বাবা দিবস। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  8 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২রা আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | বর্ষা-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000074519.png

Canva দিয়ে তৈরি



বাবার প্রতি অঢেল শ্রদ্ধা জানিয়ে আজকের এই দিনটিকে বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়। অনেকেই আছেন যারা নিজেদেরকে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ব্যস্ত রাখার কারণে এই দিনটা স্মরণ রাখতে পারেন না তবে আজকের এই দিনটা অনেক আগে থেকেই বাবা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা রেখে যেমন মা দিবস পালন করা হয় ঠিক একইভাবে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানিয়ে এই দিনটাকে বাবা দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়। একজন বাবা তার ছেলে মেয়েকে জন্মের পর থেকে প্রতিটা ধাপ কিভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পার করে কিভাবে তার ছেলেমেয়েকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে সেই পরিশ্রমের কথাগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আজকের এই দিনটি বাবা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর প্রতিটা দেশেই বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনটা পালিত হয়। হ্যাঁ বাবাকে বছরের প্রতিটা দিন ভালবাসতে হবে তবে আজকের এই দিনটা স্পেশালি বাবাকে আবার নতুন করে মনে করিয়ে দেয়।

কমিউনিটিতে বাবা দিবস নিয়ে বেশ কয়েকটি পোস্ট দেখলাম তবে পোস্টগুলো দেখার পরে মনটা নরম হয়ে গেল সবাই দিবসটাকে মনে রেখেছে বাবার প্রতি সবার অনেক ভালোবাসা রয়েছে। বাবার প্রতি ভালোবাসা থাকাই স্বাভাবিক যার কারণে পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছে যার কারণে আমরা নিজেরা স্ব অবস্থানে রয়েছি। বাবা যদি আমাদেরকে বটবৃক্ষের মতো আগলে না রেখে তার নিজের কাঁধে দায়িত্ব বুঝে না নিয়ে এতো বড় করত তাহলে হয়তো আমরা সবাই যার যার অবস্থানে আসতে পারতাম না। একটা সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একরকম থাকে, আপনি যখন ছোট ছিলেন তখন আপনার বাবা ঠিক যেমন ভালোবেসেছে একইভাবে আপনি বড় হয়ে যাওয়ার পরেও আপনার বাবা একই রকম ভাবে ভালোবেসে যায় তবে আপনার বাবা বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে হয়তো বড় বড় দায়িত্ব নিতে পারেনা তবে ঠিকই আপনার প্রতি কেয়ারফুল থাকবে।



তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সমাজের কার্যক্রম দেখে হতাশ হয়ে যাই। কেন বাবাদের এত ত্যাগের পরেও তাদেরকে শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হয়?? আমাদের দেশে এই বৃদ্ধাশ্রম কেনই বা এই বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তোলা হয়েছে তাদের কি শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে থাকার কথা নাকি পরিবারের সাথে শেষ বয়সটা হেসে খেলে পার করার কথা?? আমার মনে হয় এই প্রশ্নটার উত্তর আমাদের কারো কাছেই নেই কারণ আমরা বাবাদেরকে সেই ভাবে ভালবাসতে শিখিনি যতটা বাবারা আমাদের কে ভালোবাসতে শিখেছে। দেখবেন বাবার সংসারে যতই অভাব অনটন থাকুক না কেন তার সন্তানকে নিজে না খেয়ে ঠিকই খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় কিন্তু যখন বাবা বৃদ্ধ হয়ে যায় তখন যদি সন্তানের সংসারে অভাব অনটন থাকে সেক্ষেত্রে বাবাকে আর দেখভাল করা হয় না তাহলে আমরা বাবাদেরকে কতটা ভালবাসতে শিখেছি বলেন?? এই বিষয়টা হয়তো সবার ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় না তবে কিছু কিছু ছেলেমেয়েরা বাবা এবং মায়েদের সাথে এরকম ব্যবহার করে থাকে যেটা একদমই কাম্য নয়।



হ্যাঁ আজকে বাবা দিবস বাবাকে স্পেশাল ভাবে অনেকেই স্মরণ করছে তবে শুধু আপনি বাবা দিবসেই বাবাকে স্মরণ করলেন আর অন্যান্য দিনে বাবার খোঁজ রাখলেন না তাহলে তো বিষয়টা গ্রহণযোগ্য হলো না। বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রতিটা দিন একই রকম থাকবে। বাবার প্রতি সম্মানবোধ বাবার প্রতি ভালোবাসা বিন্দু পরিমাণ যেন কখনো কম না হয়। আমাদের দেশে যে সমস্ত যৌথ ফ্যামিলি আছে সেগুলোতে বাবার প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায় তবে শেষ বয়সে এসে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাবার গুরুত্ব কমে যায় শেষ বয়সে এসে তার মতামতের কোন দাম দেওয়া হয় না। আগেই বলেছি সব পরিবারে এমন হয় তা না তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমার মতে আপনি যখন ছোট ছিলেন বাবার প্রতি আপনার যতটা ভরসা ছিল যতটা ভালোবাসা ছিল ঠিক একইভাবে শেষ বয়সে এসেও তার প্রতি ততটা ভালোবাসা আর ভরসা থাকা উচিত তাহলে বাবা সন্তানের মধ্যে কখনোই সম্পর্কের ফাটল ধরবে না।যদি এমন হয় তাহলে স্পেশালি বাবা দিবস পালন করতে হবে না, বছরের ৩৬৫ দিন যেন বাবা দিবস মনে হবে।



যাইহোক পোস্টে যে কথাগুলো লিখেছি সেগুলো পড়ে যদি কারো মনে বিন্দু পরিমাণ পরিবর্তন আসে বিন্দু পরিমাণে বাবার প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত হয় তাহলে আমার এই পোস্ট যেন সার্থকতা পাবে। আর আমি নিজ অবস্থা থেকে অবশ্যই বাবার প্রতি অঢেল ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করব যেন আমাকে দেখে আমার ছোট ভাইবোনেরা বিষয়গুলো শিখতে পারে। আসলে বাবা দিবসে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু লিখলেন কিছু শেয়ার করলেন তাতেই আপনার বাবার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে এমনটা নয় আপনি বাবার সাথে সেই রকম ব্যবহার করুন যেটা প্রতিটা বাবা তার সন্তানের থেকে আশা করে। আর সব ক্ষেত্রেই পরিবারের বড় সন্তানেরা ছোট সন্তানগুলোর আইডল থাকে। ছোট থেকেই আমরা যেমন বড় ভাই বোনেদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি ঠিক একইভাবে আমাদের থেকেও ছোট ভাই বোনেরা অনেক কিছু শিখবে তাই আমার মনে হয় যদি আমরা সেরকম আদব কায়দা বজায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটা থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। বাবার প্রতি সবসময় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে হবে যেন ছোটরা সেটা দেখে শিক্ষা নিতে পারে। সব শেষে বাবা দিবস উপলক্ষে বলতে চাই পৃথিবীর প্রতিটা বাবা সুস্থ থাকুক ভালো থাকুক।



🔚সমাপ্তি🔚


এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20231121_224724-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

বাবা দিবস উপলক্ষে আপনার ব্লগটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। বাবার ত্যাগের কথা অস্বীকার করা অসম্ভব। যারা বাবার ত্যাগকে অস্বীকার করে তারা মানুষের কাতারে পড়ে না। ঢাকা শহরে বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রম এর চিত্র দেখলে খুবই কষ্ট লাগে,হতাশ হই । আমরা চাই মা বাবাকে সম্মান করা ও শ্রদ্ধা করার কোন তারিখ বা সময় এর জন্য অপেক্ষা না করা। বাবারা আজীবন সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। যাইহোক বাবা দিবস উপলক্ষে অনেকের মনের অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আশা করি আজকের দিনের মত সবার মন মানসিকতা সারা বছর এমনই থাকবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

সুন্দর বলেছেন আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাবা দিবস নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বাবার প্রতি আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য ও বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন। আপনি ঠিকেই বলেছেন, বাবার প্রতি সন্তান দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করলে ৩৬৫ দিনেই বাবা দিবস। আপনার সাথে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। তারপরেও যেহেতু ঘটা করে এখন দিনটি পালিত হয় তাই সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসলে বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রতিদিনই সমান থাকুক এমনটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

বাবাদের ভালোবাসা হয়তো প্রকাশ পায় না তবে তাদের মনেও আমাদের জন্য ভালোবাসা থাকে। সংসারে যতই অভাব থাকুক না কেন তারা কখনো আমাদের ইচ্ছা গুলো অপূর্ণ রাখে না। আপনি বাবা দিবস উপলক্ষে সত্যি দারুন কিছু কথা লিখেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার আজকের লেখাগুলো পড়ে।

আপনার সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

বাবা দিবসের সব বাবার প্রতি রইল সশস্ত্র সালাম। বাবা আমাদের জীবনে ডাল স্বরুপ। তিনারা আমাদের বট বৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে আগলে রাখে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বাবাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই।

হ্যাঁ পোস্টের মাধ্যমে সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করেছি ধন্যবাদ।

বাবাকে হারিয়েছি দশ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। বাবার সাথে আমার স্মৃতিগুলো এখন ক্ষীণ। আসলে বাবা নামক বটগাছ যাদের মাথার উপর নেই তারাই জানে পৃথিবী টা কতটা কঠিন। এখন মাঝে মাঝে অনেক মিস করি খুবই খারাপ লাগে। আপনার পোস্ট টা পড়ে খুব মনে পড়ে গেল। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা।

বাবা দিবসকে কেন্দ্র করে চমৎকার কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। আমরা আসলে সব জানি সব বুঝি। তারপরেও আমরা অবুঝ।বাবা-মা ছেলেবেলায় যেভাবে আমাদেরকে লালন-পালন করেছেন।আমাদের ও উচিত সেই ভাবে তাদের লালন-পালন করা।কিন্তু আমরা এতো সব জেনে বুঝেও তাদের প্রতি উদাস থাকি।বাবা হলো বটগাছের ছায়ার মতো।সেই ছায়ায় বেড়ে উঠলেও যখন বড় হয়ে যাই আমরা তখন ওই ছায়ার আর দরকার হয়না আমাদের। আর এজন্য ই মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হয়।কিন্তু এটা কখনো ই কাম্য নয়।মা-বাবা বেশী কিছু চায়না। তাদের কে সময় দিন।তারা এতোটুকুই চায় শেষ বয়সে এসে।চমৎকার কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ভাইয়া।