো ডাইরিতে?
স্বাধীনতার শেষ মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েছো কবে?
কবে তুমি নিজের বুকের কাছে এনেছো বিজয়চিহ্ন?
ভিন্নতর উল্লাসে
নাম রাখো নতুন সে দেশ-
যদিও স্বাধীন বলে কেউ এসে বেঁধে নিচ্ছে রাজপথ
তবুও খুঁজেছ তুমি?
কতটা নিজের কাছে মিলিয়েছো পতাকার বেশ?
তখনই গর্ব করো
যখন দেশের কাছে জমা দেবে সকল হিসাব...
অস্ত্রের দরাদরি ফেলে জেনে নেবে শহীদের কথা-
যদিবা মিছিলে হাঁটো
সকল প্রতিশোধ হলে হাতে নাও মোমবাতির দেনা...
(৫% বেনিফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রতিটা যুগে যখনই কোন অন্যায় অবিচার হয়েছে সেই যুগের কবি লেখকেরা তাদের লেখার মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা মানুষের জন্য বাঞ্চনীয়। চমৎকার লাগল আপনার কবিতা টা ভাই। বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজে চলতে গেলে যেমন কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়, ঠিক তেমনই অন্যায় হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটাও দরকার।অন্যায় করা ও অন্যায় সহ্য করা দুটোই সমান অপরাধ। তাই প্রতিবাদ করাটাই শ্রেয়।কবিতার ভাষা বোঝা আমার মতো নগন্য মানুষের দ্বারা সম্ভব নয় তারপরও বলবো অসাধারণ লিখেছেন দাদা যা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে শক্তি যোগাবে।অসাধারণ একটি প্রতিবাদী কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই দাদা।🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই মন্তব্য আমায় প্রাণিত করলো বোন। এগিয়ে তো যেতেই হবে। আর আমাদের কাছে কলমই হাতিয়ার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit