আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৮-১১-২০২৪)
নাটকটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
নাটকের নাম | ধনী গরিবের লড়াই (পর্ব-১) |
---|---|
পরিচালক | ঈগল টিম |
অভিনয় | ইফতেখার ইফতি, জান্নাতুল মাওয়া, মায়া মিম, লিপু মামা, সুমন রেজা, আরো অনেকেই, |
দৈর্ঘ্য | ২৬ মিনিট ০৭ সেকেন্ড |
ভাষা | বাংলা |
মুক্তির তারিখ | ০১ জুলাই ২০২৪ ইং |
নাটকের সারসংক্ষেপ
নাটকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখতে সত্যি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল। আমি কয়েকদিন ধরে ধনী গরিবের লড়াই নাটকের পর্বগুলো দেখে আসছি অবসর সময় পেলে এই নাটকের পর্বগুলো দেখার চেষ্টা করি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ধনী গরিবের লড়াই নাটকের প্রথম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। নাটকের শুরুতেই মোড়ল বাড়ির সকলকে এক জায়গায় ডেকে মোড়ল বাড়ির কিছু নিয়মকানুন ছিল সেগুলো একজন শিক্ষককে দিয়ে পড়ানো হচ্ছিল। কিন্তু মোড়ল বাড়ির নিয়ম কানুন ভঙ্গ করলে জরিমানা এবং শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। আবার যদি কেউ মোড়ল বাড়িতে বেশ ভালো কাজ করে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। শিক্ষককে দিয়ে পড়ানো হচ্ছিল কিন্তু পড়ার মাঝে শিক্ষক একটি ভুল করে বসে তাই মোড়ল সাহেব তাকে সাথে সাথে ১০০ টাকা জরিমানা করে । কিন্তু সেই শিক্ষক মাফ চেয়েছিল কিন্তু মোড়ল সাহেব তাকে মাফ করে নি আসলে মোড়ল বাড়ির নিয়ম ভঙ্গ করলে হয় জরিমানা না হয় শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এবার আপনারা উপরের স্ক্রিনশট গুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে তিনটি স্ক্রিনশট নিয়ে শেয়ার করেছি। মোড়ল বাড়ির মেয়েকে স্কুলে নিয়ে আসা এবং নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন লাঠিয়াল রাখা হয়েছিল। লাঠিয়াল সবসময় রাস্তা দিয়ে মোড়লের মেয়েকে যখন নিয়ে যেত তখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেদের সাবধান করত মোড়লের মেয়ে আসতেছে রাস্তার সকলে মোড়লের মেয়ের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতো। কিন্তু সেই গ্রামের এক সাহসী যুবক ছেলে মোড়লের মেয়েকে দেখার বেশ ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল তারা তিনজন বন্ধু মিলে এক জায়গায় আলোচনা করছিল আজকে মোড়লের মেয়েকে দেখতে হবে। পরে লাঠিয়াল কে বস্তা দিয়ে মুখ বেঁধে সেই গ্রামের সাহসী যুবক ছেলে মোড়লের মেয়েকে দেখে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তখন মোড়লের মেয়ে বলছিল আমার বাবা যদি এইসব কথা জানতে পারে আপনাদেরকে চোখ তুলে নিবে। সেখানেই সাহসী যুবক ছেলে মোড়লের মেয়ের প্রেমের প্রস্তাব দেয় তারপরে আবারও কালকে দেখা হবে এ কথা বলে সেখান থেকে পালিয়ে যাই।
স্কুল কলেজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে মোড়লের মেয়ে লাঠিয়াল কে বলে রেখেছিল আমাদের সাথে যা ঘটেছে বাড়িতে গিয়ে বলার দরকার নেই। বাড়ি ফেরার পথেই মোড়লের ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা সেখানেই ছোট মোড়ল সাহেব তাদেরকে বেশ কিছু কথা জিজ্ঞেস করেছিল। এবং মোড়লের ছেলে বলেছিল আমাদের বংশের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে তার চোখ তুলে নিব এভাবে বিভিন্ন কথা বলেছিল। তারপরে লাঠিয়াল এবং মোড়লের মেয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিল। এদিকে বাড়িতে মোড়লের আরেক মেয়ে পুকুরে গোসল করার জন্য বায়না ধরেছিল। কিন্তু মোড়ল বাড়ির সকলকে পুকুরে গোসল করা নিষেধ ছিল। তাই মোড়লের স্ত্রী তার মেয়েকে পুকুরে গোসল করতে নিষেধ করেছিল কিন্তু মোড়লের মেয়ে বলে কি করবে আব্বা এক হাজার টাকা জরিমানা আমি কালকে এক হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছে আজকে না হয় জরিমানা দিব তাও মোড়ল সাহেবের স্ত্রী তাকে গোসল করতে দিতে চেয়েছিল না পুকুরে। অবশেষে গোসলখানায় মোড়লের মেয়েকে গোসল করতে পাঠানো হয়েছিল।
অবশেষে ছেলের পরিবার থেকে জানতে পেরেছিল তার ছেলে নাকি মোড়ল বাড়ির মেয়ের দিকে তাকিয়েছে এবং মোড়ল বাড়ির মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। অবশেষে ছেলের মা কান্না করে অনেক জোরে জোরে উঠানে নেমে আসে তখনই তার ছেলের বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরছিল। অবশেষে ছেলের বাবা এসে উঠানে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করে কিসের জন্য কান্না করছে। অবশেষে ছেলের মা বলে তোমার ছেলে আজকে একটা মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। তখন ছেলের বাবা হাসিমুখে বলে চলো বাবা গিয়ে সেই মেয়েকে ঘরের বউ বানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসি। তখন ছেলে বলে মোড়ল বাড়ির মেয়ে তখন তার বাবার মুখ মলিন হয়ে গিয়েছে সেখান থেকে দৌড় দিয়ে পালায়। সত্যি এই জায়গায় নাটকটি দেখতে আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল।
পরের দিন আবারো সেই সাহসী যুবক ছেলের বন্ধুরা মিলে জঙ্গলের পথে দাঁড়িয়ে থাকে মোড়লের মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য। কিন্তু যুবক ছেলের বন্ধুরা সকলেই ভয় পেয়েছিল। আবারো যখন মোড়লের মেয়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল লাঠিয়াল কে বস্তা দিয়ে মাথা ধরে রেখেছিল এবং মোড়লের মেয়েকে আবারো প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু মোড়লের মেয়ে তখন বলেছিল আমি আপনার প্রস্তাবে রাজি নই। কিন্তু সেই সাহসী যুবক ছেলে বলেছিল তুমি রাজি থাকো আর নাই থাকো আমি তোমাকেই বউ বানাবো। পরে মোড়ল সাহেবের মেয়ে স্কুল কলেজে না গিয়ে আবারো বাড়ি ফিরে যাই। তখন গিয়ে এ সকল কথা লাঠিয়াল তার মোড়ল সাহেবকে সবকিছু বলে দেয়। মোড়ল সাহেব তখন গ্রামের মধ্যে সকল যুবক ছেলেদের কে খুঁজে বের করে এনেছিল।
অবশেষে গ্রামের সকল যুবক ছেলেদের ধরে নিয়ে আনা হয়েছিল মোড়ল বাড়িতে। সবাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারা হয়েছিল এবং জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তোমাদের মধ্য থেকে কে মোড়লের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। পরবর্তীতে তখন সেখানে কেউ শিকার খেয়েছিল না কে মোড়লের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে। অবশেষে মোড়লের মেয়েকে সেখানে ডেকে নিয়ে আনা হয়েছিল কোন ছেলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছে খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু মোড়লের মেয়ে তখন বলে এখানে সেই ছেলে নেই। মোড়লের মেয়ে বাড়িতে গিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করে মনে মনে ভাবে সেই ছেলেকে ধরতে না পারলেই হয়। অবশেষে মোড়লের মেয়ে রাতে যখন ঘুমাতে যাই স্বপ্নে সেই ছেলেকে দেখতে পায় এভাবেই প্রথম পর্ব শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
ধনী গরিবের লড়াই (পর্ব-১) দেখতে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লেগেছে। আসলে প্রেম মানে না বাঁধা এই নাটকটি দেখলে হয়তো কিছুটা হলেও বুঝতে পারবে। আসলে প্রেমের মাঝে ধনী-গরিব কোন কিছুই ভেদাভেদ নেই। তবে প্রথম পর্বে মোড়লের মেয়ে প্রেমে রাজি হয়েছিল না কিন্তু মনে মনে ছেলেটিকে কিছুটা হলেও পছন্দ করত। আসলে অসহায় গরিব মানুষের এরকম ভাবে অত্যাচার করা আমি মনে করি ঠিক না মোড়ল বাড়ির সবাই গ্রামের সকল মানুষকে অনেক অত্যাচার করে দেখে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। আশা করি পরবর্তী পর্বে প্রেম কাহিনীর পর্ব আরো সুন্দরভাবে শেয়ার করতে পারব।
ব্যক্তিগত রেটিং
এই নাটকটিতে আমি আমার ব্যক্তিগত রেটিং পয়েন্ট দিতে চাই ১০/৯
Source
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
x-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি এত সুন্দর করে ধনী গরীবের লড়াই নাটকের প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই নাটকটা আমার দেখা হয়েছে। আশা করছি আপনি প্রতিনিয়ত এই নাটকের প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাবেন। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করেছি আপু আমি আমার জায়গা থেকে সুন্দরভাবে নাটকটি রিভিউ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে আজকের এই নাটকটার রিভিউ সম্পূর্ণ পড়তে। নাটকের রিভিউ আমার অনেক ভালো লাগে। আমি মাঝেমধ্যেই নাটক দেখার জন্য চেষ্টা করি। তবে সময়ের কারণে এখন আর খুব একটা নাটক দেখতে পারিনা। কিন্তু আমি যখনই নাটক দেখি তখনই শিক্ষনীয় নাটকগুলো দেখার জন্য চেষ্টা করি। এই নাটকটা অনেক সুন্দর ছিল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ টা উপস্থাপন করেছেন। এত সময় নিয়ে নাটক না দেখে আমি মনে করি রিভিউ পড়ে নিলেই ভালো। এটার মাধ্যমে সম্পূর্ণ কাহিনী অল্প সময়ের মধ্যেই পড়ে নেওয়া যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন ভাই এত সময় নিয়ে নাটক না দেখে যদি রিভিউ পড়ে নেন তাও নাটকটি সম্পূর্ণ বুঝতে পারবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit