আজ মহান বিজয় দিবস। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  16 days ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ১লা পৌষ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সোমবার | শীত-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000102087.png

Canva দিয়ে তৈরি



আজকের দিন টা বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের কাছেই স্পেশাল। আজ বিজয়ের ৫৪ তম বছর এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশ বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। শহীদদের স্মরণে শোক র‍্যালি সহ বিজয়ের দিনটা নানান ভাবে রাঙিয়ে তোলা হয়। মূলত ডিসেম্বর মাসের প্রথম থেকেই বাংলাদেশের মানুষের মনে বিজয় দিবসের কথা কমবেশি স্মরণ হয় আর এই দিনটা ১৬ই ডিসেম্বর সকাল থেকেই বেশ জাকজমক ভাবে পালন করা হয়। শৈশবে যখন স্কুলে লেখাপড়া করতাম তখন ১৬ই ডিসেম্বর সকাল বেলায় র‍্যালির মাধ্যমে দিনটাকে উদযাপন করা হতো। তবে যখন মাধ্যমিক পাশ করলাম তারপর থেকে শহরে চলে যাওয়ার পরে নতুন পরিবেশে এই দিনটা আর সেই ভাবে উদযাপন করা হয়নি তবে আমাদের কলেজ সহ শহরাঞ্চলের প্রতিটা অলিতে গলিতে এই বিজয়ের উদযাপনের আমেজ উপভোগ করতাম। এখনো আমাদের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ভবন গুলো লাল আরো সবুজ আলোয় আলোকিত করা হয়। যেটা জানান দেয় মহান বিজয়ের প্রতি বিনম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামের নতুন একটি দেশের আবির্ভাব হয়। তাদের প্রতি এখনো আমরা কৃতজ্ঞ যারা সেই সময়ে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল আমাদেরকে খাদ্য সহযোগিতা দিয়েছিল আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছিল সেই সাথে যুদ্ধ করার মতো সাহস দেখিয়েছিল। নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর ৯১৬৩৪ জন সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর ফলে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। এই বিষয়টা আমরা বইয়ের পৃষ্ঠায় সেই ছোট থেকেই পড়ে আসছি কেননা এটা আমাদের বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের ক্ষেত্রে ঐতিহ্য বলা চলে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের সবাই এই স্মৃতিটা ধরে রাখার চেষ্টা করছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখার চেষ্টা করছে।



যাই হোক যারা জীবন দিয়ে আমাদের দেশটাকে রক্ষা করেছে তাদেরকে আবারো স্মরণ করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের জন্য দোয়া করছি। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একত্র হয়ে দেশের জন্য লড়েছিল দেশটাকে রক্ষা করেছিল। প্রতিবছরই সাভারের স্মৃতিসৌধে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিনটাকে উদযাপনের পাশাপাশি দিনটা সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দেশের সব উচ্চ কর্মকর্তা জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। তাছাড়া দেশপ্রেমিক সব ধরনের মানুষেরা সারাদিন সেখানে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে যেটা অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি। শুধু তাই নয় বাংলাদেশের প্রতিটা টিভি চ্যানেলে সকাল থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের বিষয়টি সরাসরি প্রচার করা হয় তাছাড়া এই দিনটায় মসজিদ মন্দিরসহ সব জায়গাতেই শহীদদের প্রতি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।



দেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেশকে যেমন ভালোবাসা উচিত তেমনি দেশের জন্য যারা যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো উচিত। প্রতিটা মানুষ নিজের জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সেই শহীদদের প্রতি যেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কেননা যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের জন্যই আমরা আজকে স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করতে পারছি স্বাধীনভাবে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি যদি দেশ স্বাধীন না হতো সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের জাতীয় ভাষা হতো উর্দু কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা বাঙালিরা নিজের ভাষাকে আবার ফিরে পেয়েছি। নিজের মায়ের ভাষাকে নিজের করে পেয়ে সেই ভাষায় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে পেরেছি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।



আজ বিজয় দিবস দিনটা অনেক ব্যস্ততার মাঝে কাটলেও সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ অলিতে গলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনটাকে আলাদাভাবে উদযাপন করা হয়েছে সেই সাথে সকাল থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিজয়ের যেমন একটা আভাস পেয়েছিল সেই সময়ের জনগণ ঠিক একইভাবে এবারেও যেন মাইকের শব্দে সেই বিজয়ের আভাস পাওয়া যায়। সেই সময় প্রযুক্তির এতটা আবির্ভাব না হলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই আবেগটা মানুষের মাঝে পৌঁছে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে সেইসময়ের ভিডিওগুলো এখনো ভাইরাল হচ্ছে যেগুলো থেকে মানুষ শহীদদের প্রতি আরো বেশি ভালোবাসা দেখাচ্ছে। বিজয়ের সাথে এই সংস্কৃতি ধরে রেখে পরবর্তী প্রজন্ম যেন এগিয়ে যেতে পারে এমনটাই আশা রাখি।



🔚সমাপ্তি🔚


এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


IMG_2373 (1).HEIC

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

1000102146.jpg

1000102147.jpg

1000102148.jpg

1000102149.jpg

1000102150.jpg

1000102151.jpg

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

স্বাধীনতা অর্জন করা যতটা কঠিন তার থেকে বেশি কঠিন স্বাধীনতা রক্ষা করা। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের দেশ ফিরে পেয়েছি স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারছি। এটা আমাদের সারা জীবন রক্ষা করতে হবে। মহান বিজয় দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ভাইয়া।

অনেক দামী কথা বলেছেন আপু। হ্যাঁ, স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন তার চেয়ে বেশি কঠিন স্বাধীনতা রক্ষা করা।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। আর এই দিনকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করব পাশাপাশি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করব সেই সমস্ত মানুষগুলোকে যারা আমাদের দেশ স্বাধীন করার জন্য নিজের শরীরের রক্ত বিসর্জন দিয়েছেন নিজের ইজ্জত বিলিয়ে দিয়েছেন। বারবার ফিরে আসুক আমাদের এই স্বাধীনতা আর আমরা যেন স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারি সে প্রত্যাশা রইল।

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

একটি দেশ স্বাধীন হয় হাজারো ব্যর্থতা বিসর্জন দিয়ে। একটি দেশ স্বাধীন হয় হাজারো জনগণের প্রাণ দিয়ে। একটি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই সেই দেশের সব দায়িত্ব কর্তব্য শেষ হয়ে যায় না। দেশের বেঁচে থাকা নাগরিকের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়ে যায় সেই দেশের স্বাধীনতার প্রতি। যারা সে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন সেই সব শহীদদের স্মরণ রাখা দরকার। অনেক ভালো লিখেছেন আপনি শুভকামনা রইল।

অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। সুন্দর কথা গুলো তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আজকে আমাদের জাতীয় মহান বিজয় দিবস। এই দিনটাকে আমাদের দেশের মানুষ যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছে এবং যে কোন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে। আমাদের এখানেও বেশ অনেক মানুষের আনন্দ করতে দেখা গেছে।

অনেক সুন্দর মতামত প্রকাশ করেছেন আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শৈশবে এই দিনগুলো খুবই পালন করা হতো। আর স্কুলে গেলেই র‍্যালি,জাতীয় সঙ্গীত কিংবা ফুল দিয়ে উদযাপন করা হতো দিনটি।সবথেকে পতাকা উত্তোলনের সময়টি খুবই ভালো লাগার বিষয় ছিল, যাইহোক আপনি দারুণ অনুভূতি প্রকাশ করেছেন বিজয় দিবসকে ঘিরে।ধন্যবাদ আপনাকে।

চমৎকার মন্তব্য করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনার অনুভূতি পরে খুবই ভালো লাগলো। লাখো রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। পৃথিবীতে আমরা একমাত্র জাতি যারা দেশ ও ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।

অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।