আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৩রা ফাল্গুন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আমাদের সমাজে বৈষম্য কম বেশি চলমান আছে শুধু আমাদের সমাজে নয় পৃথিবীর সব জায়গায় সব খানেই কমবেশি বৈষম্য থাকে আর মানুষ এই বৈষম্য শব্দ টা খুবই ঘৃণা করে কেননা এই বৈষম্যের কারণেই অনেকেই তাদের নিজের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। আমরা যতই বৈষম্য বিরোধী কথা বলি না কেন দিনশেষে নিজেরাও বৈষম্যের কাছে হেরে যায় স্বাভাবিকভাবেই আপনি আপনার কাছের মানুষগুলোকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন সে ক্ষেত্রে আপনি বই সময়ের কাছে হেরে গেলেন। আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত এমন অনেক ঘটনায় লক্ষ করা যায় যেগুলো স্বজনপ্রীতি বা বৈষম্যের কাছে নিজের সততা হার মেনে যাচ্ছে। আমরা সবাই যতই বৈষম্য বিরোধী কথা বলি না কেন দিন শেষে দেখা যায় আমাদের সমাজটাই যেন বৈষম্যের ঘাঁটি।
মূলত সমাজের প্রতিটা মানুষকে যদি একই চোখে দেখা হয় সেক্ষেত্রে এই বৈষম্য শব্দটা আমাদের সমাজ থেকে বিলীন হয়ে যাবে। আর এমন মন মানসিকতা তৈরি করতে হলে নিজেকে আরও বেশি উদার হতে হবে কেননা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করি সমাজের কোন উন্নয়নমূলক কাজে বা কোন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়ার পরে যারা বড় পদে দায়িত্বরত থাকে তারা চেষ্টা করে যেন তাদের কাছের মানুষগুলোকে সেই প্রতিষ্ঠানে বাড়তি একটা কাজের সুযোগ করে দিতে পারে। যদি সেই দায়িত্বরত ব্যক্তি এই বৈষম্যের বিষয়টি বিবেচনা না করে একজন যোগ্য ব্যক্তি বা যে ব্যক্তি উক্ত কাজের জন্য উপযুক্ত তাকে নির্বাচন করে সেক্ষেত্রে সেই প্রতিষ্ঠানের বৈষম্য দূর হয়ে গেল। আর এভাবেই ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে আমাদের সমাজ থেকে বৈষম্য দূর হয়ে যাবে।
এত সময় আমাদের সমাজের বেশ কয়েকটি বৈষম্য কেন্দ্রিক কথা বললাম। বৈষম্য শুধু সমাজে নয় আপনি যদি অনেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেন দেখবেন বৈষম্য আমাদের পরিবার পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই একসময় ছিল পরিবারে চার থেকে পাঁচ জন সন্তান থাকতো। এখনো অনেক পরিবারে তিন থেকে চার জন ছেলেমেয়ে নিয়ে পরিবার গঠন হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোন একটা ছেলেকে তুলনামূলক বেশি ভালোবাসে আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবার যা সম্পত্তি আছে সেটা পুরোটাই ছেলেদের নামে লিখে দিয়ে যায় মেয়েদের নামে কিছুই অবশিষ্ট রাখেনা। একই বাবা মা তার ছেলেদেরকে পুরোপুরি অর্থ সম্পদ লিখে দিল কিন্তু একই বাবা তার মেয়েকে কিছুই অবশিষ্ট রেখে গেল না। এক্ষেত্রেও মেয়েদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। সত্যি বলতে আমাদের গ্রামে এমন অনেকগুলো বাস্তব উদাহরণ দেখেছি তাই এই উদাহরণ টাও শেয়ার করলাম।
সাধারণত স্কুল থেকে ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষা অর্জন করে তবে এই সুশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য লক্ষ্য করা যায় যেখানে বৈষম্যর বিরুদ্ধে বইয়ের পৃষ্ঠার সবকিছু শিক্ষা দেয়া হচ্ছে আর সেখানেও এই বৈষম্য তাহলে বৈষম্য প্রতিটা মানুষের রক্তের সাথে মিশে যাচ্ছে এই কথাটা বলাই যায়। একজন শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীকে যদি প্রাইভেট পড়ায় সেক্ষেত্রে সেই শিক্ষক ক্লাসে তার শিক্ষার্থীকে একটু বাড়তি সুবিধা দেয়। এখানে বৈষম্যের বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। আবার কোন শিক্ষার্থীর বাবা যদি প্রভাবশালী বা অধিক টাকা ওয়ালা মানুষ হয় সেক্ষেত্রে তার সন্তানকে ক্লাসে আলাদা মূল্যায়ন করা হয়। এই বিষয়টা বিশেষ করে গ্রামের যেসব স্কুল-কলেজ আছে সেখানে তুলনামূলক বেশি লক্ষ্য করা যায়। এমন অনেক উদাহরণ আপনি আপনার চারপাশে দেখতে পাবেন যেগুলো আমাদের সমাজটাকে বৈষম্যের পক্ষে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
অনেকগুলো উদাহরণ তো উপরে উল্লেখ করলাম এখন সামান্য কিছু কথা বলব কিভাবে এই বৈষম্য থেকে আমাদের সমাজটাকে মুক্ত করা যায়। আমার মনে হয় প্রথমে আমাদের সবার মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে সেই সাথে দেশের সরকারকে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটু কঠোর হতে হবে কেননা আমরা মানব জাতি কোন কিছুই স্বাভাবিকভাবে করতে চাই না যে কোন কাজের ক্ষেত্রে যখন দেখি একটু প্রেসার দেওয়া হচ্ছে তখন সেই কাজটা ঠিকঠাক ভাবে করতে চাই। আর যদি পুরোপুরি সুযোগ দেওয়া যায় সে ক্ষেত্রে বলা চলে একদম মাথায় উঠে বসে। তবে আমার মতে আপনি আপনার নিজ অবস্থান থেকে এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে পরিবর্তনের মাধ্যমে একসময় বৈষম্যের ঘোর কেটে যাবে
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের সমাজ এমনি বৈষম্যে ভরা। আমরা যেখানেই যাব সেখানেই বৈষম্য রয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তবে আমাদের সবার উচিত বৈষম্য থেকে দূরে থাকা। বেশ ভালো লাগলো শিক্ষা মূলক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৈষম্য আমাদের সমাজের একটি গভীর সমস্যা, যা শুধু সমাজের মধ্যে নয়, পরিবারের কাঠামো এবং শিক্ষা ব্যবস্থাতেও প্রভাব ফেলে। আপনার পোস্টের যেভাবে মন মানসিকতার পরিবর্তন ও সরকারী নীতির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সমাজের প্রতিটি স্তরে বৈষম্য দূর করতে আমাদের প্রত্যেকের ছোট ছোট উদ্যোগই বড় পরিবর্তন আনতে পারে। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit