চলছে চলবে || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২৪শে কার্তিক | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | হেমন্ত-কাল|


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



Made by @kazi-raihan_20241109_204712_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



আমরা যখন সবাই একসাথে হই অর্থাৎ আমাদের সার্কেলের বেশ কয়েকজন এখন ঢাকায় চাকরি করে তারা যখন বাড়িতে আসে তখন কোন প্ল্যানিং বা কোন উদ্যোগ ছাড়াই হুটহাট পদক্ষেপ নিয়ে নেওয়া হয়। সেটা কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক বা আমাদের এলাকায় পিকনিকের আয়োজন করা হোক যে কোন কিছু হবেই। গত মাসে রাহুল বাড়ি আসার পরে আমরা উদ্দেশ্যহীনভাবে বাইক নিয়ে বের হলাম। সবসময় চেষ্টা করি অপরিচিত রাস্তাগুলো ভ্রমণ করতে যে রাস্তা দিয়ে কখনো যাওয়া হয়নি সে রাস্তাগুলো ভ্রমণ করতে বেশি ভালো লাগে। গ্রামের এমন অপরিচিত রাস্তায় ড্রাইভ করতে বেশ ভালই লাগে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে অনেকটা হারিয়ে ফেলা যায়।

মোটামুটি সবাই ঘোরাঘুরি শেষ করে বিকেল বেলায় আবার বাইক নিয়ে বের হলাম তবে এবারের নির্দিষ্ট একটা লোকেশন সিলেক্ট করেছিলাম সেটা হলো আমাদের এলাকার পদ্মা নদীর শাখা নদীর পাশে ছোট্ট একটি পার্কে। মূলত সেখানে নদীর পাড়ে বসার দারুণ জায়গা আছে পাশাপাশি সেখানে মজার চাওয়া পাওয়া যায় আমরা রওনা হলাম সেখানে। সেখানে গিয়ে রীতিমতো আড্ডা হল প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে বসে সময় কাটালাম। হুটহাট করেই প্ল্যানিং হল আমাদের বাড়ি থেকে চীনা হাঁস নিয়ে পিকনিক করব। প্রথম যেবার চিনা হাস খেয়েছিলাম সেবার থেকেই চিনা হাঁস খাওয়ার প্রতি একটা আলাদা আগ্রহ আছে তাই আমিও সহজে রাজি হয়ে গেলাম। দেরি না করে আমরা সবাই সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম।



20241019_121113.jpg

20241016_181928.jpg

20241016_181922.jpg

20241016_181832.jpg

20241017_215037.jpg



সেখান থেকে আসতেই আমরা লক্ষ্য করলাম বাহাদুরপুর স্কুল মাঠে মেলা হচ্ছে। আগে থেকেই যেখানে মেলা হয় সেখানে সাধারণত যাই না তবে মাঝেমধ্যে মেলায় যেসব লোভনীয় সব খাবারগুলো পাওয়া যায় শুধু সীমিত সময়ের জন্য সেই খাবার টেস্ট নিতে অনেক ক্ষেত্রে যাই। রাস্তার দুপাশ দিয়ে অনেক দোকান বসেছে। সামনের রাস্তাটা অনেকটা জ্যাম লেগে গিয়েছিল যদি কুকুরের ছবি দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন রাস্তায় বেশ ভালই জ্যাম ছিল আমরা তিনটা বাইক নিয়ে সবাই কিছুটা সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম পর্যায়ক্রমে গাড়িগুলো ছেড়ে যাচ্ছিল আর আমরা সেখান থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম।



স্বাভাবিকভাবেই মেলায় গেলে গরম জিলাপি টেস্ট কখনোই মিস করি না তাই যখনই মেলার গরম জিলাপির ঘ্রাণ পেলাম তখন নিজেদেরকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না আমি সবার আগে প্রস্তাব দিলাম ভাই পিকনিক করতে তো অনেক রাত হবে আগে সবাই মিলে গরম জিলাপি খাব। আমি বলতে দেরি করি তাদের রাজি হতে দেরি না। বাইক রাস্তার পাশে রেখে গরম গরম জিলাপি খাওয়ার জন্য চলে গেলাম জিলাপির দোকানে। স্পেশাল ভাবে বললাম জিলাপি ভেজে দিবেন আমরা এখানে দাঁড়িয়ে খাব লোকটা বেশ ভালোভাবেই আমাদেরকে সম্মান করলো মূলত আমাদের দোকানের পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে জিলাপি ভেজে দিল। বেশ মজা পেলাম পুরোপুরি মচমচে জিলাপি।



20241018_195913.jpg

20241018_184146.jpg

20241018_231557.jpg

20241018_215337.jpg



জিলাপি খাওয়া শেষ সোজা চলে এলাম আমাদের বাড়িতে। বাড়িতে এসে আম্মুকে সবকিছু বলার পরে আম্মু বলল ঘরের মধ্যে হাঁস রাখা আছে নিয়ে যাও। মূলত আম্মুকে আগেই বলেছিলাম আমরা এই হাঁসটা নিয়ে পিকনিক করবো। তো আম্মু সঠিক কোন সিদ্ধান্ত দিয়েছিল না তবে বলেছিল যখন পিকনিক করতে যাও তখন দেখা যাবে। যাইহোক হাঁস পেয়ে গেলাম মোটামুটি সবকিছুই প্ল্যান ম্যাফিক চলছিল। হুটহাট করে ক্লিনিক করার প্ল্যানিং করলাম আবার যে হাঁসটা পিকনিক করার জন্য সিলেক্ট করেছিলাম সেটাও পেয়ে গেলাম। হাঁসটা নিয়ে গিয়ে আমাদের বাজারের একটি মুরগির দোকানদারের কাছে সবকিছু বুঝিয়ে দিলাম আর বললাম জবাই করে সুন্দর করে পরিষ্কার করে মাংস তৈরি করে দিবেন আমরা অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। মূলত পিকনিক করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুর কেনাকাটা করা হয়েছে আর সেগুলো আমাদের বাজারের বাসার ছাদে রেখে দেওয়া হয়েছিল মূলত বিক্রি করলে বাজারের বাসার ছাদে পিকনিক করা হয় আর দ্বিতীয় তলাতে পিকনিকের সব সামগ্রী রেখে দেওয়া হয় কারণ সেখানে ভেতরে রুমটা এখনো ফাঁকা পড়ে আছে।



সব আয়োজন শুরু হয়ে গেল বেশ ভালোই লাগছিল হুটহাট এরকম প্ল্যানিং করে ছাদের উপরে পিকনিক আবার রান্নাবান্নাও পুরোপুরি চলছে। পর্যায়ক্রমে রান্নাবান্না শেষে খাওয়া-দাওয়া কমপ্লিট হল হাঁসের মাংসের টেস্ট সম্পর্কে নতুন করে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না দারুন লেগেছিল শুধু এতোটুকুই বললাম। আসলে জীবনটা এমন হলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় আমাদের জীবনটা যেমন চলছে হয়তো এভাবেই চলবে নিজেদের স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করার অন্য রকম একটা মজা প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে পারি যেটা কখনোই মিস করতে চাইনা।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়নভেম্বর,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120723-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

বিকেলে ঘোরাঘুরি সন্ধ‍্যায় মেলা এবং রাতে হাঁসের মাংস দিয়ে পিকনিক আর কী চাই। জীবন তো এভাবেই সুন্দর বেশ লাগল আপনাদের ব‍্যাপার টা। হুটহাট এমন হয়ে গেলে মন্দ হয় না।

একদম ঠিক কথা বলেছ বন্ধু আমাদের মিশন চলছে এবং আগামীতেও চলবে। আমরা সবাই জীবনটাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে চাই। সেদিন পিকনিকে চমৎকার মজা করেছিলাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।