নমস্কার বন্ধুরা,
অভিযাত্রী ক্লাবের ভিড়ে পুজো দেখার পরে শিবতলী ক্লাবের দিকের পথ ধরলাম। কলেজ পাড়ার ঠিক পেছন দিকটায় যেমন অভিযাত্রী ক্লাব রয়েছে তেমনি কলেজ পাড়ার ডান পাশে রয়েছে শিবতলী ক্লাব। কলেজ পাড়া সংলগ্ন জায়গায় মূলত তিনটে পুরোনো পুজো কমিটি আছে যেখানে প্রত্যেকটিতেই এত পরিমানে মানুষের ভিড় হয় যেটা অকল্পনীয়। আর রাত বাড়ার সাথে মানুষের ভিড় যে বাড়ছিলো সেটা পথেই বুঝতে পারলাম। অষ্টমীর রাত পেরোলে পুজো মাত্র একদিন তাই দর্শনার্থীরা চেষ্টা করে থাকে অষ্টমীর রাতেই পুজো পরিক্রমা মোটামুটি শেষ করে নেওয়ার। আমিও সেই ভিড়ের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম শিবতলী ক্লাবের পুজোতে। পৌঁছেই পুজো মণ্ডপে ঢোকার লাইন দাঁড়িয়ে পড়লাম।
কচিকলা একাডেমির মতোই শিবতলী ক্লাবের কাছেও জায়গার অভাব তবুও তারা ছোটো পরিসরের মধ্যে বেশ আকর্ষণীয় থিম বানায়। সুবর্ণ জয়ন্তী বছরে পদার্পণ করে এবারে শিবতলী ক্লাবের পুজোর ভাবনা বৌদ্ধ মন্দির। থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে শিবতলী ক্লাবের পূজা মন্ডপ। জায়গার স্বল্পতার জন্যই তারা পুজোটা গলি জুড়েই করে থাকে। জায়গা স্বল্পতা পুজো কমিটি নিত্যনতুন ভাবনা দিয়ে পুষিয়ে দেন।
বৌদ্ধ মন্দিরের আদলের মন্ডপ রাতের আলোতে সত্যিই অত্যন্ত সুন্দর লাগছিলো। বিশেষ করে মন্ডপের বাইরে যে আলোক সজ্জা করা হয়েছে তাতে মণ্ডপের কারুকার্য আরো বেশি করে ফুটিয়ে উঠেছে। যেহেতু মন্ডপটি থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের অনুকরণে তাই মন্ডপের সামনে গৌতম বুদ্ধের বেশ কয়েকটি মূর্তি পাশাপাশি মন্ডপের চূড়ার দিকটায় একটি হাতির মূর্তিও বসানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের লাইনের সাথে আমি ধীরে ধীরে মন্ডপের অন্দরে ঢুকে পড়লাম। মন্ডপের অন্দর সজ্জার কাজ মণ্ডপের বাইরের মতনই অত্যন্ত সুন্দর। আলোক সজ্জা দৌলতে কারুকাজ বেশি করে ফুটে উঠেছিল। বিশেষভাবে রঙিন জরির ব্যবহার মণ্ডপের ভেতরটা করে তুলেছিল ঝকঝকে।
মন্ডপের মধ্যিখানে বিরাজিত স্বয়ং মা জগৎ জননী দুর্গা। মন্ডপের কথা মাথায় রেখেই এখানে মা দুর্গার প্রতিমা থাইল্যান্ডের প্রতিমার আদলেই করা হয়েছে।
দাদা নমস্কার,
আপনার পুজোর এপিসোড গুলো দেখেই আসতেছি ৷ নতুন করে কিছু বলার নেই ৷ শিবতলী ক্লাবের পুজোর পুরো থিম টা বেশ চমৎকার দেখার মতো ৷ আর প্রতিমা গুলোর সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর ৷ সবমিলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এমন দারুন একটি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটো পরিসরে এতো সুন্দর মন্ডপ বানিয়েছে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা দূর্গা পূজা উপলক্ষে শিবতলী ক্লাব স্বল্প পরিসরেও এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে। তাদের আয়োজন দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। এতো চমৎকার আয়োজন দেখতে তো মানুষের ভিড় হবেই। থিমের সাথে তাদের আয়োজন একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে, বৌদ্ধ মন্দিরটা একেবারে নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদমই ভাই! এতো ছোটো জায়গায় সুন্দর করে বানিয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি করা শিবতলী ক্লাবের পুজো মন্ডপটা কিন্তু ছোট খাটোর ভিতর অনেক সুন্দর হয়েছে। বাইরে থেকে এত চাকচিক্য দেখে তো আমি রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া মন্দিরের ভিতরে ব্যবহারিত রঙিন জরির ফলে, ভেতরটাও দেখতে বেশ ভালো লাগছে। তবে মা দুর্গার মূর্তিটা কিন্তু একেবারে ইউনিক এবং অত্যন্ত সুন্দর লাগছে দেখতে। আমি তো বেশ কিছুটা সময় নিয়ে মায়ের মূর্তিটা শুধু দেখলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটো হলেও বেশ পরিপাটি করে বানানো। আমিও বেশ অবাক হয়েছিলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিপাটি করে বানানো হলেই সব কিছু অনেক বেশি সুন্দর লাগে ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit