সকলে মিলে নিউটাউন কফিহাউসে যাওয়া
আজ লাইফ স্টাইল পোস্টে আপনাদের সামনে নিয়ে আসব নিউ টাউন কফি হাউসে কাটানো কিছু মুহূর্ত। পেশার প্রয়োজনে কলকাতার স্কুলের নিউ টাউন ব্রাঞ্চে গিয়েছিলাম কিছু কাজের জন্য। সেখান থেকে সব সহকর্মীরা মিলে দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য গিয়েছিলাম নিউ টাউন কফি হাউসে। এটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ স্ট্রিট কফি হাউস এর একটি শাখা। অনেকদিন আগেই শুনেছিলাম নিউ টাউনে একটি সুসজ্জিত কফি হাউস তৈরি হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন রকম সুস্বাদু খাবার এবং চা কফির আয়োজন রয়েছে। আজ তাই সকলের প্রস্তাব মেনে নিয়ে চলে গেলাম কফি হাউসে।
গিয়ে তাদের বিল্ডিং দেখে বেশ ভালো লাগলো। অসাধারণ সুসজ্জিত একটি নতুন বিল্ডিংয়ে কফি হাউজের আয়োজন। সামনে রয়েছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী হাতে টানা রিক্সার একটি প্রতিকৃতি। এছাড়াও চারপাশের পরিবেশ বেশ সুন্দর। গাছপালায় ঘেরা এই নিউটাউনে কফি হাউসটি দেখে আমার বেশ ভালো লাগলো। সকলে মিলে ভেতরে ঢুকলাম। আমরা অনেকে ছিলাম বলে দুটি টেবিলকে তারা জোড়া লাগিয়ে দিল। সকলে বসে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ অর্ডার করলাম। সকলের কথামতো মধ্যাহ্নভোজে চিকেন চাউমিন এবং চিলি চিকেন অর্ডার করা হলো। কিছুক্ষণ সময় পরে সেই খাবার এসে হাজির হলো। আমরা সকলে মিলে ভাগাভাগি করে সেই খাবার খেলাম। স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় ছিল কফি হাউজের সেই চিলি চিকেন এবং চিকেন চাউমিন। স্কুলের তরফে বাস বাইরে অপেক্ষা করছিল। আমরা স্কুলের বাসেই নিউ টাউন গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে আবার ফিরে এসেছি।
কফি হাউজের পরিবেশ সার্বিকভাবে আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার খাবারদাবার তো বটেই এমনকি কর্মচারীদের ব্যবহার ছিল চোখে পড়বার মতো। বাংলার ঐতিহ্যমন্ডিত কফি হাউজের ধারাকে নিউ টাউন কফি হাউস সুন্দরভাবে ধরে রাখতে পেরেছে। সাদা সাদা পোশাক পরিহিত কর্মচারীরা এখানেও খাবার সরবরাহ করেন। তাঁরা যথাসময়েই আমাদের সামনে সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করেছিলেন। খাবারের কোয়ালিটি আগাগোড়াই আমাকে মুগ্ধ করেছে। জিনিসপত্রের দামও খুব বেশি নয়। তাই সাধ্যের মধ্যে দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের জন্য নিউ টাউন কফি হাউজের জুড়ি মেলা ভার। আর এখানে গেলে কলেজ স্ট্রিটের মত কোলাহল সহ্য করতে হয় না। এখানকার পরিবেশ আপনার মনে এক অপার আনন্দের সৃষ্টি করবে।
সব মিলিয়ে আজ স্বল্প হলেও কিছু সময় সকলে মিলে বেশ সুন্দর কাটালাম। সঙ্গে ভালো ভালো খাবার তো ছিলই। খাওয়ার পরে সকলে আবার স্কুলের বাসে চড়ে স্কুলে ফিরে চলে এসেছিলাম। অনেকে নেমে গিয়েছিল বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমি স্কুল পর্যন্ত ফিরে তারপর আমার বাহনটিকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম নিজের মত।
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1860340449388409317?t=0f-cGTZeV5En7uXdFL-X2A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের টাস্ক -
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিল্ডিংটা দেখে আমারও অনেক ভালো লাগলো দাদা। বেশ দারুণভাবে তৈরি আর তার সৌন্দর্য দেখে জানা মুগ্ধ হলাম। আশা করি কিছুটা সময় সেখানে খুব আনন্দের সাথে অতিবাহিত করেছেন। দারুন একটি ব্লগ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যিই বেশ সুন্দর সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছি ভাই। আমি প্রথমবার এই রেঁস্তোরায় গেলাম। আপনি মন্তব্য করে পাশে থাকলেন বলে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit