প্রশান্তির খোঁজে। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  5 months ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ -৩১শে জ্যৈষ্ঠ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | গ্রীষ্ম-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000074155.png

Canva দিয়ে তৈরি



সব শেষ যখন ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হেনে ছিল তখন আমাদের এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে তার পরবর্তীতে আর বৃষ্টির দেখা নেই। দিনের পর দিন গরমের প্রভাবটা বাড়ছে যদিও ঢাকা সহ সিলেট এবং বিভিন্ন অঞ্চলে কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে তবে আমাদের কুষ্টিয়া অঞ্চলে একদমই বৃষ্টি নেই প্রতিদিন বিকেল বেলায় আবহাওয়া টা একটু ঠান্ডা মনে হয়। হয়তো কোন অঞ্চলে বৃষ্টি হয় তার প্রভাব এই আবহাওয়াটা কিছুটা ঠান্ডা হয়। তবে যেদিনে আর বিকেল বেলায় আবহাওয়া খুব একটা ঠান্ডা হয় না সেদিনে বাধ্য হয়ে নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকতে হয় শেষ বিকেলে নদীর পাড়ে আবহাওয়াটা অনেকটাই ঠান্ডা থাকে। বাড়িতে থাকলে ফ্যানের নিচে বসে গরম থেকে মুক্তির কোন উপায় নেই কেননা ফ্যানের বাতাস অনেকটা গরম। প্রতিদিনের মতোই বিকেল বেলায় আমি দোকানে গিয়েছিলাম আর সেখান থেকেই কয়েকজন বড় ভাইয়ের সাথে নদীর পাড়ে যাওয়ার প্ল্যানিং করলাম কারণ সারাদিন বেশ রোদের তাপ ছিল আর গরমের প্রভাবটাও অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু বেশি ছিল তাই চিন্তা করলাম এখন তো সূর্য অস্ত্র দিতে শুরু করেছে এই মুহূর্তে নদীর পাড়ে বসলে দারুন কিছুটা সময় উপভোগ করতে পারব।



20240603_182727.jpg

20240603_182840.jpg

20240603_182851.jpg

20240603_182915.jpg

20240603_182955.jpg

20240603_183014.jpg

20240603_183019.jpg



দুইটা বাইক নিয়ে আমরা চারজন নদীর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যখনই রাস্তা থেকে নদীর সাইডে যাওয়া শুরু করলাম তখনই স্বস্তির বাতাস উপভোগ করছিলাম মূলত সবুজ পরিবেশের মধ্যে গেলে অটোমেটিকলি আপনার মন ভালো হয়ে যাবে আর ঠান্ডা আবহাওয়াটা আপনার মনের স্বস্তি যোগাবে হঠাৎ করেই গরম থেকে ঠান্ডা আবহাওয়া গেলে সেই আবহাওয়াটার প্রেমে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। নদীর পাড়ের চিকন রাস্তা ধরে আমরা এগিয়ে যাচ্ছিলাম যেহেতু সেখানে মাটির কাঁচা রাস্তা তাই দুইটা বাইকের মধ্যে বেশ খানিক দূরত্ব রেখেছিলাম যেন ধুলি আমাদেরকে আবদ্ধ করতে না পারে। মজার বিষয় হচ্ছে সেখানে প্রচন্ড বাতাস ছিল ধুলি উড়ে যাচ্ছিল বিপরীত দিকে আর সেই সুযোগে আমরা একটু দূরত্ব বজায় রেখে বাইক নিয়ে পর্যায়ক্রমে নদীর ধারে যাচ্ছিলাম। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে সবুজ ঘাসের দারুন সৌন্দর্য নিয়ে একটা জায়গা তৈরি হয়েছে আমরা সেই জায়গাটার নাম দিয়েছি গরিবের সুইজারল্যান্ড। মূলত যখন আমরা নদীর ধারে আসার প্ল্যানিং করছিলাম তখন বলছিলাম ভাই চলেন গরীবের সুইজারল্যান্ডে যাই। তখন তারাও বলল চলো জায়গাটা অনেক সুন্দর ওখানেই যাব।



20240603_183115.jpg

20240603_183117.jpg

20240603_183143.jpg

20240603_183149.jpg

20240603_183201.jpg

20240603_183204.jpg

20240603_183205.jpg

20240603_183207.jpg

20240603_183228.jpg

20240603_183415.jpg

20240603_183426.jpg



এই মৌসুমে নদীর পানি প্রায় পুরোপুরি শুকিয়ে যায় আমরা যেখানে গিয়ে বসলাম তার বাম পাশে নদীর পানি একদম শুকিয়ে সবুজ ঘাসে পরিণত হয়েছে আর তার ডান পাশে অল্প পরিসরে পানি আছে যেখানে সুন্দর একটি হাঁসের খামার তৈরি করা হয়েছে। ছোট এই হাঁসের খামারে ৮ শতাধিক এর বেশি হাঁস রয়েছে। এই হাঁসগুলোর ডিম থেকে আশপাশ এলাকার ডিমের চাহিদা অনেকটাই পূরণ করা হয়। তুলনামূলক বাজারে হাঁসের ডিম যে দামে বিক্রি হয় তার চেয়ে অনেকটা কম দামেই এখানে ডিম পাওয়া যায় মাঝে মাঝে আমরা এখান থেকে ডিম নিতেও আসি। একসাথে এতগুলো হাঁস দেখে আমি কাছে এগিয়ে গেলাম তবে হাঁসগুলো আমাকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে পানিতে নামতে শুরু করল আবার একদল হাঁস বিপরীত দিক যেতে শুরু করল আমি বুঝতে পারলাম তারা আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছে তাই আমি আর তাদেরকে বিরক্ত না করে পিছনে চলে আসলাম। আবার সেখান থেকে বাইক নিয়ে কিছুটা সামনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলাম যেখানে একদম পুরোপুরি ফাঁকা জায়গা দারুন বাতাস আর সবুজ ঘাসের দারুন সৌন্দর্য। মজার বিষয় সেখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে যেন গরম বিলীন হয়ে গিয়েছে এমনটা মনে হচ্ছিল।



20240603_191437.jpg

20240603_194120.jpg

20240603_194138.jpg

20240603_194151.jpg

20240603_203428.jpg

20240603_204058.jpg

20240603_204224.jpg



সেখানে বসে আমরা অনেক সময় গল্প করলাম। আমাদের মধ্যে দুজন বেশ ইসলামিক মাইন্ডের তারা দুজনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তাই যখনই নামাজের সময় হয়ে আসলো হঠাৎ মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে গেল তখন তারা পাশের একটি টিউবয়েল থেকে অজু করে এসে সবুজ ঘাসের উপরে নামাজ আদায় করল। নামাজ শেষ করে আমরা সবাই গল্পে মেতে উঠলাম প্রায় এক ঘন্টা ধরে গল্প করলাম যখন ঘড়িতে সময় দেখলাম তখন বুঝতে পারলাম অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে কিন্তু আশপাশের পরিবেশ থেকে সেটা বোঝার উপায় ছিল না। সবে মাত্র সন্ধ্যা হয়েছে যাই হোক যেহেতু অনেক সময় এখানে এসেছি আর এখন রাত হয়ে গিয়েছে আবহাওয়া টা তুলনামূলক আগের চেয়ে একটু ঠান্ডা হয়েছে তাই বাসার দিকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যাওয়ার পথে হঠাৎ মনে পড়ল আমাদের পাশের গ্রামের বাজারে মজার পিঁয়াজি পাওয়া যায় সেখান থেকে পিয়াজি আর আলুর চপ খাবো। আবার বাইক নিয়ে সেই অঞ্চলের রওনা দিলাম।

সেখানে গিয়ে কয়েক পিস আলুর চপ আর সাথে একটি মোজো নিয়ে আমাদের এলাকার কলেজ মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। কলেজ মাঠে এসে চারজন একসাথে বসে গরম আলুর চপ খাচ্ছিলাম খুব মজা লাগছিল আর সবশেষে মোজো খেয়ে মনের তৃপ্তি মিটালাম। আসলে প্রতিদিন তো এরকম পুরোপুরি মজা করা হয় না তাই সেদিনের স্মৃতিটা ফোন ক্যামেরায় ক্যাপচার করে রেখেছিলাম যেন কোন এক সময় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি।



⬇️📥⬇️📥
ডিভাইসSamsung galaxy A52
ফটোগ্রাফার@kazi-raihan
লোকেশন
সময়জুন,২০২৪



🔚সমাপ্তি🔚




এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


20230226135443_IMG_2201-01.jpeg

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

প্রশান্তির খোঁজে বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর সে ঘোরাঘরের মুহূর্তে যদি ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া হয় তাহলে আর শান্তি। যাহোক ঠিক তেমনি একটা সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুশি হলাম।

সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাইক নিয়ে নদীর ধারে সময় কাটানোর মুহূর্তটা বেশ সুন্দর ছিল । আসলে এখন যে গরম পড়েছে এ ধরনের প্রাকৃতিক হাওয়া আমাদের শরীরে জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ‌ আপনার মত আমিও মাঝেমধ্যে এভাবে বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াই এর মধ্য আসলেই প্রশান্তি রয়েছে।

মুলত গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য এমন পরিবেশে যাওয়ার চেষ্টা করি।

আপনাদের ওদিকে বৃষ্টি না হলেও আমাদের এদিকে কয়েক দিন থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এখন তো মনে হচ্ছে ঈদের দিনও বৃষ্টি থাকবে। প্রশান্তির খোঁজে গ্রামীণ জায়গাগুলোতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় নদীর পার তাহলে তো কথাই নেই। নদীর পাড়ের দারুন আবহাওয়া সব সময় ভালো লাগে। আপনার পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।

একটু বৃষ্টি আমাদের এলাকায় পাঠিয়ে দেন।

প্রকৃতির মাঝে অপরূপ সুন্দর তোমাকে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। নদীর পারে এই হাঁসের দৃশ্য গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। খুবি সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।