লাইফ স্টাইল // ইয়ারফোন কেন আর কিছু মুহূর্ত

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // ইয়ারফোন কেনার কিছু মুহূর্ত । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমে হাতমুখ ধুয়ে বেশ কিছু সময় বাড়িতেই বসে ছিলাম। আসলে গত কয়েকদিন ধরে শরীর খুবই অসুস্থ তাই বাড়ির বাইরে খুব একটা বেশি যাওয়া হয় না। তারপরে বাড়ি থেকে বাইক বের করে মাছের পুকুরে গিয়েছিলাম খাবার দেওয়ার জন্য। মাছের পুকুরে খাবার দেওয়া শেষ করে এসে অল্প একটু নাস্তা খেয়ে আবারো একটু বাজারে গিয়েছিলাম কিছু কেনাকাটার জন্য। বাজারে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছিল আসলে আজকে আমাদের বাজারে হাটের দিন তাই অনেক ভিড় ছিল সেখানে বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করে জিনিসগুলো কিনে নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের এলাকায় নতুন একটি শপিংমল হয়েছে সেখানে একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম। এভাবে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি পর বাড়িতে এসে রুমে ঢুকেই বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। চেষ্টা করি অতি ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন আপনাদের মাঝে কিছু সময় অতিবাহিত করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......

আসলে বেশ কিছুদিন আগে আমার একটা ইয়ারফোন ছিল সেটা কয়েকদিন আগে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে ব্লুটুথ সিস্টেম ইয়ারফোন আছে আসলে সেগুলো চার্জ দেওয়া লাগে তাই সব সময় ব্যবহার করা যায় না। তাই বেশ কিছুদিন আগে আমি বামুন্দি বাজারে গিয়েছিলাম একটি ইয়ারফোন কেনার উদ্দেশ্যে। যেহেতু আমি রুমের মধ্যে বসে কাজ করি এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে হয় তাই একটা ইয়ারফোন সত্যি আমার বেশ প্রয়োজন ছিল। দুঃখের বিষয় হচ্ছে এর আগের ইয়ারফোনটি ইঁদুরে কেটে দিয়েছে সত্যি আমি বেশ কষ্ট পেয়েছিলাম। ইয়ারফোনটা আমি ২০২২ সালের দিকে কিনেছিলাম খুলনা থেকে আমি তখন আমার আপুদের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আসলে ওই ইয়ারফোনটা আমার বেশ পছন্দ ছিল। তখনই আমি মনে মনে ভেবেছিলাম যেহেতু আমার ইয়ারফোন নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাই আমি আবারও একই মডেলের ইয়ারফোন কিনব। তবে অনেকদিন আগের মডেল পাওয়া যাবে কিনা এটা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিলাম। ইয়ারফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরের দিন বামুন্দি বাজারে গিয়েছিলাম ইয়ারফোন কেনার জন্য। সেখানে প্রথমে একটি মোবাইলের দোকানে ঢোকার পরেই বেশ কিছু ছবি তুলে আমি আমার মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করে রেখেছিলাম ও শেয়ার করার জন্য। চেষ্টা করি যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে কিছু ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এভাবেই বেশ কিছু সময় আমি বামুন্দি বাজারে মোবাইলের দোকানের মধ্যে প্রবেশ করার পরে দোকানদারের সাথে কথা বলেছিলাম। তখন তারা দুজন একটি ফোন সার্ভিসিং করতে ছিল। আমি তাদেরকে আমার পছন্দের মডেলের কথা বলেছিলাম তারা বলেছিল একটু খুঁজে দেখতে হবে অনেক আগের মডেল পাওয়া যায় না এখন। তারপরে একজন দোকানদার আমার পছন্দের ইয়ারফোন খুজে বের করতে গিয়েছিল। সত্যি যখন আমার পছন্দের ইয়ারফোন আমার সামনে খুঁজে নিয়ে এসেছিল কি যে ভালো লেগেছিল বলে বোঝানো যাবে না। ইয়ারফোনটি হাতে পাওয়ার পরে ঢপটা আমি অনেক সুন্দরভাবে সেখানে রেখে একটি ছবি তুলেছিলাম সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ইয়ারফোনের মধ্যে আমার সব থেকে পছন্দের মডেল হচ্ছে QKZ(DM9) আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই এই মডেলের ইয়ারফোন ব্যবহার করি। সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আমার পছন্দের ইয়ারফোন হাতে পাওয়ার পরে বেশ কিছু সময় সেখানে আমি অনেক সুন্দর ভাবে নাড়াচাড়া করেছিলাম এবং সেখানকার অনুভূতি বলে প্রকাশ করা যাবে না।

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমার পছন্দের ইয়ারফোন আমি যখন ঢপ থেকে খুলে বের করে ছিলাম তখনই সামনে রেখে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। আপনারা ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন এয়ারফোনটির কালার বেশি চমৎকার। তবে ফোনে কথা বলার জন্য এই ইয়ারফোনটি সব থেকে ভালো আমি মনে করি। কেননা এই ইয়ারফোনে খুবই সুন্দর সাউন্ড দেয়। আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই এই ইয়ারফোন ব্যবহার করি। আবারো এই ইয়ারফোন কিনতে পেরে সত্যি কি যে ভালো লেগেছিল বলে বোঝানো যাবে। তখন আমি সেখানে থাকা দোকানদারের কাছে ইয়ারফোন টির দাম জানতে চাইলাম। দোকানদার আমাকে বলেছিল যেহেতু মার্কেট আউট আপনি তো জানেন আপনি যেহেতু ব্যবহার করেছেন আপনার মত করে দিলেই হবে। আসলে এই দোকানদারের অনেক ছোটবেলা থেকেই আমার সাথে বেশ ভালো পরিচিত। তাই আমার সাথে দোকানদার কোন দাম দার করেছিল না। প্রথমে আমার কাছে ৪৫০ টাকা দাম বলে। আমি তখন ৪২০ টাকা দিয়েছিলাম দোকানদার আর কোন কথা বলেছিল না। এভাবেই আমি তখন এয়ারফোনটি সেখান থেকে কিনেছিলাম।

এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। ইয়ারফোনের মাথায় নরম বোট ছিল শুধুমাত্র দুইটি। কিন্তু আমি পরবর্তীতে আবারো এক প্যাকেট ইয়ারফোনের বোট নিয়েছিলাম। এভাবে সেখানে বেশ কিছু সময় দোকানদারের সাথে আলাপ আলোচনা করেছিলাম এবং ভালো-মন্দ কথা জিজ্ঞেস করেছিলাম। তারপরে সবার শেষে দোকানদারের সাথে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি আমার নিজের সেলফি তুলে রেখেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।