।।$PUSS নিয়ে একটি স্বরচিত কবিতা।।
বর্তমানে আমাদের ব্লগে যে জিনিসটির সবথেকে বেশি উন্মাদনা তা হলো পুশ কয়েন। @rme দাদার মস্তিষ্কপ্রসূত এই আবিষ্কার আমার বাংলা ব্লগকে যেন এক নতুন জীবন দান করেছে। আমরা জানি বহুদিন ধরেই স্টিমের দাম কম থাকায় অনেকেরই আয় উপায় বড় কম হচ্ছিল। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে একটি মোক্ষম চাল চেলে দিলেন দাদা। সবকিছুর ওপরে উঠে বের করলেন আমার বাংলা ব্লগের নিজস্ব কয়েন পুশ। আর এই কয়েনের সৌজন্যে প্রায় সকলেই এক নতুন জয়যাত্রার সাক্ষী থাকতে পারলো। অদ্ভুত সে চলা। ধাপে ধাপে সে এগিয়ে চলেছে এক নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে। সেই গন্তব্য সত্যিই যেন অজানা চাঁদের দেশ। ছেলেবেলা থেকে দেখতাম চাঁদের গায়ে চড়কা কাটা বুড়িকে। মা বলতেন, "ঐ দেখা যায় বুড়িকে, আপন মনে চড়কা কাটে সে।" কত রূপকথা, কত লোককথায় ভরসা করে পাড়ি দিতাম সেই রাজ্যে। মনের অন্তরে ফুটে ওঠা সেই সব রূপকথা যেন কখন চোখের সামনে সত্যি হয়ে গেল আজ। আমার বাংলা ব্লগে রয়েছি মাত্র তিন মাস মত। তার মধ্যেই এই ব্লগ হৃদয়ের যে কত কাছে এসে পৌঁছে গেছে তা ভাষায় ব্যক্ত করবার নয়। আর তার পরপরই এসে গেল আমাদের নিজস্ব মিমি কয়েন। প্রথমদিকে কয়েকদিন সময় লেগেছিল বুঝতে। তারপর আর দেরি করিনি। অনেকটা কম মূল্যেই বেশ কিছু পরিমাণ পুশ কিনে রেখেছি নিজের ওয়ালেটে। হয়তো পরিমাণে অনেকের থেকেই কম, কিন্তু তাও নতুন ইউজার হিসেবে আমি এতেই সন্তুষ্ট। এডমিনদের সাহায্যে পুশ কিনে নেবার পরেই বসে বসে দেখছি তার চন্দ্রাভিযান। দুর্বার গতিতে সে এগিয়ে চলেছে তার লক্ষ্যে। আমরাও দর্শক আসনে বসে খেলা দেখছি এবং উপভোগ করছি প্রতিনিয়ত। টুইটার এবং ব্লগের পাতায় নিজেদের অ্যাকটিভ রেখে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি এই কয়েনের প্রচার ও প্রসার ঘটাতে। সকলে একটি পরিবারের মত যেন একটি নির্দিষ্ট প্রজেক্টকে বুকে টেনে নিয়েছি আগলে রাখবো বলে। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। যতই লিখি, সেই অনুভূতির কথা যেন প্রকাশ করাই যায় না। শুধুমাত্র স্থিতধী বুদ্ধি এবং অন্তরের দৃঢ়চেতা মনোভাব নিয়ে আমাদের অ্যাডমিন ও মডারেটর ভাইরা কাজ করে যাচ্ছেন অহরহ। নেতৃত্বে সেই দাদা। তাদের বিশ্রাম কই? আর তারই সুফল আমাদের এই পুশ কয়েন।
