লাইফ স্টাইল // বাথরুমের পার্ট তৈরির পদ্ধতি

in hive-129948 •  8 months ago  (edited)

হ্যালো.........
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৫-০৫-২০২৪)

IMG20240503171554.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি বাথরুমের পার্ট তৈরির পদ্ধতি । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে গোসল শেষ করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে কোচিং গিয়ে মাত্র দুইটা ক্লাস করেছিলাম তারপরে একজনের সাথে দেখা করার জন্য একটি ক্লাস মিস দিয়ে স্যারকে বলে চলে এসেছিলাম। বাইরে এসে অনেকদিন পর দেখা হয়ে গেল আবারো সেই ছোট আপুর সাথে। আপুর সাথে অনেক সময় কথা বলার পরে আমি এবং জুবায়ের কেনাকাটার জন্য বাজারের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম। কেনাকাটা শেষ করে বাড়িতে এসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ি থেকে একটি বই এবং পার্টি নিয়ে বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। বাগানে এসে বেশ কিছু সময় পড়ার পরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করি। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

received_1663653250832197.jpeg

received_230631170072931.jpeg

বেশ কিছুদিন আগে আমি এবং আমার কাকা দুজন মিলে বিকেল বেলায় আমাদের এলাকার আশেপাশে ঘুরতে বের হয়েছিলাম বাইক নিয়ে। আসলে প্রায় দিন বিকেল বেলায় আমরা বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াই বেশ ভালোই লাগে। তবে সেইদিন হঠাৎ করে আমার চোখে পড়লো আমাদের কয়েক গ্রাম পাশেই মানিকদিয়া গ্রামে বাথরুমের পার্ট তৈরি করছে। তখন আমি বাইক থেকে নেমে সেখানে বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। প্রথমে দেখতে পারছেন কাঁদা মাটি অনেক সুন্দর ভাবে পানি দিয়ে ছেনে নিয়েছে। তারপরে সেখানে থাকা বেশ কিছু শ্রমিক অনেক সুন্দর ভাবে সার্চ দিয়ে পার্ট তৈরি শুরু করে দিয়েছে। যখন পার্ট তৈরি করেছিল তখন আমি সেখানে বেশ কিছু সময় দাঁড়িয়ে ছবিগুলো সংগ্রহ করেছিলাম। আসলে এগুলো তৈরি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।

received_941218404066957.jpeg

received_1178394363514850.jpeg

received_937621704254992.jpeg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন অনেক সুন্দরভাবে পাট তৈরি করে রোদে শুকানো হচ্ছে। আসলে প্রত্যেক শ্রমিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেয়ার জন্য এত কষ্ট করছে। তাই আমি মনে করি শ্রমিকদের কাজ শেষ করার সাথে সাথে তাদের মজুরি বুঝিয়ে দেওয়াই সবথেকে বেশি ভালো। আসলে আমি শ্রমিকদের সাথে বেশ কিছু সময় কথা বলার পরে জানতে পারি। সেখানে তারা প্রায় দুই বছর ধরে এই পার্ট তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে। সেখানে পার্ট গুলো রোদে শুকানোর সময় বেশ কিছু পার্ট ভেঙ্গে গিয়েছিল। যেই পার্ট গুলো ভেঙে গিয়েছে এগুলো কাঁদা আবারো তুলে নিয়ে এসে ভালোভাবে ছেনে আবারো সেগুলো দিয়ে পার্ট তৈরি করছিল।

received_342904398172199.jpeg

received_349213000801371.jpeg

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন পার্ট গুলো কয়েকদিন রোদে ভালোভাবে শুকানোর পরে এক জায়গায় অনেক সুন্দর ভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে রেখেছিলাম। তারপরে আবারও দেখতে পারবেন পার্ট গুলো পড়ানোর জন্য একটি ঘরের মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল। সাজানো মুহূর্তে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম যাতে আপনারা সব কিছু বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারেন। এখানে প্রায় তিন ধরনের সাইজের পার্ট তৈরি করা হয়ে থাকে। ছোট সাইজের , মাঝারি সাইজের, এবং বড় সাইজের। প্রত্যেকটি পার্টের সাইজ আমার কাছে দেখতে বেশ ভালোই বড় সাইজের মনে হয়েছিল।

IMG20240503171551.jpg

received_1578248216322322.jpeg

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি আবারো আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে দুইটা ছবি শেয়ার করেছি। পার্ট গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ঘরের মধ্যে সাজানোর পরে সেখানে আগুনের তাপ দিয়ে পার্ট গুলো পোড়ানো হচ্ছে। তারপরে পার্ট গুলো সেই ঘরের মধ্যে থেকে বাহির করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হয়েছে। পার্ট গুলো অনেক সুন্দর ভাবে পোড়ানো হয়ে গিয়েছে দেখতে লালচে রং ধারণ করেছে। আমি তখন একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আমি সেখান থেকে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি সবথেকে বড় সাইজের পার্ট এর দাম মাত্র ১৩০ টাকা। আমি তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এগুলো তৈরি করে কি আপনারা লাভবান হচ্ছেন। সেই শ্রমিক আমাকে বলেছিল আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালোই চলছে। আসলে এগুলো আমাদের প্রত্যেকের জন্য বেশ প্রয়োজনীয় জিনিস। বাড়িতে বাথরুম তৈরি করতে হলে এগুলো আমরা প্রায় মানুষ ব্যবহার করে থাকে। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাথরুমের পাট যে এভাবে তৈরি করে এটা আগে আমার জানা ছিল না। তবে অনেকবার এভাবে কাদা দিয়ে পাট গুলো তৈরি করতে দেখেছি। সত্যি ওরা অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই পাট গুলো তৈরি করে। তবে পাট গুলো যে এভাবে সুকোয় সেটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখলাম। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন আসলে শ্রমিকরা অনেক কষ্টের মাধ্যমে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সকল জিনিস তৈরি করছে।।

বাথরুমের পার্ট যে এভাবে তৈরি করে তা আমার জানা ছিল না আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আসলে যারা এগুলো তৈরি করে তারা অনেক পরিশ্রম করার মাধ্যমে এগুলো তৈরি করে। কাদা মাটি দিয়ে এভাবে বাথরুমের পাট তৈরি করার পদ্ধতি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এগুলো কিভাবে তৈরি করে আপনার জানা ছিল না আপনি আমার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলেন। জেনে বেশ খুশি হলাম আপু।

আপনি ক্লাস করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় আজকে এই দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দী করে আমাদের মাঝে বর্ণনা করলেন যেটা সত্য অনেক চমৎকার একটা বিষয়। বাথরুম তৈরি করার পার্ট তৈরি করার প্রসেস আমি এর আগে কখনো দেখিনি এটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো এবং নতুন অভিজ্ঞতা হলো।

আসলে এগুলো ক্যামেরাবন্দি করেছিলাম আমি অনেক আগে। আজকে কোচিং এর ক্লাস শেষ করে এসেই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছিলাম।

প্রথমত ,ছবিটি দেখেই ভাবছিলাম এতগুলি ভাগে আগুন ধরিয়ে কি রান্না হচ্ছে।তারপর পড়ে বুঝলাম, বাথরুমের ব্যবহৃত মাটির রিং।নতুন কিছু দেখতে পেলাম, যদিও এগুলো তৈরি সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না।তবে আপনার ছবির মাধ্যমে স্পষ্ট দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।

চেষ্টা করি আপু আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জিনিস শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মতামত প্রদান করার জন্য।