আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১লা পৌষ | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শনিবার | শীতকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সাথে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পরে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আজকের এই দিনে বাংলাদেশ মানচিত্রে নাম লেখাতে পারে, নতুন একটি দেশের আবির্ভাব হয় আর বাংলাদেশের জনগণ তাদের স্বাধীনতা ফিরে পায়। বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধ করে নিজের দেশকে রক্ষা করে। আজকের এই দিনে ভারত এবং বাংলাদেশ যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। আর এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে আর বাংলাদেশ স্বাধীনতা ফিরে পায়। শুধু মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে এমন নয় আমাদের মা বোনেরা কিন্তু তাদের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে এই দেশের জন্য লড়েছে। মা তার বুক খালি করে সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছে। বাবা তার ছেলের মায়া ত্যাগ করে সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছে। আর এরই ফল হিসেবে কিন্তু দেশকে স্বাধীন করতে পেরেছে। এমন মা বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিনটা বাঙ্গালীদের ডায়েরিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে কেননা এই দিনেই তারা পৃথিবীর মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে আর নিজেদেরকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রমাণ করতে পারে। রাজপথে জয় বাংলা স্লোগানের মাধ্যমে বাংলার বাতাসে স্বাধীনতার হওয়া ছড়িয়ে পড়ে বাংলার মানুষ যেন নতুন করে বাঁচার অধিকার ফিরে পায়। আসলে আমরা কিন্তু এই বিষয়গুলো শুধু বইয়ের পাতায় পড়েছি আর সেখান থেকে যতটুকু মায়া ভালোবাসা দেশের প্রতি সৃষ্টি হয়েছে সেটা অনেক তবে যারা সেই সময়ে দেশের হয়ে যুদ্ধ করেছিল এই দিনে রাজপথে বিজয় উল্লাস করেছিল তাদের মায়াটা কতটা গাঢ় ছিল সেটা কল্পনার বাইরে।
যখন স্কুলে পড়তাম তখন ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বিজয় দিবস উপলক্ষে স্কুলে বিভিন্ন আয়োজন করা হতো আর সে আয়োজনগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সময়টা উপভোগ করার চেষ্টা করতাম সেই সাথে দেশের প্রতি যে আলাদা ভালোবাসা সেটাও কিন্তু মনে জাগ্রত হত তবে এখন আর তেমন কোন আয়োজন হয় না দুঃখের বিষয় বর্তমানে বিজয় দিবস উপলক্ষে যে আয়োজন করা হয় সেখানে ডিজে গান বাজিয়ে বিজয়ের উল্লাসটাকে মাটি করা হয়। যারা দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে এই বিজয় এনে দিয়েছে যারা নিজের জীবন দিয়ে দেশটাকে রক্ষা করেছে তাদেরকে এই বিজয় দিবসের স্মরণ করা উচিত। আরো বেশি কষ্ট লাগে যখন বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবস এর তফাত বুঝতে পারে না। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সব বিষয়গুলোই খুব সহজে পাওয়া যায় এর আগে একটি ভিডিওতে দেখলাম একটি ছেলে বিজয় দিবস আর স্বাধীনতা দিবস একসাথে গুলিয়ে ফেলেছে। তাহলে বুঝুন বর্তমান ছেলেমেয়েদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা কত টুকু??
আজ ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছিল । এই দিনে সেখানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছিল বলে জায়গাটাকে বিশেষ নজরে দেখা হয় তাই বিজয়ের দিনে সেখানে বিভিন্ন আয়োজনে বিজয়ের দিনটা দীর্ঘস্থায়ী করা হয়। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো সম্পর্কে খুব কম অবগত হয়তো সেই সময় যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল সেই লোকগুলো আজ পৃথিবীতে নেই বলে তাদের স্মৃতিগুলো সবাই ভুলে যাচ্ছে। তবে যাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে তারা কখনোই এই স্মৃতিগুলো ভুলবে না। যেমন আমাদের বাড়ির পাশে একটা দাদা আছে তিনি সেই সময়ে যুদ্ধ করেছিলেন আর মুক্তিযুদ্ধের অনেক তথ্য তার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি। মুক্তিবাহিনী সাথে তাদের কিভাবে দেখা হয়েছিল কিভাবে যুদ্ধ করেছিল ভারত বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী কিভাবে অপারেশন করত বিস্তারিত সবকিছুই তার মুখে শুনেছি। তিনি এখন অনেক বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে তবে তাও মুক্তিযুদ্ধের কথাগুলো ছোটদের কাছে সবসময় শেয়ার করে তার কাছে কেউ গেলেই মুক্তিযুদ্ধের কথাগুলো বলতে থাকে।
১৬ই ডিসেম্বর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই এক সময় সেই গানগুলো শোনা যেত আর গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যেত। যেন নিজের মধ্যে থাকা প্রতিবাদী সুর এই গানের মাধ্যমে প্রকাশিত হতো। এখনো যদি সেই গানগুলো শুনি তাহলে অনেক ভালো লাগে দেশের প্রতি মায়া বৃদ্ধি পায় তবে দুঃখের বিষয় এখন সেই গানগুলো আর সেভাবে বাজানো হয় না আগে বললাম না যে এখন শুধু ডিজে গান বাজিয়ে তাদের সম্মানটুকু নষ্ট করা হয়। স্কুল কলেজে কিন্তু এখনো অনুষ্ঠান হয় তবে সেখানে সেভাবে আর গানগুলোকে বাজানো হয় না। যারা জীবন দিয়ে দেশটাকে রক্ষা করল আমাদেরকে স্বাধীন ভাষায় কথা বলার অধিকার দিলো তাদেরকে আমরা খুব সহজেই ভুলে যাচ্ছি। আমাদের সবার উচিত ছেলেমেয়েদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করা তারা যেন বাঙালি জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। যাইহোক কতটুকু সঠিক বা কতটুকু ভুল লিখেছি জানিনা তবে সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে দেশের প্রতি ভালোবাসা বজায় থাকুক।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/KaziRai39057271/status/1736032019828933000?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একথা সত্য যে যদিও আমরা যুদ্ধ দেখিনি তবুও সেই মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো শুনলেই যেন কেমন লাগে। সেই ছেলেবেলায় যখন স্কুলের অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের গানগুলো বাজানো হত তখন শরীরের রক্তগুলো কেমন জানি টকবগ করে উঠতো। সব মিলিয়ে কিন্তু দারুন লিখেছেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হয়তো আমরা যুদ্ধ দেখিনি তবে যুদ্ধের নানা রকম দৃশ্য নানা রকম গান শুনলেই বুঝা যায় কিরকম হয়েছিল। এসব কিছু ভাবলেই কি রকম একটা লাগে। সেই সময়টাতে বাঙালি জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছে বাঙালি জাতি। বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি আমরা। অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে সম্পূর্ণ টা। এত সুন্দর করে পুরোটা লিখেছেন দেখে সত্যি ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit