সুশিক্ষিত হওয়া কতটা জরুরি- ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম!
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar

আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন, আর আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি আপনাদের সুস্থতা কামনা করে আবারো একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আসলে আজকে আমি আপনাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের সাথে ভালো লাগবে। আসলে আমরা সবাই চাই যে আমাদের সন্তানরা শিক্ষিত হোক আমরা সবাই চাই যে আমাদের সন্তানরা সব ক্লাসে ফার্স্ট হবে ও ভালো রেজাল্ট করবে। হয়তো আমরা অনেকেই চাই না যে আমাদের সন্তানকে আমি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবো। সেটা হতে পারে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় হতে পারে। আসলে আমি মনে করি যে আমাদের উচিত সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। এতে যেমন সে তার নিজেকে গড়তে পারবে এবং অন্য মানুষকে কিভাবে সম্মান করতে হয় সেটাও কিন্তু শিখতে পারবে। এই বিষয় নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে আমি কথা বলব আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


image.png

Image source: copyright & royalty free unsplash.com


আসলে আজকে আমি একটা বাস্তব জীবনের ঘটনা পড়েছি। যে ঘটনাটা পড়ে আসল এখন আমার খুব খারাপ লাগছে। আর এই ঘটনা থেকে কিন্তু নিজেও কিছু শিখতে পেরেছি। আর অবশ্যই আমি আমার বাস্তব জীবনের সেটা দেখাবো ইনআশাল্লাহ। তো সেই ঘটনাটাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। একজন মহিলা সে তার নিজের জীবনের কাহিনি বলতেছে। সে তার স্বামীকে হারিয়েছে যখন তার ছেলের বয়স ১৬ বছর। সে একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিল। তো তার স্বামীকে হারানোর পর তার যখন একটা ছেলে ছিল তখন সে তার ছেলেকে কখনো কষ্ট দিতে চাইনি। সে সব সময় চাইছে যে সে তার ছেলে যেনো বুঝতে পারে যে তার বাবা নেই।


এজন্য বাবার যত সব পূরণ করে এবং সে সবসময় চাইবো যে সে যা করেন সে সব সময় চাইত যে তার ছেলে সব ক্লাসে ফার্স্ট হবে এবং ভালো রেজাল্ট করুক এবং ভালো চাকরি করুক। তার একজন বান্ধবী ছিল যে বান্ধবীর ছেলে একই স্কুলে পড়তো তার ছেলের সাথে। কিন্তু তার ছেলের সাথে এবং তার বান্ধবীর সাথে কোনো বন্ধুত্ব ছিল না। কেননা তার বান্ধবীর ছেলে লেখাপড়ায় ভালো ছিল না কিন্তু বিভিন্ন খেলাধুলা সে খুব ভাল ছিল এবং অন্যদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করতো। আর এজন্যই সে তার বান্ধবীর ছেলের সাথে তার ছেলেকে মিশতে দিতো না। সে চাইতো তার ছেলে ভালো ছাত্র দের সাথে সম্পর্ক করুক এতে তার পড়াশোনার আগ্রহ টা অনেক বেশি বাড়বে ও তাদের সাথে লেখাপড়ার একটা প্রতিযোগিতা করে লেখাপড়ায় ভালো করবে।


image.png

Image source: copyright & royalty free unsplash.com


এক পর্যায়ে একসময় তার ছেলে পড়াশোনায় ভালো করতে করতে থাকে এবং পড়ালেখা করার উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া চলে যায়। আর সেখানেই তার বসবাস শুরু হয় এবং সেখানেই থাকতে শুরু করেন। কোনো একদিন সে বাহিরে গিয়েছ এরপর দেখে যে তার বান্ধবীর ছেলে তার কাছে এসে বলছে আন্টি আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। সে তো চিনতে পারলো না কেননা অনেক বছরপর দেখলো। অতপর ছেলে তার পরিচয় দিয়ে তাকে তার বান্ধবীর কাছে নিয়ে গেল। এরপর সেই মহিলা যতক্ষণ তার বান্ধবী ও তার ছেলের সাথে ছিল দেখল যে বান্ধবীকে তার ছেলে কতটা ভালোবাসে ও কতটা খেয়াল করে। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও সে তার মাকে শপিং করতে নিয়ে গিয়েছি এবং সে কক্সবাজারে ঘুরতে নিয়ে যাবে। তো এই এগুলো দেখে আসলে সে খুবই দুঃখ পেল।


