লালন মিউজিয়াম। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ৬ই কার্তিক | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | হেমন্ত-কাল|


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000094448.png

Canva দিয়ে তৈরি



কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার সারা বাংলাদেশের মধ্যে বিখ্যাত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লালন শাহের মাজারে ঘুরতে আসে। যখন লালন শাহের মাজারে মেলা হয় তখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লালন ভক্তরা ছুটে আসে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া গ্ৰামে। যখন লালনের মেলা শুরু হয় তখন পুরো এলাকাটায় যানজট থাকে কারণ মেলা শুরুর একসপ্তাহ আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে এখানে অবস্থান করে। বলা চলে আপনি চাইলেও এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে পারবেন না। আমি গত সপ্তাহে লালনের মেলা শুরু হওয়ার পূর্বে কুষ্টিয়াতে একজনের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। সে আমাকে অফার করল লালনের মেলায় যাওয়ার জন্য মূলত সে কখনো লালনের মেলাতে যায়নি শুধু ইউটিউবে লালন শাহের মাজারের মধ্যে যে মিউজিয়াম আছে সেটা সম্পর্কে দেখেছে তাই আমার সঙ্গে যাওয়ার প্রস্তাব দিল।

আমরা প্রথম দেখা করেছি আর সে আমাকে লালন শাহের মিউজিয়াম ঘুরে দেখানোর কথা বলল তাই আমি না করতে পারেনি। যদিও তখন মেলা শুরু হয়নি। আমরা যেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম তার ঠিক তিনদিন পর থেকে মেলা শুরু হবে যদিও মেলা শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই সেখানে ভিড় শুরু হয়ে যায় তো বিকেল বেলায় আমি বাসা থেকে বের হলাম। তিনটার মধ্যে আমি কুষ্টিয়া শহরে চলে আসলাম মূলত আমার ব্যক্তিগত কিছু কাজ ছিল সেগুলো কমপ্লিট করে আমি সেই মানুষটার সঙ্গে দেখা করব। কুষ্টিয়া বাইপাস হয়ে ত্রিমোহনি চলে গেলাম সেখান থেকে সেই মানুষটার সাথে দেখা হল পরবর্তীতে আমরা কুষ্টিয়া সদরে চলে এলাম।



1000094018.jpg

1000094026.jpg

1000094027.jpg



আমাদের সঙ্গে আরও একটা ভাইয়া যুক্ত হবে যার কারণে আমারা কুষ্টিয়া বড় বাজারে এসে সেই ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কুষ্টিয়া বড় বাজারে রেলওয়ে স্টেশনের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম তার কিছু সময় পরেই ভাইয়া চলে আসলো মূলত ভাইয়া একটি টিউশনিতে গিয়েছিল যার কারণে ফিরতে একটু দেরি হয়েছিল আর আমাদের সেখানে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ভাইয়া যখন আসলো তখন অলরেডি স্টেশনে ট্রেন চলে এসেছে যার কারণে পুরো এলাকাটা কিছু সময়ের জন্য যানজটে আটকে যাবে তাই যানজট শুরু হওয়ার আগেই আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। যেহেতু লালনের মেলায় যাব তাই আমি বাইকটা আলাদা একটি জায়গায় পার্কিং করে রাখলাম পরবর্তীতে সবাই একসাথে একটি ইজিবাইকে লালনের মেলার দিকে যাত্রা শুরু করলাম।



যদিও আমি তাকে বলছিলাম আপনি মেয়ে মানুষ হয়ে লালনের মেলায় যাচ্ছেন সবাই আপনাকে দেখে কি মনে করবে জানেন হা হা হা, তখন তিনি বলছিলেন কে কি বলল সেটা দেখে তো লাভ নেই আমি তো সেখানে খারাপ কিছু করতে যাচ্ছি না বা লালনের ভেতরেও ঢুকবো না আমি শুধু মিউজিয়াম দেখে চলে আসব। তার কথা অনুযায়ী সোজা মেইন গেটের সামনে ইজিবাইক গিয়ে থামল মূলত পুরোপুরি মেলা শুরু হয়ে গেলে ভেতরের এরিয়াতে কোন গাড়ি ঢুকতে পারে না তবে তখন মেলা রানিং হয়নি যার কারণে ইজিবাইক নিয়ে ভেতরে ঢুকতে পেরেছিলাম। ইজিবাইক থেকে নেমে মেইন গেট হয়ে আমরা লালনের মাজারের ভিতরের অংশ প্রবেশ করলাম। যেহেতু আমরা সোজা মিউজিয়ামে ঢুকবো তাই গেটের বাম পাশে তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের নিচ তলায় যে মিউজিয়াম রয়েছে সেখানে টিকিট নিয়ে ঢুকলাম। সেখানে ঢুকতে জন প্রতি 10 টাকার টিকিট নিতে হয়।



1000094028.jpg

1000094029.jpg

1000094030.jpg

1000094031.jpg

1000094033.jpg

1000094034.jpg

1000094035.jpg

1000094036.jpg

1000094037.jpg

1000094038.jpg

1000094039.jpg

1000094040.jpg

1000094041.jpg

1000094042.jpg



ভেতরে ঢুকে দেখতে পেলাম তৎকালীন সময়ে লালনের ব্যবহৃত কিছু স্মৃতি সেখানে রেখে দেয়া হয়েছে। সেই সময় যে পাতিলে রান্না হতো সেই পাতিল টাও সেখানে রাখা হয়েছে। সেই সাথে সেখানে লালন শাহের মূর্তি তৈরি করে রাখা হয়েছে সেটা পুরোপুরি কাঠের তৈরি। মিউজিয়ামের ভিতরে যা কিছু ছিল সব কিছুর পর্যায়ক্রমে ছবি তুলেছিলাম আর সেই ছবিগুলো উপরে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। ভেতরের মিউজিয়াম সবাই মিলে ঘুরে দেখার পরে গ্রুপ সেলফিও নিয়েছিলাম তবে সেটা প্রাইভেসির জন্য এখানে শেয়ার করিনি। পরবর্তীতে যখন মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে এলাম তখন মিউজিয়ামের প্রধান ফটকের ছবি তুলেছিলাম।



যেহেতু মেলার ভেতরে যাওয়ার কোন ইচ্ছে ছিল না তাই আমরা পরবর্তীতে আবার মেইন গেটে এসেছি। সেখান থেকে ইজিবাইকে করে কুষ্টিয়া সিংগার মোড়ে এসে একটা রেস্টুরেন্টে বসে ছিলাম আর সন্ধ্যায় সেখানেই নাস্তা সেরে নিয়ে পরবর্তীতে রাতের বেলায় বাসায় ফিরেছিলাম। বন্ধুরা এই ছিল আজকে আমার আয়োজন লালনের মিউজিয়াম আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেখানকার ছবিগুলো দেখে আপনাদের কি মনে হয়েছে সেটা কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করে জানিয়ে দিবেন।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়অক্টোবর,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231103_120723-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপনার সৌজন্যে আমারও লালন শাহের মিউজিয়াম দেখার সুযোগ হয়ে গেল। পরবর্তী সময়ে এই জায়গায় যাওয়ার খুব ইচ্ছে আছে। গতবার বাংলাদেশ গেলেও এখানে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আপনি ভীষণ সুন্দর করে সবটা ব্যাখ্যার মাধ্যমে তুলে ধরলেন আমাদের সামনে। লালন শাহ এমন এক ব্যক্তি যার মানবতা সারা পৃথিবীতে চর্চিত। আর ঈশ্বরতুল্য সেই ব্যক্তির জায়গার সান্নিধ্য আপনি লাভ করলেন, এটা জীবনে অনেক বড় পাওয়া।

চলে আসুন দাদা, নিজের মধ্যে সাক্ষাত ও হবে।

বেশ কিছুদিন আগে আমি লালনের এই মিউজিয়াম ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম খুবই ভালো লেগেছিল জায়গাটা দেখে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বিখ্যাত কয়েকটা জায়গার মধ্যে এটা অন্যতম। জায়গাটা সম্পর্কে আপনি আজকে অনেক সুন্দর বিবরণ দিয়েছেন এটা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো।

হ্যাঁ, সারা দেশের মধ্যে বিখ্যাত। আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।