।।স্বাগতম বন্ধুরা। আজ রইল একটি স্বরচিত কবিতা।।
আর একটি বিষয় জানেন তো বন্ধুরা। কবির দ্বারাই কবিরা অনুপ্রাণিত হয়৷ আবহমান সেই ধারা। তাই লেখবার আগে পড়তে হয় অগুনতি। জানতে হয় সাহিত্যের বিভিন্ন আধার৷ সেখান থেকেই জোগাড় করতে হয় মণিমুক্ত৷ সেই মণিমুক্তই লেখক কবিদের সম্পদ৷ রবিঠাকুর বাংলার প্রতিবিম্ব। আর সেই প্রতিবিম্বের ছায়ায় তৈরি হয় কবিমনন। তাই গীতাঞ্জলি শেষ করবার পর রোদ এসে পড়লো নিজের প্রতিটি প্রকোষ্ঠে। ঝলমলে হয়ে উঠলো অন্তরের ধুসর দেয়াল৷ আর সেখান থেকেই জন্ম হয় নতুন কাব্যের৷ তাই গীতাঞ্জলির ধারা অক্ষুণ্ণ রেখে নিজের মধ্যেও কখন যে কড়া নাড়তে শুরু করলো আপন উন্মুক্ত মননটা, যেন বোঝাই গেল না। তার আগেই কলমে ঝরে পড়লো সৃষ্টিসুখ৷ তাই তখন আমিও লিখে ফেললাম একটি রাবীন্দ্রিক ধারার কবিতা৷ আজকের উত্তর আধুনিক কাব্যচর্চার যুগেও রবীন্দ্রনাথ যেন সমান প্রাসঙ্গিক। আর তাঁর প্রাসঙ্গিকতা টুকু ধরে রেখেই কবিতাটি লিখেছি। সেই কবিতাটিই তুলে দিলাম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের কাছে। আমি তো অনেক কথাই বললাম৷ বাকিটা নাহয় আপনারা বলবেন।
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
যতেক তুমি ধন্যি আজি
ভুবনজোড়া ঠাঁই
তোমার পাশে দুঃখ সেজে
আপন বয়ে যাই।
শেষ ক্ষণিকে দাঁড়াও কভু
হয়ত মোরা শূন্য তবু
কে ডাকে যে দু হাত টেনে
নতুন খেয়া বাই।
আনন্দেরই ঐক্যতানে
খেয়াল বাঁশি বাজলো কানে
সেই বিহানে নতুন সুরে
নতুন কথা পাই।
কোন শোকে আজ ভোরের তিথি
নামলো একাসনে
তোমার কথা আমার শুধু
বাজলো খানিক মনে।
দিনের শেষে রৌদ্র হাতে
কে গো হাঁটে নক্সিপথে
দুধার তবু জাগলো একা
বিগ্রহ দর্শনে।
তুমিও দুহাত বাড়িয়ে দিলে
শূন্য ঘরের কোণে।
কবিতাটি স্বরচিত। অপ্রকাশিত ও মৌলিক৷ আপনাদের সকলের ভালোবাসাই আমার পাথেয়। ভালো থাকুন। সুখে থাকুন। রবীন্দ্রচর্চা জারি থাক। বাংলা ভাষা বিজয়ী হোক। বাঙালি বিজয়ী হোক।
(সব চিত্রগ্রহণ আমার ইনফিনিক্স হট ৩০ মোবাইল ফোনে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার সহ সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
আপনি আজ অনেক সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করেছেন ভাইজান যতেক তুমি ধন্যি আজি। কবিতাটির প্রতিটি চরণ এর সঙ্গে প্রতিটি চরণের অনেক মিল ছিল। কবিতা পড়তে আমি ভীষণ ভালোবাসি আর আপনার কবিতাটি একটু ভিন্ন ধর্মীয় ছিল একটু বেশি ভালো লেগেছিল তাই অনেকবার পড়েছি আপনার কবিতাটি ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মন্তব্য ভীষণ আনন্দ দিল। সময় করে কবিতাটি পড়ে এমন মন্তব্য করলেন বলে অনেক ধন্যবাদ। রবিঠাকুর বাঙালির মনন। আর তাঁকে আমরা সবাই বুকে নিয়ে রাখি। আপনি আমার শুভেচ্ছা নেবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit