স্বপ্নদীপ রিসোর্ট। (পর্ব-০১) || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -১৬ই আশ্বিন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | শরৎ-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000092885.png

Canva দিয়ে তৈরি



বেশ কিছুদিন ধরে পাবনার ঈশ্বরদীতে যাওয়ার একটা প্ল্যানিং ছিল কিন্তু সময় হয়ে উঠছিল না। বিকেলের দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে বেশ ভালোই লাগে বিশেষ করে লালন শাহ সেতুর উপরের দৃশ্যটা অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রথমদিকে প্ল্যানিং ছিল আমাদের গ্রুপের সবাই মিলে সেখানে ঘুরতে যাব তবে নানান পাধা বিপত্তির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি ভেবেছিলাম যখন একটু শীতের আভাস শুরু হবে সেই সময় ঘুরতে যাব। আপনি বাইক ট্যুরে যান বা যেকোন ভাবেই কোথাও ট্যুর দিতে গেলে শীতের শুরুতে অথবা শীতের শেষে পারফেক্ট টাইম। কারণ প্রচন্ড গরমে কোথাও ঘুরতে গেলে সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় আর গরমের প্রভাব সহ্য করতে না পারলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই শীতের শুরু অথবা শীতের শেষে ভ্রমণ করার জন্য উপযুক্ত সময়।



20240921_101415.jpg

20240921_101438.jpg

20240921_101445.jpg

20240921_102146.jpg

20240921_102304.jpg

20240921_102313.jpg



মামাতো ভাই আহাদ প্রথমে ঈশ্বরদী যাওয়ার কথা বলেছিল তবে হঠাৎ মাঝে কয়েকদিন এক টানে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আর যাওয়া হয়নি পরবর্তীতে যখন আবার যাওয়ার প্রস্তাব দিল তখন নিজের একটু ব্যস্ততা ছিল প্রথমদিকে যেতে অস্বীকার করেছিলাম। পরবর্তীতে মামাতো বোন যখন ফোন করে বারবার বলছিল তখন আম্মু বলল ওরা এত করে বলছে তাহলে যাচ্ছিস না কেন। মূলত মামাতো ভাইয়ের বিয়ে যার কারণে আমরা পাবনার ঈশ্বরদীতে গিয়ে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মূলত তারা আগে থেকেই সব প্ল্যানিং করে রেখেছিল শুধু মামাতো বোন সাথে যাবে বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমার বাইকে আমি আর আমার মামাতো বোন অন্য ভাইকে মামাতো ভাই আহাদ আর তার ফিওনসি। আমি আর আপু আমাদের বাসা থেকে একসাথেই গেলাম আর আহাদ দ্রুত কুষ্টিয়া থেকে ওর ফিওনসিকে পিক করে নিল। পরবর্তীতে একসাথে কুষ্টিয়া থেকে পাবনার ঈশ্বরদীর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। প্রথমে গিয়ে লালন শাহ সেতুর পাশে কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছিলাম কারণ সেখানে প্রতিটা বাইকে ১০ টাকা করে টোল দিতে হয়।



20240921_103317.jpg

20240921_103330.jpg

20240921_103426.jpg

20240921_103435.jpg

20240921_103449.jpg

20240921_104850.jpg

20240921_104855.jpg

20240921_104858.jpg

20240921_104901.jpg

20240921_105004.jpg

20240921_105010.jpg

20240921_105032.jpg

20240921_105040.jpg

20240921_105054.jpg

20240921_105057.jpg

20240921_105059.jpg

20240921_105102.jpg

20240921_105111.jpg



লালন শাহ সেতু পার হয়ে স্বপ্নদ্বীপ রিসোর্টে পৌঁছাতে আরো তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়। মোটামুটি অনেকখানি দূরে। তবে আমরা যেহেতু বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম তাই খুব একটা দূর মনে হয়নি। সুজন রিসোর্টের সামনে এসে বাইক থামিয়ে তাদের থেকে বিস্তারিত বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। বড় একটি সাইনবোর্ডে বিস্তারিত সেখানে উল্লেখ করা আছে আমরা চারজন ছিলাম তাই চার জনের জন্য ১৪০০ টাকার একটি প্যাকেজ নিয়েছিলাম যার মধ্যে রিসোর্টের প্রবেশ ফি সহ সেখানে লাঞ্চ করার সব আইটেমগুলো উল্লেখ করা ছিল তো চারজন মিলে ১৪০০ টাকার প্যাকেজটা কনফার্ম করলাম। আমরা যেহেতু বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম তাই বাইক পার্কিংয়ের জন্য আবার আলাদা টিকিট নিতে হয়েছিল সেখানে বাইক রাখতে ৩০ টাকা করে আলাদা টিকিট নিতে হয়। দুইটা বাইকের জন্য আলাদা টিকিট নিয়ে যেখানে বাইক পার্কিং করা হয় সেই গেইটের দিকে এগিয়ে গেলাম এবং বাইক পার্কিং করার নির্দিষ্ট স্থানে বাইক পার্কিং করার পর সেখানে কর্মরত একজন ব্যক্তি আমাদের হাতে কার্ড ধরিয়ে দিলেন। আমরা কার্ডগুলো নিয়ে রিসোর্ট এর ভেতরের দিকে যেতে শুরু করলাম প্রথমেই দেখতে পেলাম সেখানে ভিন্ন রকম কোন আয়োজন এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সামনে গিয়ে জানতে পেলাম প্রতি শুক্রবারে এখানে নানান আয়োজন হয় আর আমরা শনিবারে গিয়েছিলাম বলে আয়োজন শেষে সেই আয়োজনের সরঞ্জাম গুলো খুলে ফেলা হচ্ছিল। মূলত আমরা বিষয়টা উল্টো বুঝেছিলাম হা হা হা।



20240921_105129.jpg

20240921_105139.jpg

20240921_105149.jpg

20240921_105213.jpg

20240921_105220.jpg

20240921_105257.jpg

20240921_105303.jpg

20240921_105305.jpg

20240921_105309.jpg



সেখানে নানান কৃত্রিম সৌন্দর্য দ্বারা পরিবেশটা সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কৃত্রিমভাবে হাতি সহ বিভিন্ন মূর্তি তৈরি করে রাখা হয়েছে তাছাড়া ভিন্ন ভিন্ন গাছগুলো সেখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা যেহেতু দীর্ঘ পথ বাইক চালিয়ে সেখানে গিয়েছি তাই চাইছিলাম সেখানকার ঝর্ণা থেকে হাত মুখ ধুয়ে কিছুটা ফ্রেস হয়ে নিবো। মূলত সেখানে একটি কৃত্রিম ঝর্ণা তৈরি করে রাখা হয়েছে যেখানে পর্যটকেরা গিয়ে ঝর্নার ফিল নিতে পারে। তবে সেখানে যে ঝর্ণা তৈরি করে রাখা হয়েছে তার পানিটা বেশ ভালোই ঠান্ডা যেহেতু দীর্ঘ পথ বাইক ড্রাইভ করে গিয়েছি আবার মোটামুটি বেশ ভালই রোদের প্রভাব ছিল তাই ঠান্ডা পানির স্পর্শটা দারুন লেগেছিল।

ফ্রেশ হয়ে চাইছিলাম হালকা কিছু ঠান্ডা জাতীয় খাবার খেতে মূলত কোলড্রিংস খেতে হলে বাইরের থেকে কিছুটা বেশি দাম দিয়ে খেতে হয়। আর রিসোর্ট এর মধ্যে এরকমটা হবে তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যাই হোক সেখানে যে দোকানটা ছিল সেই দোকানের দিকে রওনা হলাম। যেহেতু আমি বাইক ড্রাইভ করেছি সেহেতু আমার একটু বেশি পানি পিপাসা পাবে এটা স্বাভাবিক। আজকে এ পর্যন্তই বাকি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়অক্টোবর,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20230226135443_IMG_2201-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

  ·  2 months ago (edited)

টাইটেলে এবং ব্যানারে বানানটা সঠিক করে নেবেন। রিসোর্ট হবে শব্দটা।

জ্বী দাদা ঠিক করে নিয়েছি।