সত্যি কথা বলতে আমিও ব্যক্তিগতভাবে এই কয়েন নিয়ে একটু বেশি উন্মাদনার স্তরে রয়েছি। প্রতিদিন দেখছি কয়েনের উর্ধ্বাগমন। আর সেই অনুভূতির জায়গা থেকেই লিখে ফেললাম একটি কবিতা। যেহেতু নিজের ভাষা ব্যক্ত করার জন্য কবিতাই আমার কাছে প্রধান একটি মাধ্যম, তাই পুশ কয়েন নিয়ে ভালোলাগার অনুভূতিটুকুও প্রকাশ করলাম সেই মাধ্যমেই। কবিতা দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে ভালো লাগে। ছন্দে ছন্দে এবং অন্ত্যমিলে তুলে ধরি সমস্ত অনুভূতি। আজ নিজেদের কয়েন নিয়ে তাই লিখেই ফেললাম দু চার লাইন। এবং সর্বোপরি তুলে আনলাম আপনাদের সামনে। কবিতাটি পড়ে যদি ভালো লাগে, অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। পারলে আপনিও লিখে ফেলবেন আমার ছন্দের রেশ ধরে আরো দুই চার লাইন। হোক না একসাথে একটু কবিতায় কবিতায় বাক্যালাপ। আসুন সেই পুশ নিয়ে রচিত আমার কবিতায়।
পুশের দেশে
কৌশিক চক্রবর্ত্তী
পুশের দেশে হাঁটছি মোরা, সামনে চাঁদের আলো
সব থাকলেও জ্যোৎস্নাটুকুই সব থেকে জমকালো।
যখন হল ব্লগের পাতায় পুশের ছড়াছড়ি
অ্যাডমিন ও মডারেটর করলো না কেউ দেরী।
কিনলো কয়েন হাজার হাজার সব ওয়ালেট জুড়ে
ধনী হওয়ার হাতছানি সেই স্বপ্ন অচিন পুরে।
বাদ গেল না সব ইউজার, কিনলো ওয়ালেটে
কেউ ভাবেনি কী লাভ হবে কিনলে খানিক লেটে।
তবুও পুশের মস্ত লাফে চাঁদ হয়েছে পার
ব্লগের মালিক মোদের দাদা, তাহার আবিস্কার।
সব অ্যাডমিন খাটছে দেখি শেখাচ্ছে লাভ চাই
কেমন করে পুশের বাজার উঠবে আরও হাই।
ব্লগের পাতায় রমরমা সেই কয়েন বাজার ভারী
কেউ গড়বেন নতুন দেওয়াল, কেউ কিনবেন গাড়ি।
কেবল খানিক সাবধানে তাও পুশ রাখবেন কিনে
ভুলের বশে কয়েন যেন না ঢোকে ডাস্টবিনে।
(৫% বেনিফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তোমার এই ছন্দগুলো খুব প্রিয়৷ পুসকে নিয় সহজ ভাষায় সহজ প্রয়োগে কী সুন্দর একটি ছড়া লিখেছ। খুব সুন্দর লাগল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুশ নিয়ে প্রথম দিকে মোটামুটি সবারই বুঝতে সমস্যা হয়েছিল। সত্যি বলতে এখনও অনেকেই ক্লিয়ার না পুশ এর বিষয়ে। পুশ নিয়ে কবিতা টা বেশ দারুণ লিখেছেন। ছন্দ অর্থ এবং আপনার অনূভুতি সবমিলিয়ে একেবারে অসাধারণ। সবমিলিয়ে চমৎকার ছিল আপনার কবিতা টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি দেখছি সকলের স্বপ্নের কয়েন কে নিয়ে খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার লেখা কবিতা টি পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি কবিতার লাইন গুলো সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করেছেন। কবিতার প্রতিটি লাইন যেন আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুশ কয়েনের হাট বসেছে সান পাম্পে,
বাড়ছে পুশের দাম যে দাদা প্রতি জাম্পে।
পুশ কিনো পুশ কিনো সবে, পুশের জয়কার।
না কিনে খেয়ো না ধরা, করোনা হাহাকার।
খুবই সুন্দর কবিতা। দুই লাইন মেলানোর চেষ্টা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit