আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৪-০৭-২০২২)
আসলামু আলাইকুম আমার স্ট্রিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি প্রথম প্রেমের অনুভূতি।
সময় তখন বসন্তকাল।যখন চারিদিকে পরিবর্তনের ছায়া ঘিরে আসে সব পরিবর্তন হয় তখন আমার মনের মাঝেও একটা পরিবর্তন আসে।আর এই পরিবর্তনের কারণ একটি মেয়ে।যাকে আমি প্রথম দেখেছি।আমি আমার বন্ধু একদিন বেড়াতে যাই বেড়াতে গিয়ে দেখি একটা মেয়েকে সেখানে আমার অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি এবং তাকে অনুসরণ করি। কিছুক্ষণ পরে দেখি একটা বাড়ির দিকে সে প্রবেশ করল।পাশেই ছিল একটা মধ্য বয়সে একজন।আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ফ্যামিলি সম্পর্কে।আমি অবগত হলাম।এর কিছুক্ষণ পরে আমরা ওখান থেকে বাসায় ফিরে আসলাম।তাদের গ্রামে যেতে থাকলাম এবং ওই মেয়েকে ফলো করতে থাকলাম।কিছুদিন পরে আমি তাকে ডেকে বললাম তোমার নাম কি?সে তার নাম বলল সোনালী।আমাকে বলল আপনি কে আমি আমার সমস্ত পরিচয় গুলো দিলাম।একদিন হঠাৎ করে আমি তাকে প্রেমে প্রস্তাব দিলাম এবং সে অনেক আগেই বুঝতে পারছিল এমন কিছুই একটা হবে ।তাই সে এই কথা পাশে বাড়ি এক বান্ধবী কে জানায় তারা আমার সম্পর্কে মনে মনে খোঁজ খবর নেই।অবশেষে সে মেয়েটি আমার প্রস্তাবে রাজি হয়।
সেই থেকে শুরু হয় আমাদের প্রেমের গল্প আমরা প্রায় প্রায় তার সাথে দেখা করার জন্য তাদের বাড়িতে যায়।তাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে একটি সুন্দর একটি পার্ক আছে এই পার্কের নাম হলো ইকোপার্ক। মনোরম পরিবেশ আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন করে সেখানে বেড়াতে যাই ।আস্তে আস্তে চলতে থাকে আমাদের দেখাশোনা চলাফেরা।এভাবে বেশ কিছু মাস কেটে গেল। এভাবে কখনো কাউকে ভালোবাসা হয়নি তাই প্রেমের মর্মটা আমি খুব একটা ভালো বুঝিনি।কিন্তু যখন তাকে আমি প্রথম দেখি তার এক দেখাতে আমার মনে এক আবেগ সৃষ্টি হয় যখন সে আমার ভালোবাসাকে গ্রহণ করে তখন আমার ভেতরে এক অন্যরকম আনন্দ যে আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না ।ঠিক যেমন শরৎকালে কাশফুল বাতাসে দোল খায় ঠিক তেমন আমার মনের ভিতরেও ওই ধরনের এক অনুভূতি দোল খেয়েছিল।
একদিন ফোন দেয় আর বলে তুমি আমাদের গ্রামে আসো।আমি তার সাথে গাংনী যাই এবং একটি সুন্দর রেস্টুরেন্ট বসে সেখানে খাওয়া দাওয়া করি।এবং কিছু কথা বলি কথা বলতে বলতে সে হঠাৎ করে বলে যে তুমি কি সত্যি আমাকে পছন্দ করো? যদি আমাকে পছন্দ করে থাকো তাহলে তুমি আমাকে তোমার বাড়িতে নিয়ে চলো।তো আমি হঠাৎ করে কথা শোনার পর একটু বিস্মিত হয়ে যায় যে তুমি কেন আমাদের বাড়িতে যাবা ?তখন সে বলে আমি তোমার মায়ের সাথে কথা বলবো।তো এভাবে দুজনের কথা কিছুক্ষণ চলতে থাকে। আমি তাকে একদিন বললাম ঠিক আছে একদিন সময় করে আমি তোমাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাব। হঠাৎ করে সেই দিন আসলো আমি তাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসলাম আমার মায়ের সাথে এসে কথা বলল ।সে আমার মাকে মা বলে ডাকলো ।তখন আমার মা বিস্মিত হয়ে বলল তুমি কে ?যে তুমি আমাকে মা বলে ডাকছো।আমি বললাম যে আমি আপনার ছেলে কে পছন্দ করি ভবিষ্যতে আমরা লেখাপড়া শেষ করে আমরা একে অপরকে বিয়ে করবো।তো আমি আপনার সবকিছু জানানোর জন্য আমি আজকে আপনাদের বাসায় এসেছি।কথা শুনে মা বলল আচ্ছা ঠিক আছে তোমরা লেখাপড়া শেষ করো পরে আমরা দুই পরিবার একত্রিত হয়ে তোমাদের দুজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।তখন সোনালী বল কোন সিদ্ধান্ত নয় আমার সিদ্ধান্ত আমি আপনার ছেলেকে বিয়ে করবোই।তখন মা বলল আচ্ছা ঠিক আছে ।এই বলে মা চুপ করে গেল কিছুক্ষণ পর আমাকে ডাক দিয়ে বলল আচ্ছা ঠিক আছে তুমি এখন মেয়েটাকে তাদের বাড়িতে রেখে আসো।আমি তখন সোনালীকে বললাম চলো তোমাকে তোমাদের বাসায় রেখে আসি এভাবে ওই দিনটা কেটে গেল।
তার বেশ কিছুদিন পরে আমি তাকে ডেকে বললাম তুমি আমার মাকে সরাসরি এভাবে বলবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি।আমি হলে এটা কখনোই পারতাম না ।তখন সোনালী বলল না বললে তো হবে না ।এভাবে গোপনে কতদিন কথা বলব।তাই ঐদিন তোমার মাকে সব বলেছিলাম।যেহেতু তোমার মা অনেক ভালো আমি আমার বাসা আমার মাকে জানিয়েছি।মা বলেছে এখন তোরা চূপ করে থাক পরে আমি তোর বাবাকে বলবো।এই মুহূর্তে তোরা তো অনেক ছোট ।এই সময় যদি বলি তাহলে তোর বাবা মেনে নেবে না। সময় হলে আমি সবকিছু ঠিক করে দেব ।এই কথা শোনার পরে যদিও একটু ভালো লাগছিল তারপরও মনে একটু ভয়ে জাগছিল যখন ।সোনালী এই কথাগুলো আমাকে বলছিল আমি তেমন কিছু বলতে পারি না তারপরও মনে মনে একটু ভয় তো লাগে ।প্রথম ভালোবাসা মানুষকে হারানো বা হারিয়ে ফেললে কত কষ্ট পায় সেটা এখনো অনুভব করিনি কিন্তু তারপরও মাঝে মধ্যে মনে হয়।
হঠাৎ একদিন সোনালী আমাকে ডাক দিল।আমাকে বলল চলো আমার সাথে তোমাকে এক জায়গায় যেতে হবে ।আমি কোন কথা না বলে তার সাথে চলে গেলাম ।তার সাথে কয়েকজন বান্ধবী আছে ।আমি তাকে বললাম কি ব্যাপার কি হয়েছে আমাকে বলো?সে আমাকে বলল তুমি চুপ থাক।দেখি অনেকগুলো মোমবাতি কেক কিছু গিফট সেখানে ।সেগুলো দেখে আমি বললাম এগুলো কেন ?সে আমাকে বলল আজকে তোমার জন্মদিন তুমি কি ভুলে গেছো? তুমি ভুলে গেলেও আমি তোমার জন্মদিন ভুলিনি। কখনো এভাবে জন্ম নিজের জন্মদিন পালন করা হয়নি।অনেক আনন্দ করে নিজে জন্মদিনটা পালন করলাম ।আমি যখন সোনালীকে কেক মুখে দিতে গেলাম তখন সোনালী আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে দিল। আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া সেরে ঐ দিন বাড়িতে ফিরে আসলাম। সে আমাকে যে গিফট গুলো উপহার দিয়েছিল আমি বাড়িতে সেগুলো খুলে দেখলাম তার ভেতরে একটি সুন্দর ঘড়ি আছে একটি শার্ট এবং একটি প্যান্ট আমাকে উপহার দিয়েছে আমি সেগুলো পড়ে একটা ছবি উঠালাম এবং তার ইমুতে শেয়ার করলাম।
কিছুদিন আগে আমি সোনালীকে বললাম তুমি আমার সাথে একটু দেখা করতে পারবা।সোনালী বলল কেন পারব না আমি বললাম তাহলে যেখানে দেখা করি সেখানে তুমি চলে আসো ।সোনালী আসলো আমি সোনালীকে বললাম তোমার ঈদের দাওয়াত থাকলো ।তুমি আমাদের বাসায় আসবে। একথা শুনে তো সে খুবই খুশি সে বলল তুমি আমাকে দাওয়াত না দিলেও আমি আমার বাড়িতে তো এমনিতেই যেতাম ।তখন আমি হেসে উঠে বললাম তোমার বাড়ি মানে ।সে বলল তোমার বাড়ি মানেই তো আমার বাড়ি। তুমি না চাইলেও আমি মাকে দেখার জন্য তোমাদের বাড়িতে যেতাম ।এই বলে ঈদের দিন আসলো। সবাই বাড়িতে একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম অনেক আনন্দ করলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে করে আম্মু বলল যে তুই ওকে বাড়িতে রেখে আয়।আমরা আমার বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম ওখান থেকে আমরা আর একটু এদিকে ওদিকে ঘোরাফেরা করলাম ।ঠিক বিকেলের টাইমে আমি তাকে বাড়িতে রেখে আসলাম। ওই সময় আমি তাকে বললাম আমি যেখানে কাজ করি ওখানে প্রথম প্রেমের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ।তো আমি মনে মনে ভেবেছি তোমার আমার প্রেমের কথা আমি ওখানে তুলে ধরবো। তুমি যদি সম্মতি দাও তাহলে তোমার আমার প্রেম সম্পর্কে আমি আমার কাজের মাধ্যমে তুলে ধরবো। তখন সে বলল তোমার লিখতে একটু লজ্জা লাগবে না আমি বললাম লজ্জা কেন সবাই তো এখানে নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করবে সেখানে আমিও নাই আমার অনুভূতি শেয়ার করব তো তখন সে সম্মতি দিল।
দুজনের সম্পর্কের বয়স খুব বেশি দিন না ।তারপরও এই সম্পর্কের ভিতরে অনেক কিছু পথ আমরা এগিয়ে গিয়েছি। প্রেমের যে অনুভূতি যে তৃপ্তি যে ভালোবাসা আমি উপলব্ধি করেছি তার সত্যি ভোলার নয়। সময় অল্প হলেও মনে হয় যুগ যুগ ধরে আমি তাকে চিনি ,মনে হয় যুগ যুগ ধরে আমি তাকে ভালোবেসে আসছি ভালোবাসার অনুভূতি এত মধুর কখনো ভাবি নি।যাই হোক আমাদের সম্পর্ক এখনো চলছে ,আমাদের দুজনের একটাই চাওয়া আমরা লেখাপড়া শেষ করব এবং একে অপরকে আমরা বিয়ে করব।
মামা মামীর সন্ধান পেয়ে গেছি মনে হচ্ছে। তবে বেশ ভালো লাগলো তোমার এমন সুন্দর কাহিনী পড়ে। মামা হয়ে কিছু বলার নেই। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম। মাথাতে কোন ভাবনাও আসছে না কি পরামর্শ দিব ভাগ্নির জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার থেকে ভালো পরামর্শ আসে আশা করছি মামা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনি অনেক সাহসী আপনার গার্লফ্রেন্ডকে ঈদের দাওয়াত দিয়েছেন। এরকম সাহস এখনো পর্যন্ত আমার হয়নি ।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখানে সাহসের কিছু নাই ভাইয়া প্রেম করলে বাড়িতে জানাতে হবে তাই দাওয়াত দিয়েছিলাম ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit