সময় কাটে জ্যামে বসে। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  5 months ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ১৩ই আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বর্ষা-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000076485.png

Canva দিয়ে তৈরি



স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা শহরে প্রচুর পরিমাণে জ্যাম থাকে এটা আমার সবাই জানি। আপনি ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে গেলে দীর্ঘ সময় জ্যামে আটকে থাকতে হবে। এর কারণে অনেকটা ঢাকা শহরকেন্দ্রিক যেতেই ইচ্ছে করেনা। তবুও অনেক সময় কাজের তাগিদে বাধ্য হয়ে যেতে হয় তবে চেষ্টা করি যেন এই বিরক্তিকর বিষয়টা এড়িয়ে চলতে। আপনি সকালবেলায় যদি ঢাকা শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যান সে ক্ষেত্রে যানজট অনেকটাই কম লক্ষ্য করবেন তবে অফিস টাইম এর সময় ঢাকা শহরে প্রচুর যানজট থাকে। আবার শেষ বেলায় যখন অফিস টাইম শেষ হয় সেই মুহূর্তে যানজট যেন দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত ঢাকা শহরে যানজট কমানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে কিন্তু কোন উদ্যোগই কাজে দিচ্ছে না কারণ মাত্রার অতিরিক্ত যানবাহন সেই সাথে ট্রাফিক আইন ঠিকমতো মানা হচ্ছে না যার কারণে এই যানজট মোটেই কমছে না। আসলে এই টপিক নিয়ে কথা বলার কারন হচ্ছে সাম্প্রতিক ঢাকায় গিয়ে দিনের অর্ধেকটার সময় বলতে গেলে জ্যামে আটকে পড়েছিলাম তাই টপিক নিয়ে কিছু কথা উল্লেখ করতে যাচ্ছি।

ঢাকা শহরে বর্তমানে মেট্রোরেল সহ অনেকগুলো ফ্লাইওভার তৈরি করা হয়েছে তবে তার পরেও বিন্দু পরিমানে যানজট কমছে না। ব্যতিক্রম মাধ্যম বের করা হলেও জনসংখ্যা তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠছে। গ্রাম থেকে সবাই কাজের তাগিদে শহরে পাড়ি জমাচ্ছে যার কারণে প্রতিনিয়ত সেখানে জনসংখ্যার পাশাপাশি যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই যানবাহন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জ্যাম প্রতিনিয়ত লেগে আছে। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী হওয়ার কারণে সবাই কাজের সন্ধানে ঢাকা শহরকেই প্রধান লক্ষ্য হিসেবে ধরে নেয় যার কারণে সবাই নিজের যোগ্যতা সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা শহরে গিয়ে পাড়ি জমায়।



উদাহরণস্বরূপ যদি আমি একজন স্টুডেন্টের কথা বলি তাহলে তার ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য থাকে স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার পরে যখন কলেজে উঠবে তখন থেকেই তার মধ্য একটা আগ্রহ তৈরি হয় সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়া করবে। যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে না পারে সেক্ষেত্রে ঢাকার নামিদামি অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যাবে। তাহলে দেখুন সময় যত যাচ্ছে দেশের জনসংখ্যা ততোই বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সাথে মানুষের লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে সবাই ঢাকা মুখি হচ্ছে। আবার যারা নিজ জেলা শহর থেকে লেখাপড়া শেষ করে চাকরির সন্ধানে বের হই তারা কিন্তু সর্বপ্রথম ঢাকা শহরকেন্দ্রিক হয়ে থাকে কারণ ঢাকা শহরের বিভিন্ন কোম্পানি সহ বিভিন্ন অফিস আদালতে চাকরির জন্য চেষ্টা করে। সেক্ষেত্রে বলা চলে গ্রামের জনসংখ্যা কমে গিয়ে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া একজন ছেলে যখন ঢাকা শহরের একটা ভালো চাকরি করবে তখন সে চাইবে পরিবারের সাথে ঢাকা শহরে থেকে নিজের চাকরি কন্টিনিউ করতে। যখন পরিবারের সাথে শহরে থাকতে চাইবে তখন পরিবারের সদস্য গুলোকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে তাই বাধ্য হয়ে পরিবারের সবাইকে ঢাকা কেন্দ্রিক হতে হচ্ছে যার কারণে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বাড়ছে যানজটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।



হ্যাঁ বর্তমান সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে যেমন ঢাকা মেট্রো রেল চালু হয়েছে, ফ্লাইওভার চালু হয়েছে এগুলোর কারণে হয়তো কিছু পরিসরে যানজট কমেছে। চিন্তা করুন যে লোক গুলো মেট্রোরেল ব্যবহার করছে সেই লোকগুলো যদি স্বাভাবিকভাবেই আপনার বাস বা প্রাইভেটকার ব্যবহার করত তাহলে যানজটের সংখ্যা আরো কতটা ভয়াবহ হতো একটু বোঝেন। তবে ঢাকা মেট্রোরেল হয়ে কিছুটা মানুষের স্বস্তি হয়েছে যেমন ধরুন আপনি মেট্রোরেলে এক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে যেতে পারছেন কিন্তু সেক্ষেত্রে বাসে বা প্রাইভেট কারে দিতে গেলে আপনাকে প্রায় তিনগুণ সময় ব্যয় করতে হবে। যদি আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করি সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ঢাকা শহরের জ্যাম পুরোপুরি সমাধান করা যাবে না তবে ঢাকা মেট্রো রেলসহ ট্রাফিক আইন গুলো যদি সঠিকভাবে মেনে চলা যায় আর বিশেষ করে ব্যক্তিগত যানবাহনগুলোর সংখ্যা যদি একটু কমানো যায় সেক্ষেত্রে কিছুটা যানজট স্বাভাবিক হতে পারে।



আমরা যদি উন্নত দেশগুলোর কথা বিবেচনা করি তাহলে সেই দেশগুলোতে ট্রাফিক আইন মানার পাশাপাশি বাসে বেশি যাতায়াত করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই যদি ব্যক্তিগত সব গাড়ি ব্যবহার করা হয় তাহলে রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাবে আর যদি আপনি বাসে চলাচল করেন সেক্ষেত্রে একটি যানবাহনে অনেক লোক যাতায়াত করতে পারছে সেক্ষেত্রে যানজট কমে যাওয়ার একটা সুযোগ থাকে। আসলে আমাদের দেশে যে পরিমাণে দুর্নীতি হয় তারই প্রভাব হিসেবে প্রতিটা সরকারি কর্মকর্তার ব্যক্তিগত প্রাইভেট গাড়ি থাকে আর অফিস টাইমে যখন প্রতিটা সরকারি কর্মকর্তা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকা শহরের রাস্তায় নামে তখন স্বাভাবিকভাবেই যানজট সৃষ্টি হয়। যাই হোক এই প্রসঙ্গ নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই যদি ঢাকা শহরে ব্যক্তিগত যানবাহনে সংখ্যা কমানো হয় তাহলে আমার মনে হয় এই দীর্ঘ সময় যে আমি আটকে থাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।



🔚সমাপ্তি🔚


এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231121_224724-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপনি বাস্তব পরিস্থিতির উপর চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। আমাদের মূলবান সময় কাটে জ্যামে বসে। তার প্রদান কারণ হলো ঢাকায় ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারে চলাফেরা করে । তাই আমরা যদি সচেতন না হই। এ সমস্যার সমাধান হবে না, দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

আসলে ভাই সাধারণ জনগণ যদি একটু সচেতন হয় আর প্রাইভেট গাড়ি যদি তুলনামূলক কমে যায় তাহলে আমার মনে হয় এই সমস্যা সমাধান হওয়া সম্ভব।