হঠাৎ উদ্দেশ্যহীন। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  10 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২১শে ফাল্গুন | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | মঙ্গলবার | বসন্ত-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



20240305_103723_0000.png

Canva দিয়ে তৈরি



বর্তমানে এমন একটা পরিস্থিতি হয়েছে যে ইচ্ছা হলেই হুটহাট করে কোথাও ঘুরতে চলে যেতে হবে তাহলে মনটা একদম ফ্রেশ হয়ে যাবে। গতকালকে রাহুল দুপুরের দিকে ঢাকা চলে গিয়েছে তাই গ্রুপে লোকজন কম। মাঝে কয়েকদিন বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি হয়েছে তাই কালকে আবার বিকাল থেকেই দোকানে ছিলাম। কোথাও যাওয়ার তেমন গুলো প্ল্যান ছিল না। যেহেতু বিকেল থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত একটানা দোকানে থাকতে হয় তাই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেও যাওয়া হয়নি। মাগরিবের নামাজ শেষে হাঁটতে হাঁটতে বাজারের যেখানে আমরা টুকটাক আগে বসতাম সেখানে গিয়ে দেখলাম কয়েকজন বসে গল্প করছে তো আমরা সেখানে অনেক সময় বসে থাকলাম আর সবাই আমাদের স্কুল জীবনের কিছু গল্প নিয়ে স্মৃতিগুলোকে আবার পুনরায় ঝালাই করছিলাম। অনেক সময় বাজারে থাকার পরে মনে হল কোন দিকে ঘুরতে যাওয়ার দরকার। কিন্তু কোথায় যাব সেটাই বুঝতে পারতেছি না অন্যদিকে সাগর ভাই আবার বলছিল তার ঠান্ডা লেগেছে সে বাইক চালাবে না। আমি তখন তাকে বললাম তাহলে আপনার গাড়ি আমার কাছে দেন আপনি পিছনে বসুন। আর সোহাগ ভাই ও বলছিল আমি যাব না তাই আমরা চারজন দুইটা বাইক নিয়ে ভাবলাম অংকনদের বাসায় যাব। ফোন করে জানতে পারলাম অংকন রেলওয়ে স্টেশনে এলাকায় আছে তাই তাদের বাসার দিকে না যেয়ে আমরা সোজা রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হলাম।

যাওয়ার পথে রেলওয়ে স্টেশনের কিছুটা পেছনের দিকে একটা বাজার আছে আর সেই বাজারে গিয়েই অঙ্কনের সাথে দেখা হল। অংকন কুষ্টিয়া থেকে বাসায় আসলো যার কারণে তার কাছে যে ব্যাগ ছিল সেই ব্যাগের মধ্যে ভরপুর তিলের খাজা ছিল। সেটা প্রথমে খেয়াল করিনি কিন্তু পরবর্তীতে যখন ব্যাগের চেইন খুলতে দেখলাম তখন বিষয়টি লক্ষ্য করলাম। যাই হোক এতো খাওয়ার কথা বলে কি হবে হি হি হি।সেখান থেকে আমরা খোকসা রেলওয়ে স্টেশনের দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু আমাদের কাছে দুইটা বাইক ছিল আর চারজন লোক ছিলাম তাই অংকনকে বললাম তার বাইক রেখে দিয়ে আমাদের সাথে যেন আসে। আমরা আবার সেই বাজার থেকে রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওনা হলাম। বাজার আর রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয় সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন কিলোমিটার হবে। রেলওয়ে স্টেশনের যে স্পেশাল চায়ের দোকান তার ঠিক পিছনে আমরা বাইকগুলো রেখে রেলওয়ে স্টেশনের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এগোচ্ছিলাম।



মূলত রেলওয়ে স্টেশনের পাশেই একটি দোকানে দারুন পাকোড়া পাওয়া যায় সন্ধ্যার পরে। আর সেই সাথে সিঙ্গারা আর সমোচার টেষ্ট ও বেশ মনে রাখার মত। সেই দোকানে গিয়ে আমরা একটা করে পাকোড়া আর একটা সিঙ্গারা নিলাম। যেহেতু দোকানের পাকোড়া আর সিঙ্গারার টেস্ট আশপাশের লোকজন জানে তাই সেখানে কিছুটা ভিড় লেগেই থাকে। সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে খাবার গুলো কিনতেই স্টেশনে ট্রেন ঢুকে পড়ল। রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যার পরে স্টেশনে ঢুকলো। ট্রেনটি তখন ঢাকা থেকে আবার রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। এই ট্রেনে নতুন চেয়ার কোচ করা হয়েছে আর ট্রেনের বগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা সেখান থেকে খাবারগুলো কিনে যখনই রওনা দিলাম তখন স্টেশন থেকেও ট্রেন ছেড়ে দিল পর্যায়ক্রমে ট্রেন যাচ্ছিল আর আমরাও সামনের দিকে যাচ্ছিলাম সেই মুহূর্তে ট্রেনের কিছু ছবি তুলেছিলাম যেগুলো নিচে শেয়ার করেছি।

20240304_192303.jpg

20240304_192217.jpg

20240304_192025.jpg


Device : Samsung galaxy A52
What's 3 Word Location :



স্টেশন থেকে ট্রেন পার হয়ে যাওয়ার পরে আমরা আবার স্টেশনের এরিয়ায় উঠে শেষ প্রান্তে চলে গেলাম। সেখানে বড় একটি লাইট এর নিচে সবাই গিয়ে বসলাম আর প্যাকেট থেকে পাকোড়া খাওয়ার আগ মুহূর্তে হঠাৎ মনে হল কিছু একটা মিসটেক আছে। হুট করেই ভাই বলে উঠলো এই গিয়ে একটা সেভেনআপ নিয়ে আসো। দোকান থেকে ফ্রিজের ঠান্ডা সেভেনাপ এর সাথে গরম গরম পাকোড়ার টেস্ট উপভোগ করছিলাম সবার কাছেই সেই পাকোড়ার টেস্ট বেশ ভালো লেগেছিল। মূলত সেখানকার খাবারটা বেশ ভালো লাগে বলেই দূর থেকে সবাই ছুটে আসে। যাই হোক খাওয়ার পাশাপাশি সবাই বেশ গল্পে মেতে উঠলাম। দেখতে দেখতে আধা ঘন্টা সময় পার হয়ে গেল তারপরে ভাবলাম এখন আবার হাঁটতে হাঁটতে বাইকের দিকে যাওয়া যাক। আবার সোজা স্টেশন থেকে বাইক নিয়ে আমাদের বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পথে এসে মাসিলিয়া বাজারে অংকনকে নামিয়ে দিয়ে আমরা আমাদের বাজারে চলে আসলাম। আসার পথে দেখলাম আমাদের এলাকার যে কলেজ আছে সেখান থেকে পিকনিকে যাওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমে বাস সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে তার জন্য অনেকটা ভিড় লেগেছিল সেখানে। যেহেতু সেখানে মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল বলে আমরা ভাবলাম বাজারের বিপরীত পাশে গিয়ে কিছু সময় বসে চা খেয়ে তারপরে বাসায় ফিরব।



সোজা বাজার এর বিপরীত পাশে গিয়ে বাইক রেখে চায়ের দোকানে গিয়ে বসলাম আর চায়ের অর্ডার করে আমরা গল্প করছিলাম যে আজকে কোথাও যাওয়ার কোন প্ল্যান ছিল না তারপরেও হুটহাট করে ঘুরে আসলাম বেশ ভালোই লাগলো। তখন বন্ধু রিপন বলছিল ভাই সেখানকার খাবার গুলো কিন্তু বেশ মজার ছিল তখন আমিও বলছিলাম আমার কাছে পাকোড়াটা সবচেয়ে বেশি মজা লেগেছে। গল্পের মাঝে আমাদের মধ্যে চা চলে আসলো তবে চায়ের কাপে মুখ দিতেই বুঝলাম আজকের চা টা বেশি ভালো হয়েছে। একদম পারফেক্ট মাঝে মাঝে এরকম চা খেলে মুড ভালো হয়ে যায়। চা শেষ করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মূলত কালকে বিকেলে আমাদের কোন প্ল্যান ছিল না হঠাৎ করেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে বেরিয়ে পড়ে সময়টা বেশ দারুণভাবে উপভোগ করেছি তাই ভাবলাম সুন্দর মুহূর্তটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।





🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231121_224724-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

আপনারা যে সবসময় বন্ধুত্বের বন্ধনকে ধরে রেখেছেন এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে।আসলে বর্তমানে সবাই ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও আনন্দ খুজে নেওয়াটাই প্রধান।খোকসা রেলওয়ে স্টেশনের মতো অদ্ভুত নাম এই প্রথম শুনলাম।আপনারা কি তিলের খাজাগুলি খেয়ে নিয়েছিলেন ভাইয়া? ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ দিদি আমরা বন্ধুরা একে অপর সবাইকে খুবই ভালোবাসি এজন্যই বন্ধুত্ব এখনো টিকে আছে। আর তিলের খাজা সবগুলো খাওয়া হয়নি, অংকনের বাড়ির জন্য অংকন নিয়ে গিয়েছিল।

Posted using SteemPro Mobile