সে মনে করতে থাকলো না যে তার ছেলের সাথে কেমন সম্পর্ক তার। তার ছেলের সাথে ফোনে কথা বললেও তাহলে অনুমতি নিয়ে বলতে হয়। তার ছেলে তাকে হয়তো ইচ্ছে করে কল দেয় না, তার দেওয়া লাগে এরপরেও যদি সে ফোন দেয় তবুও তার ছেলে তাকে বিরক্ত করতে নিষেধ করে। একসময় যে ছেলে ভালে ছাত্র ছিলো না সে তার মাকে কতটা কেয়ার করছে আর তার ছেলে ভালো ছাত্র ছিলো ঠিকই কিন্তু আজ সে জানে না যে মাকে কিভাবে সম্মান ও ভালোবাসতে হয়। এসব কথা ভেবে আসলে তার খুবই খারাপ লাগছে। সে এখন ভাবছে সে আর তার ছেলের কথা চিন্তা করবে না, সে নিজেকে নিয়ে ভাববে।


image.png

Image source: copyright & royalty free unsplash.com


সত্যিই খুবই খারাপ লাগলো সে তার নিজের ভুল বুঝতে পারলো যে আসলে সন্তানকে সুশিক্ষিত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারিনি। কিন্তু এটা বুঝে তার এখন কোনো লাভ নেই কিন্তু তার জীবনের এই ঘটনা শেয়ার করায় অনেকের উপকার হবে। যারা আসলে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয় তারা বুঝতে পারে কিভাবে সবাইকে ভালোবাসতে হয় ও ভালো রাখতে হবে। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি আমাদের উচিত যে আমরা আমাদের সন্তানকে শিক্ষিত বানাচ্ছি কিন্তু সুশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে না শিক্ষিত হচ্ছে এটা খেয়াল রাখা উচিত। সন্তানকে সব সময় লেখাপড়ার জন্য চাপ না দিয়ে, মাঝে মাঝে সন্তানকে ভালো মানুষ হওয়ার জন্য কিছু টিপস দেয়া উচিত।


image.png

Image source: copyright & royalty free unsplash.com


সেগুলো সব সময়ই ধারাবাহিকতা থাকা উচিত এজন্যই সে যখন বড় হবে তখন অবশ্যই সে আপনাকে কিভাবে সম্মান করবে, ভালবাসতে হয় এগুলো কিন্তু খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে। আর আমার মনে হয় যে আমাদের এ বিষয়ে বেশি খেয়াল দেওয়া উচিত। তাহলে কিন্তু আমরা পরবর্তীতে সুখে থাকতে পারবো। আমাদের আর একাকীত্ব মনে হবে না। আমাদের সন্তানরা একাকিত্ব দূর করে দেবেন ইনশাআল্লাহ। আজ এই পর্যন্তই আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি।



image.png


ধন্যবাদ সবাইকে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।
@kawsar

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই আর সুশিক্ষিত হওয়া আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু শিক্ষিত কখনও একটি সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে না। বরং সুশিক্ষায় পারে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং দেশকে সেরা দেশের মাঝে তুলে ধরতে। তাই সকল বাবামার উচিত সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

জ্বী আপু ঠিক বলেছেন শিক্ষিত মানুষ যেমন সমাজকে এগিয়ে নিতে পারেনা তেমনি ভাবে অন্য মানুষকে কিভাবে সম্মান করে কথা বলতে হয় সেটাও জানেনা সে জন্যই আমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া উচিত।

আসলে আমাদের সমাজ এখন সন্তানদের শুধু শিক্ষিত হয়ে করছে। সুশিক্ষার দিকে কারোই কোন খেয়াল নেই। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য নোটবুক মুখস্ত করে তা পরীক্ষায় দিয়ে আসে। কিন্তু বাস্তব জীবনে কাজে লাগানোর কোনো প্রস্তুতি নেই।

আজ আপনি খুব সুন্দর বিষয় নিয়ে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আমি মনে করি সকলেই বিষয়টি খেয়াল করবে ও সচেতন হবে যে আমাদের শিক্ষিত নয় সুশিক্ষাই প্রয়োজন।

আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু। আমাদের সন্তানদেরকে আমরা শুধু শিক্ষিতই বানাচ্ছি কিন্তু সুশিক্ষায় শিক্ষিত বানাচ্ছি না। এদিকে আসলে আমাদেরকে অবশ্যই বেশি খেয়াল দিতে হবে তাহলে কিন্তু সমাজ সমাজ কবে গড়ে উঠবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য শুভকামনা।

আসলে আমাদের সমাজে শিক্ষিত লোকের অভাব নেই। কিন্তু সুশিক্ষিত লোকের বড় অভাব এই সমাজে। আমাদের সমাজে সুশিক্ষিত লোকের অনেক প্রয়োজন।

জি ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন সমাজে আসলে শিক্ষিত লোকের লোকের অভাব নেই কিন্তু সুশিক্ষিত লোকের বড় অভাব অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।