বর্তমানে আমরা এমন একটি সময়ে মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যেখানে পাস্পরিক সম্মানবোধ কিংবা মূল্যবোধ কিংবা নৈতিকতার বড়ই অভাব। বিশেষ করে অনেক তরুণদের মধ্যে এই দিকগুলো লক্ষ্য করা যায়। যারা বড়দের সম্মান করতে চায় না কিংবা যে কোন অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার আগে আগে পিছে ভাবে না। এ জন্য সম্পূর্ণ দায়ী তাদের অভিভাবক তথা তাদের পরিবার। কারণ তারা পরিবার থেকে সঠিক পারিবারিক শিক্ষা পায়নি।
কিছুদিন আগে খেয়াল করলাম আমাদের গ্রামের একজন ৮ থেকে ৯ বছর বয়সী একটি ছেলে দোকান থেকে সিগারেট কিনে নিচ্ছে। আমি ভাবলাম হয়তো তার বাবা ধুমপান করে। হয়তো তার বাবার জন্য কিনে নিচ্ছে। কিন্তু সে কিছুদূর যাওয়ার পরেই সিগারেট জ্বালিয়ে ধূমপান করা শুরু করলো। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। কিন্তু সে দেখেও না দেখার ভান করে টানতে লাগলো।
অবশ্য এর পিছনে আমি তার পরিবারকে দায়ী করছে। কেননা তার বাবা সবসময় তাকে দিয়ে সিগারেট কিনে আনত এবং অনেক সময় বলতো সিগারেট ধরিয়েয়ে দেয়ার জন্য। সেই থেকেই তার অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন সে অনেকের সামনেই খোলাখুলিভাবে ধূমপান করছে। এমনকি এই বিষয়টি তার পরিবার ও জানে কিন্তু তেমন শাসন করছে না। তার ফলে ছেলেটি আদম সাহস পেয়ে যাচ্ছে।
আরেকটি ঘটনা শেয়ার করছি, কিছুদিন আগে আমাদের এলাকার কয়েকজন ১৪-১৫ বছর বয়সী ছেলে ঈদের আনন্দে রাতের বেলা মদ্যপান করে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। যখন ওই ছেলেদের পরিবারের কাছে কয়েকজন অভিযোগ জানাল তখন তাদের পরিবার এমন ব্যাবহার করল যেন এটা কিছুই না। ঈদের আনন্দে এমন দুষ্টুমি করেই।
এরকম পারিবারিক শিক্ষা কারণে বর্তমান পর্যন্ত বিপথে ধাবিত হচ্ছে। তাদের কারণেই একসময় সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে। কারণ তাদের পরিবারই তাদেরকে এই পথে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের পরিবার থেকে শাসন না পাওয়ার কারণে এক সময় তারা অতিরিক্ত মদ্যপানে কিংবা যেকোন অপরাধমূলক কাজ করতে পিছপা হবে না। আর এভাবেই তারা অন্ধকার পথে হারিয়ে যাবে এবং একসময় তাদের কারণে সমাজের আরো অন্য তরুণেরাও তাদের অনুসরণ করতে থাকবে।
আমার দেখা মতে, একটি ছেলেকে তার পরিবার অনেক বড় চোর বানিয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সম্মান রক্ষার্থে তারাই ছেলেটাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল। ছেলেটি যখন চুরি করত তখন তার পরিবার তাকে সাপোর্ট করতো। কিন্তু এর সময় যখন সে চুরি করতে করতে ধরা খেয়ে যেতো এবং তার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ পড়তে লাগল। তখন তার পরিবার বাধ্য হয়ে তাঁকে কীটনাশক খেয়ে মেরে ফেলেছিল। এটা আমার চোখে দেখা একটি ঘটনা।
আসলে আমাদের পারিবারিক শিক্ষা যেমন আমাদেরকে অনেক দূরে নিয়ে যায় এবং ভালো ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়তা করে। আবার তেমনি পারিবারিক শিক্ষার অভাবে আমাদেরকে একেবারে নিচে নামিয়ে দেয় এবং সে জন্য একসময় অনেক খেসারত দিতে হয়। তাই সবার আগে প্রয়োজন পারিবারিক শিক্ষা। আর সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে পরিবারের বড় সদস্যদের। তাহলে সমাজ পাবে ভালো ব্যক্তিত্বসম্পন্ন তরুণ সমাজ এবং সুশৃংখল ও সুন্দর পরিবেশ। ধন্যবাদ সকলকে।
বাহ সত্যি ভাই খুব অসাধারণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। পারিবারিক শিক্ষা আমাদের সকলের দরকার। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সবার আগে পারিবারিক শিক্ষাই কাজে লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে প্রত্যেকটি সন্তানের ভীত গঠন করতে পারিবারিক শিক্ষাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।যে শিক্ষা সারাজীবন ও জীবনের ভবিষ্যতকে নিশ্চিত করবে।
খুব সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পারিবারিক শিক্ষার বিকল্প নেই। পারিবারিক শিক্ষাই হচ্ছে মানূষ হওয়ার প্রথম স্তম্ভ। ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit