কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব-০৩)। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  10 hours ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -২৪শে মাঘ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | শীতকাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000111586.png

Canva দিয়ে তৈরি



গত সপ্তাহে কক্সবাজার নিয়ে আপনাদের সাথে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছিলাম যেহেতু বান্দরবানের পর্ব শেষ করে আবার কক্সবাজারের স্মৃতিগুলো ধারাবাহিক পর্যায়ক্রমে শেয়ার করছি সেই ধারাবাহিকতায় আজকে কক্সবাজার নিয়ে তৃতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। দ্বিতীয় পর্বে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য নিয়ে বিস্তারিত সবকিছু শেয়ার করেছিলাম এবং দুপুরের পর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। মূলত শেষ বেলায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউ বাগানের দিকে কিছুটা সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তাই সবাই মিলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ঝাউ বাগানের দিকে গিয়েছিলাম। মূলত ঝাউ বাগানের দিকে যেরকম সৌন্দর্য আশা করেছিলাম সেরকম আকর্ষণীয় তেমন সুন্দর্য দেখতে পারিনি অনেকটাই ময়লা আবর্জনায় ভরপুর পুরোপুরি অপরিষ্কার একটা পরিবেশ।



20240122_164918.jpg

20240122_170056.jpg

20240122_170603.jpg

20240122_170609.jpg

20240122_170614.jpg

20240122_170651.jpg

20240122_170726.jpg

20240122_170716.jpg

20240122_170739.jpg



ঝাউ বাগানের পরিবেশটা ভালো না লাগায় খুব বেশি সময় সেখানে থাকা হয়নি। ঝাউ বাগানের সামনের সৌন্দর্যটা আমাদের সবার কাছেই অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। আমরা যখন ঝাউ বাগানের সামনে ছিলাম তখন সূর্যটা পুরোপুরি সমুদ্রের উপরের অংশে হেলে পড়েছিল। সেই সাথে সমুদ্রের হালকা ঢেউ পরিবেশটা এত ভালো লেগেছিল যেন কক্সবাজার আসার টাকা উসুল হচ্ছিল হা হা হা। যাইহোক আমরা দীর্ঘ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম মূলত যখন উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড় হয় সেই ঝড় মোকাবেলার জন্য ঝাউ বাগানের সামনে উঁচু বেরিকেট তৈরি করে রাখা হয়েছে সেটার উপর দাঁড়িয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্যটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করা যায়। সেখানের সৌন্দর্যটা কতটা ভালো লেগেছিল তার একাংশ যদি উপভোগ করতে চান তাহলে উপরে শেয়ার করা ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন।



20240122_171221.jpg

20240122_171505.jpg

20240122_171857.jpg

20240122_171910.jpg



পরবর্তীতে আমরা প্রায় আধা ঘন্টা সময় সমুদ্র সৈকতের পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত যাওয়ার সৌন্দর্যটা উপভোগ করেছিলাম। তবে সেখানে আকর্ষণীয় একটা সুন্দর উপভোগ করেছিলাম সেটা হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের বিমান ব্ল্যাড করার আগ মুহূর্তে একদম পর্যটকদের খুব কাছ দিয়ে বিমান যায়। যেটা স্থানীয় পর্যটকদের বেশ আকৃষ্ট করে। যদি ছবি থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন আসলে সেখানে বিমান টা কতটা নিচু দিয়ে যায়। সবাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ব্যস্ত আর আমি ছোট ভাই জীবনের সাথে সেখান থেকে ছবি উঠেছিলাম তার মধ্যে একটি ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে এসেছি কিছু সুন্দর সুন্দর ছবি না তুললে যেন কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে যায় তাই বেশ কিছু ছবি উঠেছিলাম তবে নিচের ছবিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল কারণ সমুদ্রের ঢেউ আর সূর্যের আলো কম্বিনেশনটা বেশি আকৃষ্ট করেছিল। পরবর্তীতে সূর্য অস্ত যাওয়ার পরবর্তীতে শামসুন্নাহার আপু আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল। তিনি আমাদের সাথে দেখা করতে আসায় আমরা তার সাথে কিছুটা সময় কাটালাম বেশ ভালোই আড্ডা চললো সবার একসাথে।



20240122_174611.jpg

20240122_174659.jpg

20240122_174709.jpg

20240122_174829.jpg

20240122_174815.jpg

20240122_174839.jpg

20240122_175657.jpg

20240122_175556-01.jpg



বেশ কিছু সময় সবাই আড্ডা দেওয়ার পরে শামসুন্নাহার আপু কে নিয়ে আমরা একটি শুটকি মাছের দোকানে গেলাম। মূলত দোকানদারটি শামসুন্নাহার আপুর কিছুটা পরিচিত ছিল তাই সেই দোকানে গিয়ে শুটকি মাছ কেনার ব্যাপারে কথা বললাম। সেখান থেকে আমরা অনেক রকমের শুটকি মাছ দেখলাম। শুটকি মাছের মধ্যে চিংড়ি মাছের কালেকশনগুলো কয়েক কেজি সবাই মিলে নিয়েছিলাম। আমাদের গ্রুপে যারা ছিল তারা সবাই তাদের ইচ্ছা মতো শুটকি মাছ কিনছিল। যেহেতু আমার খুব একটা শুটকি মাছ কেনার চিন্তা ছিল না তাই আমি আপাতত দোকানের বাইরে বসে তাদের শুটকি মাছ কেনার বিষয়টা দেখছিলাম। সবশেষে দোকানদার আমাদেরকে একটা কথা বললেন আপনারা শুটকি মাছ গুলো নিয়েছেন এগুলোর মধ্যে বিন্দু পরিমানে বালু নেই তবে অন্য দোকান থেকে শুটকি মাছ কিনলে সেই শুটকি মাছের মধ্যে বালু থাকতে পারে কারণ বেশিরভাগ পর্যটকেরা শুটকি মাছ কিনতে আসলে দোকানদাররা কম দামের শুটকি মাছ বেশি দামে বিক্রি করে যেগুলোর মধ্যে বালি থাকে।

আমি দোকানের বাইরে বসে বসে শামসুন্নাহার আপুর দুই মেয়ের সাথে অনেকটা আড্ডা দিয়েছিলাম সেই মুহূর্তেই ওদের সাথে ছবি উঠেছিলাম। মজার বিষয় ওরা দুইজন খুব সহজেই আমাদের সাথে মিশে গিয়েছিল বেশ সুন্দর করে মামা বলে ডাকছিল। যাই হোক কক্সবাজার ভ্রমণের এই পর্ব এখানেই শেষ করছি।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়ফেব্রুয়ারী,২০২৫



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20230226135443_IMG_2201-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

1000111606.jpg

1000111605.jpg

1000111604.jpg

1000111602.jpg

1000111603.jpg

আপনি দেখতে দেখতে আজকে কক্সবাজার ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করলেন। আপনার বিগত দুটি পর্ব এবং এই পর্বটি দেখে মনে হচ্ছে কক্সবাজার বাংলাদেশের লন্ডন শহর। যাঁর সৌন্দর্যের কোন তুলনা হয় না। আপনি অনেক সুন্দর করে ছবি ক্যাপচার করেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার ও ইচ্ছে হচ্ছে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য। পরবর্তী বছরে যাবো ইনশাআল্লাহ্।