আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-০৫-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ১৭ তম পর্ব। আজকের সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে গোসল শেষ করে বেশ কিছু সময় লেখাপড়া করেছিলাম। তারপর দেখি বাড়িতে এখনো সকালের নাস্তা তৈরি হয়নি। তখন ভাবলাম আজকে যদি নাস্তা খেয়ে কোচিংয়ে যেতে হয় তাহলে লেট হয়ে যাবে। তাই আমি বাড়ি থেকে বাইক নিয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কোচিং শেষ করে হোটেলে হালকা একটু নাস্তা খেয়েছিলাম। বাড়িতে আসার পথে মুস্তাফিজের মামা এবং তুহিন মামার সাথে দেখা হয়েছিল সেখানে বেশ কিছু সময় বসে আড্ডা দিয়েছিলাম। তারপরে বাড়িতে এসে শরীর বেশ ক্লান্ত লাগছিল মনে হচ্ছে কিছুই ভালো লাগেনা। বিছানায় শোয়া মাত্র ঘুমিয়ে গেছিলাম। ঘুম থেকে উঠে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গিয়েছিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আপনারা এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপুর বিয়ের ক্ষীর খাওয়ানোর সময় বেশ কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষীর খাওয়ানোর সময় সবাই বেশ হলুদ পোশাকে সেজেছিল দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। যে সকল মানুষ আপুকে ক্ষীর খাওয়াতে এসেছিল তারাও বেশ দারুন ভাবে নতুন পোশাকে সেজে এসেছিল। ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানের দিন আপুর বেশ কয়েকটি বান্ধবী এসেছিল সবাই একই শাড়িতে সেজেছিল। সবাই মিলে আপুর বিয়েতে ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানের দিন সত্যি বেশ দারুন মজা করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন বিয়ের দিন বর আসনে অনেক মানুষ বসে রয়েছে। সেখানে বসে ছিল আমার দুলাভাই সহ দুলাভাইয়ের দুলাভাই । সেখানে দুলাভাইয়ের আপুর একটি ছোট্ট ছেলে ছিল খুবই চঞ্চল। সেই ছেলেটি বর আসনের মাঝখানে বসে চারদিকে সাজানো ফুল গুলো খুলে খুলে ফেলছিল। তারপরে আমরা যখন সেখানে খাবার দিয়েছিলাম সেই ছেলেটির পায়ে বেঁধে এক প্লেট খাবার সম্পূর্ণ বর আসনের মাঝে পড়ে গিয়েছিল । পরে আবার সেগুলো অনেক সুন্দর ভাবে গোছানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে খাবার দেওয়ার সময় বেশ মজা করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিকেলে যখন আপুকে নিয়ে চলে যাবে, তার কিছু আগ মুহূর্তে আপু এবং দুলাভাইকে বাড়িতে নিয়ে এসে দুজনকে পাশাপাশি বসানো হয়েছে মিষ্টিমুখ করানোর জন্য। সেখানে আমার মামা দুলাভাইকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিল। মোবাইল ফোনটি ছিল স্যামসাং ব্র্যান্ডের। আসলে মোবাইল ফোনটি আমি নিজের হাতে কিনেছিলাম আমার কাছেও বেশ দারুন লেগেছে। আপুকে যখন আমরা আমাদের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে বিদায় দিতেছিলাম তখন আপু কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। সত্যি আপুর কান্না দেখে আমার বেশ খারাপ লেগেছিল সেই দিন। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম একটা মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার সময় কতটা কষ্ট পাই। তবে সব মিলিয়ে সেই দিন বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আরও দুটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। সবকিছু শেষে ক্যামেরাম্যান বলেছিল আপু এবং দুলাভাইকে নিয়ে একটু ছাদের উপরে আসার জন্য তারা কয়েকটি ছবি এবং ভিডিও শুট করবে। আপু এবং দুলাভাইকে ছাদের উপরে নিয়ে আসার পরে আমিও বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। প্রথম প্রথম আপু দুলাভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে একটু লজ্জা পাচ্ছিল কিন্তু ক্যামেরাম্যান সেই লজ্জা ভাঙ্গিয়ে দিয়েছিল। সকলের সামনে বলছে আপনারা একটু পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুজনের গায়ে হাত দিয়ে ধরুন তাহলেই হবে। তখন সেখানে পাশে থাকা সকল মানুষ বেশি লজ্জায় পড়েছিল। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যে কোন মেয়ের জন্যই বিয়ের দিনটা আসলেই একটা মিশ্রিত অনুভূতির দিন! এক দিকে জন্ম থেকে বড় হওয়া নিজের বাসা ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট অন্যদিকে নতুন পরিবার, নতুন পরিবেশের হাতছানি! বিদায়ের মুহুর্ত প্রতিটি মেয়ে এবং তাদের পরিবারের জন্যই কষ্টদায়ক! যাই হোক, আপনার আপুর নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা। আর বেশ ভালোই মজা করেছেন বিয়েতে এবং খাবার এর সময়েও। আর ছোট বাচ্চারা থাকলে দুষ্টামি তো করবেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে বিয়ের দিন বিদায় বেলা যেকোনো মেয়ের জন্য বেশ স্মরণীয় একটি দিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছ। তোমার আজকের শেয়ার করা পোস্ট ছিল তোমার বোনের বিয়ের ১৭ তম পর্ব। এর আগের পর্বটি আমিও দেখেছি তাই আবার নতুন একটি পর্ব দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লাগলো। তোমার আজকের পোষ্টের মধ্যে একটা বিষয় খুবই ভালো লাগলো যে তোমার মামা তোমার দুলাভাইকে ফোন গিফট করেছে। এমন মামা শ্বশুর তোমার ও হোক তাতে একটা ফোন তো পাওয়া যাবে। হা হা। অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। তোমার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বন্ধু তোমরা মেয়ে খুঁজতে থাকো যে মেয়ের মামা ফোন গিফট করবে তাহলে সেই মেয়ের সাথে বিয়ে করব। তাহলে একটা ফোন পাওয়া যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি দেখতে দেখকে ১৭ টি পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। আপনার আপুর বিয়ের সব গুলো পর্ব পড়া হয়নি, তবে কিছু কিছু পর্ব পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। যাইহোক আপনারা ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানে সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার কাছেও হলুদ পোশাকে দেখতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই বিয়ের প্রত্যেকটা মুহূর্তই বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম, ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানের পর্ব আজকে আবার ও শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আজকে ১৯তম পর্বের মাধ্যমে বেশ অনেক কিছু দেখার ও জানার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের। এমন বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক কিছু জানতে পারলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আমার পোস্ট থেকে অনুষ্ঠানের ধারণা পেয়েছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ।আজকে ১৯ তম পর্ব ছিল না আজকে ছিল ১৭ তম পর্ব। আশা করি এডিট করে ঠিক করে নিবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এর আগেও আপনি আপনার আপুর বিয়ের বেশ কিছু পর্ব সবার মাঝে তুলে ধরেছিলেন। আর এবারের পর্ব দেখেও ভালো লেগেছে ভাইয়া। সত্যি কথা বলতে এই বিশেষ দিনের প্রত্যেকটি মুহূর্ত অনেক বেশি অনুভূতি মেশানো। আর অনেক বেশি স্মৃতি জড়িত। আপনার আপুর নতুন জীবনের জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/GKibreay/status/1790163981774315777
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি অনেকদিন ধরেই আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের পর্বগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন। আজকেও খুবই সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে আজকের পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং এখানে আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করেছি ভাই সেখান থেকে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ মতামত প্রদান করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit