আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১১ই কার্তিক | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | হেমন্তকাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
প্রায় এক বছর আগে আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে নড়াইলে বাইক ট্যুর দিয়েছিলাম আর সেই সময়ে নড়াইল গিয়ে চিত্রা রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলাম। যদিও প্রায় এক বছর আগের কথা তবে এই চিত্রা রিসোর্ট নিয়ে এখনো কোনো পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি মোবাইলের গ্যালারিতে ছবিগুলো আলাদা ফোল্ডার করে রেখেছিলাম আর ভেবেছিলাম একদিন শেয়ার করব তবে বিভিন্ন পোস্টের মাঝে এই পোস্ট যেন হারিয়ে গিয়েছিল তাই আজকে আপনাদের মাঝে নড়াইলের সেই চিত্রা রিসোর্ট নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সাজাবো। আমরা নড়াইল যাওয়ার আগেই google ম্যাপে সেখানকার কয়েকটি স্পট সম্পর্কে দেখেছিলাম তাছাড়া সেখানে কোন কোন জায়গায় গেলে ভালো কিছু দেখতে পারব সে সম্পর্কে ইউটিউবে ভিডিও দেখেছিলাম। যেহেতু আমাদের একদিনের বাইক ট্যুর ছিল তাই শুধু নড়াইল শহরের ভেতরে সৌন্দর্যটাই আমরা পর্যায়ক্রমে উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। তবে নড়াইলের চিত্রা রিসোর্ট টা ঘুরতে ঘুরতে আমাদের দুপুর হয়ে গিয়েছিল।
আমরা নড়াইলের বাধাঘাট মন্দির দেখার পরে নড়াইল শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী পার হলাম। চিত্রা নদী পার হয়েই চিত্রা রিসোর্টের দিকে যাত্রা শুরু করলাম তবে চিত্রা রিসোর্ট টাও চিত্রা নদীর পাড় দিয়েই গড়ে উঠেছে হয়তোবা এই জন্যই রিসোর্ট এর নাম দেয়া হয়েছে চিত্রারিসোর্ট। যাই হোক চিত্রা রিসোর্ট এ যাওয়ার যে রাস্তাটা সেটা অনেকটাই অ্যাডভেঞ্চার টাইপের কেননা মনে হচ্ছিল একটা অন্ধকার জগতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি দুই পাশ দিয়ে বড় বড় গাছ আর বাঁশ বাগান বলতে গেলে ভূতের মুভিতে যেরকম রাস্তা থাকে ঠিক সেরকম রাস্তা। উপরে যে ছবি পোস্ট করেছি তার প্রথম ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন আসলেই রাস্তাটা কেমন অন্ধকার টাইপের আর বাঁশ বাগানে ভরপুর। যেহেতু আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম তাই প্রথমেই গেইটের সামনে গিয়ে সবাই টিকিট সংগ্রহ করলাম আর টিকিট সংগ্রহ শেষে ভেতরে যে বাইক পার্কিংয়ের জায়গা ছিল সেখানে আমরা সবার বাইক পার্কিংয়ে রাখলাম যেহেতু এই রিসোর্টের এরিয়া অনেক বড় তাই পুরোটা সময় ঘুরে দেখতে গেলে অনেক পথ হাঁটতে হবে আর ফিরতেও দেরি হবে তাই বাইকগুলো পার্কিংয়ে রেখেছিলাম। আমরা বাইক পার্কিংয়ে রেখে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সেখানে নদীতে স্রোত বইছে সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল গিয়ে জানতে পারলাম এই ছোট নদীতে নাকি জোয়ার ভাটা হয়। যাই হোক এখানে যারা ঘুরতে আসে তাদের জন্য সেখানে বড় দাবা কোর্টের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। যেহেতু আমরা বন্ধুরা মিলে গিয়েছিলাম তাই সেখানে আর দাবা খেলা হয়নি যদি বউ সাথে করে যেতাম তাহলে দুজনে বসে দাবা খেলা যেত 🤪😁 কিন্তু দুঃখের বিষয় ঘরে তো বউ নেই 💔
যেহেতু আমরা আরও কয়েক জায়গায় ঘুরতে যাব তাই খুব বেশি টাইম লস করলাম না সেখানকার সৌন্দর্যগুলো দেখতে দেখতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তবে ভাবছিলাম এমন কোথাও গিয়ে বসবো যেখানকার সৌন্দর্য আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করবে তাই পর্যায়ক্রমে সামনের দিকে যেতে থাকলাম। কিছু সময় যাওয়ার পরেই দেখতে পারলাম বাঁশ আর কাঁচের তৈরি একটি দোতলা বাড়ি মত তৈরি করে রাখা হয়েছে। যদিও সেখানে আমরা প্রবেশ করতে গিয়েছিলাম তবে সেখানে লেখা ছিল শুধুমাত্র এখানে যারা বাসা বুকিং নিবে তারাই এখানে প্রবেশ করতে পারবে উপরের ছবিটা দেখলে বুঝতে পারবেন আসলে সেখানকার বাড়িটা কত সুন্দর। আবার একটু সামনে গিয়েই দেখতে পারলাম গাছের নিচের অংশে দরজা লাগানো রয়েছে তখন এই দৃশ্যটা দেখেই আমার টম এন্ড জেরি কাটুন এর কথা মনে পড়ল। আসলে এই ছবিটা দেখে কার্টুনের কথা মনে পড়া স্বাভাবিক বিশেষ করে যারা ছোটবেলায় প্রচুর কার্টুন দেখত তাদের বেশি মনে পড়বে। আর সাথে রাহুল ছিল, রাহুল ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছিল যদিও আমারও অনেকগুলো ছবি তুলে দিয়েছিল তখন রাহুল নিজেই বলছিল তোর তো অনেকগুলো ছবি তুলে দিলাম এখন আমার কয়েকটি ছবি তুলে দে আর আমিও তখনই রাহুলের কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম। মোটামুটি ছবি তোলার পর্ব শেষ করে আমরা নদীর পাড়ে গিয়ে বসলাম। ছবিতে যে নদী দেখতে পাচ্ছেন সেটাই হলো নড়াইলের সেই চিত্রা নদী।
আমরা ঘুরতে ঘুরতে যখন চিত্রা রিসোর্টের শেষ প্রান্তে চলে গেলাম তখন দেখলাম সেখানে লেখা রয়েছে ফ্যামিলি ফরেস্ট অর্থাৎ পারিবারিক জঙ্গল। তবে সেখানে গিয়ে সবচেয়ে মজার যে বিষয়টি লক্ষ্য করলাম সেটা হচ্ছে বিভিন্ন গাছের সঙ্গে স্পিকার লাগানো রয়েছে আর রাতের বেলায় এই স্পিকারগুলো থেকে বিভিন্ন পশু পাখির আওয়াজ কৃত্রিমভাবে প্রদান করা হয়। তখন মনে হওয়া স্বাভাবিক যে আপনি একটি বড় জঙ্গলের মধ্যে আছেন। তাছাড়া এই রিসোর্ট এর চারিপাশটা পুরোপুরি জঙ্গল। তবে সেখানে যদি আমরা রাতের বেলায় থাকতে পারতাম তাহলে এই ভুতুড়ে একটা অ্যাডভেঞ্চার উপভোগ করতে পারতাম যদিও সেটা কৃত্রিম তবে রাতের বেলায় এমন নির্জন জঙ্গলের ভিতরে কেমন অনুভূতি হয় সেটা কিছুটা হলেও উপভোগ করতে পারতাম কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আর সেটা সম্ভব হয়নি।
জঙ্গলের শেষ সীমানা পর্যন্ত যাওয়া হয়নি কেননা কতদূর পর্যন্ত এই জঙ্গল আছে সেটা আমরা জানি না তাই চারপাশ দিয়ে একটু ঘুরে আবার ফিরে এসেছিলাম যেহেতু আমাদের আরও কয়েক জায়গায় যেতে হবে এবং বিকেল বেলায় আমরা নড়াইল থেকে আবার কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হব। যাই হোক সেখানেই আমাদের যাত্রা শেষ করলাম এবং রিসোর্টের মেনগেটের দিকে এসে বাইক পার্কিং থেকে নিয়ে আবার পরবর্তী যাত্রার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আর আমাদের নড়াইলের চিত্রা রিসোর্ট ভ্রমণের পর্ব সেখানেই ইতি টানলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | অক্টোবর,২০২৩ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ছবি আঁকতে, ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে গুন গুন করে গান গাইতে খুবই ভালোবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Posted using SteemPro Mobile
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit