আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৩-০৩-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি (ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // মাঠে স্যালো মেশিনে গোসল করার গল্প। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে প্রথমে অল্প লেখাপড়ার জন্য টেবিল চেয়ারে বসে ছিলাম। সকাল সাতটার দিকে টেবিল ছেড়ে আবারো কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আজকে সময় মত কোচিংয়ে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলাম। আজকে কোচিংয়ে আমাদের প্রথম ক্লাসের স্যার আসতে কয়েক মিনিট লেট করেছিল তাই আমরা বেশ কিছু আলাপ আলোচনা করেছিলাম বন্ধুদের মধ্যে। কোচিং অবস্থায় অনেকবার আমার মোবাইলে ফোন এসেছিল তাই অবশেষে ফোন এরোপ্লেন মোড বন্ধ করে রেখেছিলাম। কোচিং শেষ করে ফোন দিয়ে দেখি আমার কাকা ফোন দিয়েছিল বলছে আজকে কোচিং থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে। তাই কোচিং শেষ করে বাড়িতে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে গোসল শেষ করে আমি এবং কাকা একটু বাইরে গিয়েছিলাম। বাইরে থেকে এসে আবারো আপনাদের মাঝে বসে গেলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আমি আজকে আপনাদের মাঝে যেই ঘটনাটি শেয়ার করতে যাচ্ছি এটি হচ্ছে অনেকদিন আগের একটি ঘটনা। আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়তাম। আমাদের গ্রামের মাঠে তখন নতুন স্যালো মেশিন বসিয়েছিল বেশ কয়েকজন। আসলে স্যালো মেশিন দিয়ে মূলত বিভিন্ন জমিতে পানি দেওয়া হতো। আসলে সেই সময় আমাদের গ্রাম অঞ্চলে টিবয়েল খুব কম বাড়িতে ছিল। যেহেতু আমরা ক্লাস ফোরে পড়তাম তাই আমাদের স্কুল ছিল বেলা বারোটার পরে। সেই সময় আমাদের স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। আমি এবং আমাদের বাড়ির পাশের কয়েকজন ছেলেরা মিলে স্যালো মেশিনে গোসল করার জন্য গিয়েছিলাম। আমরা গোসল করতে যাওয়ার পরে সেখানে অনেক সময় ধরে গোসল করেছিলাম। তখন আমাদের এলাকাতে নতুন এসেছিল স্যালো মেশিন তাই মধ্য বয়সি মানুষও আমাদের সাথে গোসল করেছিল। প্রত্যেকটি মানুষের মাঝে তখন কৌতুহল লেগেছিল এই বিষয়ে। এভাবে আমরা প্রায় দিন স্কুল যাওয়ার আগে সেখানে গোসল করতে যেতাম।
এভাবে আমরা ছেলেমেয়েরা প্রায় প্রতিদিন স্কুল এবং পরীক্ষার আগ মুহূর্তে সেই মাঠের স্যালো মেশিনে গোসল করতে যেতাম। পরীক্ষা চলছিল এমন একদিন আমরা গোসল করতে গিয়েছিলাম অনেক আগেই। গোসল শেষ করে এসে দেখি এখনো বেলা সাড়ে দশটা বাজে বাড়ির পাশে স্কুল হওয়ায় ভেবেছিলাম একটু গোসল করে আসার পরে ঘুমাবো তারপরে ঘুম থেকে উঠে পরীক্ষা দিতে যাব। হঠাৎ গোসল শেষ করে এসে আমি বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন আমার বন্ধুরা বেশ কয়েকজন আমার বাড়িতে এসেছিল পরীক্ষা দিতে যাওয়ার জন্য ডাকতে। এদিকে আমি রুমের মধ্যে শুয়ে আছি আমার আম্মু জানে না আমার আম্মু আমাদের এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছে আজকে পরীক্ষা এজন্য। অবশেষে আমার আম্মু কোথাও যখন খুঁজে আমাকে পেয়েছিল না বাড়িতে এসে দেখে আমি বিছানায় ঘুমিয়ে আছি। পরবর্তীতে আমাকে আমার আম্মুর ডেকে বলে আজকে পরীক্ষা আছে এখন ঘুমাচ্ছিস কেন। তখন আমি ঘুম থেকে উঠে একটি শার্ট গায়ের মধ্যে দিয়েই দৌড় দিয়েছিলাম পরীক্ষা দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। গিয়ে দেখি পরীক্ষা ১৫ থেকে ২০ মিনিট শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি তখন স্যারের কাছ থেকে পরীক্ষার খাতা নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বসে গেলাম।
পরীক্ষার হলে থাকা স্যার এবং ম্যাডামরা বেশ কয়েকজন আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল কিবরিয়া তোমার পরীক্ষা দিতে আসতে এত লেট কেন। আমি স্যারদেরকে বলেছিলাম মাঠের স্যালো মেশিনে গোসল করে এসে বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ভেবেছিলাম ঘুম থেকে উঠে পরীক্ষা দিতে আসবো যদি আজকে আম্মু না ডাকতো তাহলে হয়তো পরীক্ষা দেওয়া হতো না। এই কথা শোনা মাত্রই আমার বন্ধু এবং বান্ধবীরা হাসাহাসি শুরু করে। আসলে সেই সময় ছোট থাকার কারণে নিজের কাছেই অনেক খারাপ লেগেছিল। পরীক্ষা শেষ করে যখন বাড়িতে এসেছিলাম আম্মু অনেক বকাবকি করছিল। তারপর থেকে আর আমি স্যালো মেশিনে গোসল করতে যেতে দিতো না বাড়ি থেকে। আশা করি আজকের লেখা গল্পটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
মামা আমিও আমাদের দুইটা স্যালো মেশিনে গোসল করেছি। তবে যখন হাইস্কুলে ছিলাম। লজ্জা হওয়ার পর থেকে আর করি নাই। তবে পরীক্ষার বিষয়টা আমার কাছে ভিন্ন। এভাবে কখনো ঘুমাইনি। আমি আগে থেকে টেনশনে পড়ে যেতাম বিশেষ করে পরীক্ষার দিন তো ঘুম ভাঙতো সবার আগে। যাহোক গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মামা আমি স্যালো মেশিনে গোসল করে আসার পরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই পরীক্ষাতে অনেক লেট হয়ে গিয়েছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি৷
স্যালো মেশিনে গোসল করার একটি আলাদা মজা রয়েছে৷ আপনি যেভাবে গোসল করার একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আপনারা পরীক্ষার সময় যখন গোসল করতে গেলেন৷ তখন স্কুল কাছে হওয়ার কারনে ভেবেছিলেন যে তাড়াতাড়ি গোসল করার পরে ঘুমিয়ে যাবেন এবং তারপরে চলে যেতে পারবেন৷ পরবর্তীতে যখন আপনার বন্ধুরা আপনাকে ডাকতে গেল তখন আপনার আম্মু যখন আপনাকে খুঁজে পেলেন না। পরবর্তীতে তিনি আপনাকে বিছানায় পেলেন এবং পরবর্তীতে যখন পরীক্ষা দিতে গেলেন ১৫-২০ মিনিট চলে যাওয়ার পরে পরীক্ষা দিতে পেরেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পারি বেশ খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/GKibreay/status/1766287809147752603?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit