লেভেল ৩ হতে আমার অর্জন - by @kausikchak123

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)

লেভেল ৩ হতে আমার অর্জন


🌱🌱🌱🌱🌱🌱🌱🌱🌱


1721324497070-removebg-preview.png

☘️ সকলকে স্বাগত ☘️

ধীরে ধীরে স্টিমিটে এগিয়ে চলেছি। কিছু পরিমাণ আর্ন হওয়াও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। এখানে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করার জন্য @abb-school এর সহায়তায় এবং প্রফেসরদের সাহায্যে এগিয়ে চলেছি একটু একটু করে। দ্বিতীয় লেভেল পাশ করার পর নিজের ব্লগিং শিক্ষা কিছুটা যে অগ্রগতি হয়েছে তা বেশ বুঝতে পারি। এক্ষেত্রে আমার বাংলা ব্লগের সমস্ত প্রফেসরদের আমার তরফ থেকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানাই। দেখতে দেখতে চলে এলাম তৃতীয় লেভেলের পরীক্ষায়। এই তৃতীয় লেভেলে আমাদের সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে অনেকক্ষণ সময় দিয়ে ক্লাস নিয়েছিলেন প্রফেসর @alsarzilsiam
তার ক্লাস থেকে শিখে ও লেকচার শীট পড়ে এবং কিছুটা নিজের আগ্রহে লেভেল থ্রিতে যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা আজ লিখিত আকারে উপস্থাপন করতে এলাম এই পোস্টে। লেভেল থ্রি একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এখানে প্রধানত তিনটি বিষয়ে জ্ঞানলাভ করতে সমর্থ্য হয়েছি।

  • মার্কডাউন
  • কনটেন্ট ক্যাটাগরি সিলেকশন
  • কিউরেশন রেওয়ার্ডের খুঁটিনাটি
এবার একে একে আসি তৃতীয় লেভেলের প্রশ্নপত্রে থাকা বিষয় নিয়ে আমার অর্জিত জ্ঞান থেকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যায়।


☘️ উত্তরপত্র ☘️

১. মার্কডাউন কি ?

স্টিমিটে পোস্ট করতে হলে নিজের পোস্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা ভীষণ জরুরী। পোস্ট আকর্ষণীয় হলে তা সবসময় দেখতে সুন্দর লাগে। নিজের টেক্সটকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে বিভিন্ন ধরনের কোড ব্যবহার করা হয়। এই কোডগুলিকে মার্কডাউন বলা হয়। মার্কডাউন ব্যবহার করে একটি সাধারণ টেক্সটকে অনেক সুন্দর করে ও সাজিয়ে পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়।


২. মার্কডাউন কোডের ব্যবহার কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

মার্ক ডাউন বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত কোডের মাধ্যমে আমরা আমাদের পোস্টকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি। মার্কডাউনের মাধ্যমে বিভিন্ন সাইজের হেডিং তৈরি করা যায়, টেক্সটকে বোল্ড, ইটালিক করা হয়, লেখার মাঝে ছবি দেওয়া যায় বা ছবিকে ডাকদিকে বা বামদিকে সরানো যায়, টেক্সট জাস্টিফাই করা হয় (দুই দিক থেকে সমান অ্যালাইনমেন্ট), কিছু লেখাকে হাইলাইট করা যায়, লিস্ট বা টেবিল তৈরি করা যায়। সুতরাং মার্কডাউন কোড ব্যবহার করে আমরা আমাদের পোষ্টের টেক্সটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি।


৩. পোষ্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলো প্রতিফলন না ঘটিয়ে কিভাবে দৃশ্যমান করে দেখানো যায় ?

পোষ্টের মধ্যে মার্কডাউনের কোডগুলি প্রতিফলন না ঘটিয়ে দৃশ্যমান করতে হলে কোডের আগে চারটি করে স্পেশ ব্যবহার করতে হয়।


৪. নিচের ছবিতে দেখানো টেবিলটি কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? মার্কডাউন কোডগুলো উল্লেখ করুন।

UserPostSteam Power
User110500
User2209000
|User|Post|Steam Power|
|---|---|--|
|User1|10|500|
|User2|20|9000|

৫. সোর্স উল্লেখ করার নিয়ম কি ?

আমি দুই রকম উপায়ে সোর্স উল্লেখ করে থাকি।

নিয়ম ১-

 [সোর্স](লিঙ্ক)

নিয়ম ২-

<a href = লিঙ্ক>সোর্স</a>

৬. বৃহৎ হতে ক্ষুদ্র - ক্রমিকভাবে ১ হতে ৬ পর্যন্ত হেডারগুলোর কোড লিখুন।

# Header 1
## Header 2
### Header 3
#### Header 4
##### Header 5
###### Header 6

৭. টেক্সট জাস্টিফাই মার্কডাউন কোড টি লিখুন।

<div class="text-justify">
কনটেন্ট
</div>

৮. কনটেন্টের টপিকস নির্বাচনে কোন বিষয়ের উপর বেশী গুরুত্ব দেয়া উচিত?

যে বিষয়ের উপর ব্লগারের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বেশি, সেই বিষয়ে বা টপিককে কনটেন্ট হিসেবে নির্বাচন করা উচিত। সেক্ষেত্রে কনটেন্ট অনেক ভালো হয়। যে বিষয়ে ইউজারের জ্ঞান কম, সেই বিষয়কে কনটেন্ট হিসেবে নির্বাচন না করাই ভালো। সেক্ষেত্রে সেই ধরনের পোস্ট ব্লগারের পক্ষে করা সহজ হয় না।


৯. কোন টপিকস এর উপর ব্লগ লিখতে গেলে সেই টপিকস এর উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরী কেন ?

কোন টপিক কে কনটেন্ট হিসেবে বেছে ব্লক লিখতে গেলে সেই টপিকের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। অন্যথায় পোষ্টের মান কখনোই উঁচু হয় না। আর আমরা জানি পোস্ট এর মান এর উপর স্টিমের দামও হেরফের করে। তাই সব পোস্টের মান ভালো হওয়া ভীষণ জরুরী। আর জ্ঞান না থাকলে স্টিমিট ব্লগারের ক্ষেত্রেও সেই কনটেন্ট লেখা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু যথেষ্ট জ্ঞান থাকা বিষয়কে কনটেন্ট হিসেবে বেছে নিলে সেই বিষয়ে সহজে এবং দক্ষতার সহিত লেখা সম্ভব হয়। সেক্ষেত্রে ব্লগের মান অনেক ভালো হয়।


১০. ধরুন প্রতি STEEM কয়েনের মূল্য $0.50 । আপনি একটি পোস্টে $7 এর ভোট দিলেন। তাহলে আপনি কত $ [USD] কিউরেশন রেওয়ার্ড পাবেন ?

$7 ভোট পেলে কিউরেটার পে আউটের পর অর্ধেক পাবেন৷ অর্থাৎ $3.5.
আর STEEM কয়েনের মূল্য $0.50 হলে SP হিসাবে পাবেন - 3.5÷0.50 = 7 STEEM.


১১. সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পাওয়ার কৌশল কি?

সর্বোচ্চ কিউরেশন রেওয়ার্ড পেতে গেলে সঠিক সময় ভোট দেওয়া ভীষণ জরুরি। যেমন কোন পোষ্ট করার সাথে সাথে ভোট দিলে কিউরেশন রেওয়ার্ড কিউরেটর পান না। সেক্ষেত্রে ভোট দিলেও 0% কিউরেশান রেওয়ার্ড কিউরেটরের ওয়ালেটে SP হিসেবে আসে, এবং ১০০% ই রেওয়ার্ড পুলে ফেরত চলে যায়। আবার পোষ্টের ঠিক এক মিনিট পরে ভোট দিলে ২০% ওয়ালেটে আসে ও ৮০% পুলে ফেরত চলে যায়। এভাবে পাঁচ মিনিটের পর ভোট দিলে ১০০% কিউরেশন রেওয়ার্ড কিউরেটারের SP তে এসে জমা হয়। আবার পে আউটের ১২ ঘন্টা আগে পর্যন্ত এই নিয়ম জারি থাকে (গ্রিন জোন)। আবার কিউরেশন রেওয়ার্ডের সূত্র অনুযায়ী প্রথম ভোটদানকারী দ্বিতীয় ভোটদানকারীর থেকে বেশি কিউরেশান রেওয়ার্ড প্রাপ্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে যে সূত্র পালন হয় তা হল - ১/২*√ক(√খ-√গ)। এখানে ক = মোট পে আউটের পরিমাণ। খ = কিউরেটার ভোটদানের পরে মোট পে আউটের পরিমাণ এবং গ = ভোটদানের অব্যবহিত আগে পে আউটের পরিমাণ। এই সূত্র অনুযায়ী প্রথম ভোটদাতার রেওয়ার্ডের অংক সর্বদা পরের জনের তুলনায় বেশি হয়। তাই সঠিক সময় ভোটদান এবং সঠিক পোস্টকে ভোট দান করা সর্বোচ্চ কিউরেশন পাওয়ার জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।


১২. নিজে কিউরেশন করলে বেশি আর্ন হবে, নাকি @Heroism এ ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে…?

আমরা এখন গেস্ট ব্লগার। অর্থাৎ আমাদের SP ও তুলনামূলক অনেক কম৷ তাই এক্ষেত্রে নিজের পক্ষে ভালো পোস্ট খুঁজে ভোটদান করে ভালো কিউরেশন রেওয়ার্ড আর্ন করা কঠিন বিষয়। তাছাড়া এই অবস্থায় প্রোফাইলে ভালো রেওয়ার্ড পাওয়ার মত ক্ষমতাও প্রাপ্ত হয়নি। SP বাড়ার সাথে সাথে সেই ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। তাই @Heroism কে ডেলিগেশন করলে বেশি আর্ন হবে। কিন্তু যখন SP অনেক বেশি জমা হবে, তখন নিজে দেখেশুনে ভালো পোস্টে ভোট করলে সেখান থেকে বেশি পরিমাণ রেওয়ার্ড পাওয়া সম্ভব।


(৫% বেনিফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)


Banner_New.png


new.gif

1720541518267-removebg-preview.png


--লেখক পরিচিতি--

IMG_20240303_181107_644.jpg

কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার সহ সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।



কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.