আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৮শে মাঘ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে তিনটি পর্ব শেয়ার করেছি মূলত প্রতি সপ্তাহে কক্সবাজার ভ্রমণের একটি পর্ব শেয়ার করে আসছি। আজকে ধারাবাহিকভাবে চতুর্থ পর্ব নিয়ে আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করব। প্রথম দিকে বান্দরবানের কিছু দৃশ্যপাঠ শেয়ার করেছিলাম আর এখন আপনাদের সাথে কক্সবাজারের পর্বগুলো শেয়ার করছি। প্রথম দিনে কক্সবাজার পৌঁছানোর পর বিচে গোসল করা থেকে শুরু করে আশপাশের বেশ কিছু দৃশ্যপট উপভোগ করাকে কেন্দ্র করে তিনটি পর্ব শেয়ার করেছি আর আজকের পর্বে সন্ধ্যার পরবর্তী মুহূর্তে বাংলা ব্লগের শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা হওয়ার পর যে মুহূর্তগুলো পার করেছিলাম সেটা এই চতুর্থ পর্বে তুলে ধরবো।
গতবছর আমরা যারা কক্সবাজার গিয়েছিলাম তারা শেষ বিকেলে সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার দারুণ সময়টা উপভোগ করেছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলা ব্লগের শামসুন্নাহার আপু আমাদের সাথে যোগাযোগ করে এবং আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য লাবনী পয়েন্টে এসে অপেক্ষা করছিল। আমরা সবাই তখন ঝাও বাগানের সামনাসামনি অবস্থান করছিলাম যখন শামসুন্নাহার আপু আমাদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য আসলো তখন আমরা সবাই পর্যায়ক্রমে লাবনী পয়েন্টের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম। কিছু সময়ের মধ্যেই শামসুন্নাহার আপুর সাথে আমাদের সবার দেখা হয়ে গেল তার সাথে বেশ কিছু সময় গল্প হলো আড্ডা হল। হ্যাঁ আপুর সাথে কাটানো সময়টা এখনও স্মরণীয় হয়ে আছে। আপুর অনুরোধে আমরা লাবনী পয়েন্টের পাশে বাংলাদেশ বিজিবির তত্ত্বাবধানে থাকা একটি রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার নাস্তা করার জন্য গেলাম। শামসুন্নাহার আপুর দুইটা মেয়ে খুবই কিউট তাদের সাথেও বেশ আড্ডা জমে ছিল যাই হোক সবশেষে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আপুর সাথে আবার একটি আচারের দোকানে গেলাম কেননা তিনি আমাদেরকে লোকেশন দেয়ার চেষ্টা করলেন কোন দোকানে ভালো আচার পাওয়া যায়।
কক্সবাজারে বিভিন্ন রকমের আচার পাওয়া যায় বিশেষ করে সেখানে বার্মিজ আচারগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তবে হ্যাঁ আপনি অপরিচিত যে কোনো দোকান থেকে আচার কিনতে গেলে সেই আচারগুলোর সঙ্গে বেশিরভাগ বালু থাকে যেটা খাওয়া যায় না। যেহেতু শামসুন্নাহার আপু কক্সবাজারের স্থানীয় সেহেতু তার পরিচিত একটি দোকান থেকে সরাসরি দোকানদারের সাথে পরামর্শ নিয়ে বেশ কিছু আচারে নিয়েছিলাম। শুধু তাই নয় শামসুন্নাহার আপু তার প্রিয় কিছু আচার আইটেম আমাদেরকে গিফট করেছিল। সবাই যে আচারগুলো নিয়েছিল সেগুলো আলাদা আলাদা প্যাকেট করে পরবর্তীতে বড় একটি পলিব্যাগ এর মধ্যে নিয়েছিলাম। আপাতত আপুর সাথে কেনাকাটা শেষ তখন সবাই শামসুন্নাহার আপুর সাথে কথা বলে বিদায় নিচ্ছিলাম।
তবে মজার বিষয় শামসুন্নাহার আপুর দুই মেয়েই আমাদের সাথে খুব আপন ভাবে মিশে ছিল মনে হচ্ছিল তারা যেন তাদের আপন মামাকে পেয়েছে। সবার সাথেই আড্ডায় আর খেলায় মেতে উঠেছিল। আমি বাইরে তাকাতেই দেখলাম আপুর ছোট মেয়ে রাহুলের সাথে বেশ ভালোই আড্ডায় জমেছে। যদি ছবিগুলো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন আসলেই শামসুন্নাহার আপুর মেয়েরা আমাদেরকে কতটা আপন করে নিয়েছিল।
কিছু সময় পর আমরা শামসুন্নাহার আপুকে বিদায় জানালাম। দেখতে দেখতে অনেকটা সময় সবাই একসাথে পার করেছি সেই সাথে রাত প্রায় ৯:০০ টা ও বেজে গিয়েছিল। শামসুন্নাহার আপু বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো আর আমরা সবাই একসাথে ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে আমাদের হোটেল রুমের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আজকের চতুর্থ পর্বে এই পর্যন্তই থাকছে আবার পরবর্তী ঘটনাটা পঞ্চম পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | ফেব্রুয়ারী,২০২৫ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশেষে আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের চতুর্থ পর্বটি পেয়ে গেলাম। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন এই পর্বে। শামসুন্নাহার আপুর মেয়ে দুটো তো আসলেই ভীষণ কিউট। সবথেকে ভালো লাগলো এটা শুনে যে সেখানে গিয়ে আপনারা লাবনী পয়েন্টে আপুর সাথে দেখা করেছেন এবং রেস্টুরেন্টে নাস্তা সহ আচার কেনা নিয়ে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। সেই মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কক্সবাজারে গিয়ে শামসুন্নাহার আপুর সাথে আমরা সবাই অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি আমি এটা খুব ভালো লেগেছিল আমার কাছে। সত্যি বলতে প্রথমবারের কক্সবাজার ভ্রমণ আমাদের জন্য দারুন ছিল। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কক্সবাজার ভ্রমণের চতুর্থ পর্বে আমার বাংলা ব্লগের শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করার মুহূর্ত তুলে ধরেছেন। শামসুন্নাহার আপুর সাথে দেখা করে আপনাদের ভালো লেগেছিল জেনে ভালো লাগলো। এর আগের পর্বগুলোতে কক্সবাজার ভ্রমণের চমৎকার সব অনুভূতি এবং ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন। আজকের পর্ব পড়েও বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। চমৎকার একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এর আগে কয়েকটা পোস্টে আমি দেখেছি বৃষ্টি আপুরা কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন এবং শামসুন্নাহার আপুর বাবুদের সাথে ফটোগ্রাফি করেছিল। আজকের এই পোস্টে বাবুদের সাথে আপনাদের দেখলাম। ভালো লাগলো আপনাদের ভ্রমণ পোস্ট দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit