বাইক সার্ভিসিং। ‌|| by @kazi-raihan

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ১৯শে কার্তিক | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সোমবার | হেমন্ত-কাল|


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000096766.png

Canva দিয়ে তৈরি



সামনের শুক্রবারে অর্থাৎ ৮ তারিখে সকালে আমাদের বাইক ট্যুরের একটা প্ল্যানিং হয়েছে। যেহেতু অনেক লম্বা পথ অতিক্রম করতে হবে সেহেতু বাইকের ছোটখাটো কিছু সমস্যা থাকলে সেগুলো ঠিক করে নেওয়া উত্তম যাতে যাত্রা পথে কোন সমস্যা না হয়। মূলত বাইকে আল্লাহর রহমতে তেমন কোন সমস্যা নেই তবুও বাইক কেনার পরে এ পর্যন্ত ফুয়েল ইঞ্জেক্টর ক্লিন করা হয়নি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শুক্রবার এর আগেই একদিন সময় করে কুষ্টিয়া গিয়ে শোরুম থেকে ফুয়েল ইনজেক্টর ক্লিন করে নিব। কালকে রাত্রিবেলায় অবশ্য রাজু আহমেদ ভাইয়ের সাথে কথা বলেছিলাম কারণ তিনি ইয়ামাহা মোটরসে চাকরি করেন। ভাইয়ের সাথে কথা বলে বেশ কিছু তথ্য নিয়ে নিলাম বলা চলে তার সাথে কন্টাক্ট করে ভালোই উপকার হয়েছে।

শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় প্রতিটা ছেলের এমন একটা স্বপ্ন থাকে তার নিজের একটা ব্যক্তিগত বাইক থাকবে আর তার ফ্রেন্ড গ্রুপ দের সাথে অনেক দূরে কোথাও বাইক ট্যুর দিবে। প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আলহামদুলিল্লাহ আমার সেই স্বপ্নটা পূরণ হয়েছে। মাঝেমধ্যে বাইক নিয়ে এদিক সেদিক যাওয়া হয় আবার নতুন প্ল্যানিং অনুযায়ী নড়াইল যাওয়ার একটা কথা বাত্রা হয়েছে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে আল্লাহর রহমতে ৮ তারিখ ভোরবেলায় আমরা রওনা হব। যাই হোক যেহেতু বাইকের ছোটখাটো কাজের জন্য কুষ্টিয়া যেতে হবে তাই দেরি না করে সকাল সকাল বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম। নিজের আরো কিছু কাজ ছিল সেই সাথে আমাদের দোকানের কিছু কাজের জন্য যেতে হয়েছিল তাই সকাল আটটার সময় বাসা থেকে বের হলাম। সকালে আমি যখন বাসা থেকে বের হলাম তখন আমাদের এলাকায় খুব একটা কুয়াশা ছিল না। সকালে যখন ঘুম থেকে উঠেছিলাম তখন প্রচন্ড কুয়াশা ছিল।



1000096705.jpg

1000096707.jpg



আমাদের এলাকা থেকে কুষ্টিয়া শহরে যেতে পদ্মার শাখা নদীর কিছু অংশ লক্ষ্য করা যায় আমি সেই এরিয়ার মধ্যে ঢুকতেই দেখতে পেলাম নদীর আশপাশের অংশটা কুয়াশায় ভরে আছে শীতের যে একটা আমেজ অর্থাৎ কুয়াশা সেটা বুঝতে পারছিলাম। চারদিকে প্রচন্ড কুয়াশা মনে হচ্ছিল শীত চলে এসেছে তবে শীতের ফিল পাচ্ছিলাম না। এখনো রাতে ফ্যান দিয়ে ঘুমাতে হয় তাই শুধু কুয়াশা দেখতে পেলাম কিন্তু শীতের ফিল পেলাম না। যাই হোক প্রথমে কুমারখালী গিয়ে অল্প কিছু কাজ ছিল সেটা শেষ করে নিলাম। কুমারখালী গেলেই বিশেষ করে নদীর পাড়ে গিয়ে কিছুটা সময় কাটানো হয় অর্থাৎ এম এন হাই স্কুলের সামনে গড়াই নদীর পাড়ে বটগাছের নিচে সুন্দর বসার জায়গা আছে সেখানে গিয়েই নিয়মিত বসা হয়। তবে আমি যখন একা একা বসে ছিলাম তখন একটা রমণীকে মিস করছিলাম চিন্তা করছিলাম এই সময় যদি পাশে একটা মেয়ে থাকতো তাহলে সময়টা পরিপূর্ণ হতো হা হা হা।



মজার বিষয় সকাল ৯ টা বেজে গিয়েছে তবুও চারিপাশটা কুয়াশায় কেমন যেন ছেয়ে আছে। নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে কারণ শীতের এই মৌসুমে নদীতে পানি অনেকটা কমে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে সুন্দর একটা ভিডিও করেছিলাম যদিও ভিডিওটা এখানে শেয়ার করা হয়নি তবে বটো বৃক্ষের নিচ থেকে কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম যার মধ্য থেকে দুইটি ছবি উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ছবি দুটি দেখলে অবশ্য বুঝতে পারবেন তখন কতটা কুয়াশা ছিল নদীর এপার থেকে বিপরীতপার পর্যন্ত ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছিল না কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই ছিল। সেখানে কিছু সময় বসে থাকার পরে আবার কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কুষ্টিয়া বড় বাজারে কিছু কাজ ছিল সেখানে যেতে হবে তাই দেরি না করে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।



1000096743.jpg

1000096747.jpg

1000096748.jpg

1000096749.jpg

1000096750.jpg

1000096751.jpg



মোটামুটি সারা দিনের কাজ শেষ করে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। কাজ শেষ করে সরাসরি শো রুমে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তবে শোরুমে যাওয়ার আগে আমাদের কুষ্টিয়া শোরুমের ফেসবুক পেজে গিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়ার পরে তারা কন্টাক্ট নাম্বার দিয়ে দিল। আমি কন্টাক্ট নাম্বারে যোগাযোগ করলাম এবং এই ফুয়েল ইনজেক্টর ক্লিন করতে কত টাকা লাগবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিলাম। যদিও আগে থেকেই রাজু আহমেদ ভাইয়ের সাথে কথা বলে এ সম্পর্কে আইডিয়া নিয়েছিলাম তাই তাদের কথা কাজে মিল আছে কিনা সেটা আর যাচাই করতে হয়নি। হ্যাঁ যে আন অফিসিয়াল শোরুম থেকে বাইক নেওয়া হয়েছিল সেখানে একই কাজ করতে ৫০০ টাকা ভিজিট চেয়েছিল। যেহেতু অফিসিয়াল শোরুম থেকে নিলে অনেকটা কম টাকায় করতে পারব তাই অফিশিয়াল শোরুম এ গিয়ে কাজ করানো সিদ্ধান্ত নিলাম। সোজা শোরুমে গিয়ে তাদের সাথে কথা বললাম মোটামুটি তাদের কথাবার্তা বেশ গোছানো ছিল আবার আমার সাথে খুব সুন্দর ব্যবহার করেছিল।



বাইক নিয়ে যাওয়ার পরে দেখতে পেলাম সার্ভিস সেন্টারে প্রচন্ড ভিড় অনেক গাড়ির প্রেসার রয়েছে তবে আমি বাইরে থেকে গিয়েছি বলে আমাকে তারা একটু বাড়তি সুবিধা দিল অর্থাৎ আমার বাইকটা যেন তাড়াতাড়ি সার্ভিস দেওয়া হয় সেটা টেকনিশিয়ানদের কে বলে দেওয়া হল। টেকনিশিয়ান ভাই টাও বেশ মিশুক ছিল আমার সাথে গল্প করতে করতে পুরো বিষয়টা কমপ্লিট করে নিল। উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি মেশিনের ছবি দেওয়া আছে মূলত এটাই ফুয়েল ইনজেক্টর ক্লিনিং মেশিন। তিন ধাপে বাইকের ফুয়েল ইনজেক্টর এই মেশিনের দ্বারা ক্লিন করা হয়। প্রথমে ৯০ সেকেন্ড সময় নিয়ে অটোমেটিক ভাবে মেশিনে ক্লিন করা হয় পরবর্তীতে আবার দুই ধাপে ১০ সেকেন্ড পরে সময় নিয়ে ক্লিন করা হয়। মেশিনের দ্বারা ক্লিন করা হয়ে গেলে সেটি আবার টেকনিশিয়ান বাইকে সেটআপ করে দেয়। এইতো ছিল কাজ পরবর্তীতে কাজ শেষ হওয়ার পরে তাদের পেমেন্ট দিয়ে আমি সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়নভেম্বর,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120723-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আমি আমার এক বড় ভাইকে দেখেছি উনি উনার পরিবারের থেকে বাইকের যত্ন বেশি করতেন। আপনার বাইক সার্ভিসিং দেখে সেটা মনে হল আর কি। তবে যে কোনো জিনিসেরই যত্ন নেওয়া উচিত। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনার ভ্রমণ নিরাপদে হোক সেই কামনাই করছি।

পার্সোনালি গাড়ি থাকার প্রয়োজন রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে যে কোন জায়গায় খুব সহজে যাওয়া সম্ভব হয়। তবে মাঝেমধ্যে এভাবে সার্ভিসিং করাটাও একান্ত প্রয়োজন। কোন সমস্যা চিহ্নিত না থাকলেও অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের সার্ভিসিং করানো একান্ত জরুরি। কারণ দুই চাকার উপরে জীবন থেকে থাকে অনেক সময়।

আপনি তো শুধু একটার কথা বললেন। ছেলেদের শখ শুধু বাইক থাক না ভাই। বাইকের পেছনে গার্লফ্রেন্ড থাকবে এই শখটাও থাকে। কিন্তু সবার সেই শখ পূরণ হয় না হি হি হি। অনেকদিন পর আপনার ফটোগ্রাফি তে আমাদের এম এন বাঁধের এই জায়গাটা দেখলাম। বেশ ভালো লাগল। আশাকরি বেশ ভালোভাবে ট‍্যুর টা দিতে পারবেন।

বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের এখানেও প্রচন্ড কুয়াশা আর ঠান্ডা। হঠাৎ করে এমন কুয়াশা আর ঠান্ডা শুরু হয়ে গেছে সকালে। তবে কিন্তু ভালো লাগছে নতুন অনুভূতি পেয়ে। আর এরই মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেল সার্ভিসিং বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন। পদ্মার বেশ কিছু স্থানে আমি গেছি। আমাকে স্মরণ করিয়ে দিলেন কুষ্টিয়ার এই সমস্ত জায়গা গুলো।

যেহেতু বাইক ট্যুরে যাবেন, সেহেতু বাইকের সার্ভিসিং করাতে খুব ভালো হয়েছে। যাইহোক আপনাদের দিকে তো দেখছি প্রচুর কুয়াশা পড়ে এখনই। শীতের আমেজ এখন থেকেই পাচ্ছেন তাহলে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।