নমস্কার বন্ধুরা,
কদিন ধরে মাঝেমধ্যে মাথাটা ঝিমঝিম করছিলো। সেই সাথে চোখে অল্প ঝাপসা দেখছিলাম, বিশেষ করে টানা মোবাইল কিংবা কম্পিউটার দেখার পর এই বিষয়টা আমার হয়ে আসছিলো। আমি চোখে অনেক পাওয়ারের চশমা দিই, তাই মনে বেগতিক গুনলাম। হয়তো আবার চোখের পাওয়ারটা বেড়ে গিয়েছে। চোখের ডাক্তারের কাছে যাবো তা নিয়ে কয়েক দিন ধরে ভাবনা চিন্তা চলছিল সেই সুযোগ হয়েছিলো, যখন জেঠুর চোখের অপারেশন হলো সেই সময়। কিন্তু তখন সবার ফাঁকে আমার আলাদা করে চোখ দেখানো সম্ভব হয়নি। আসলে চোখ দেখানো মানে সেদিন পুরোটা দিন চুপচাপ হাত গুটিয়ে বসে থাকা, স্বভাবতই জেঠুকে নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে হবে বলে তখন আর দেখানো হয়নি।
শুক্রবার শরীরটা একটু খারাপ ছিল তাই শনিবার দিনটা পুরোপুরি ছুটি নেওয়ার কথা ঠিক করলাম। সেই সাথে শনিবার দিনই চোখের ডাক্তার দেখানো স্থির করলাম। জ্যাঠামশাইয়ের চোখের অপারেশন যে ডাক্তার বাবু করেছিলেন তার কাছেই বুকিং করে নিলাম। সেই সাথে উনি পরিচিত হওয়ার জন্য একটা আলাদা তো সুবিধা ছিল।
সকাল দশটার সময় চোখের ডাক্তার দেখাবার কথা থাকলেও বৃষ্টি বাদলাতে ঘর থেকে বেরোতেই দশটা পেরিয়ে গেল। আসলে কলকাতাতে শুক্রবার থেকে ফের বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে তাই আবহাওয়াটা খুবই সুন্দর। সেই সব উপেক্ষা করে মাথায় ছাতা নিয়ে জল কাদার মধ্যে দিয়েই পৌঁছে গেলাম দিশাতে। দিশার পরিষেবা পূর্বেও যখন এসেছিলাম তখন যথেষ্টই ভালো লেগেছিল। দিশাতে ঢুকে আমার বুকিং নাম্বার এবং টাকা দিয়ে দিলাম। তারপর পেমেন্ট রিসিট আর একটা ফাঁকা প্রেসক্রিপশন হাতে পেয়ে গেলাম। ফাঁকা প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে প্রথমে মেকানিক্যালি চোখের পাওয়ার চেক হলো, তারপর আরো একজন অপ্টোমেট্রিস্ট পুরোনো পদ্ধতিতে চোখের পাওয়ার চেক করে নিলেন। সেই সাথে দুই চোখে পড়লো দুই ফোঁটা করে ড্রপ। এই ড্রপসই একটা দিন নিয়ে নেয়। নামটা ভুলে গেলাম তবে এটি চোখে দিলে কর্নিয়াটা অনেকটা বড়ো হয়ে যায়। সে কারণে চোখ পরীক্ষা করতে খুব সুবিধা হয়।
ড্রপটা দিতেই চোখ খুব জ্বালা করলো তারপর চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলো। কাছের জিনিস কিছুই দেখতে পাওয়া যাচ্ছিলো না, সেই সাথে পেরিফেরাল ভিসিনটাও গায়েব। সেই অবস্থায় ডাক্তারবাবুর রুমের সামনে কোনপ্রকার বসলাম। সমানে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে ডাক্তার বাবু ডাকলো। উনি চোখ দেখে একটা খুশির খবর শোনালেন চোখে পাওয়ার বাড়েনি তবে কিছুটা ড্রাইনেস হয়েছে। সেটার কারণ মূলত জানালেন বহু সময় ধরে মোবাইল এবং ল্যাপটপের স্ক্রিন দেখা। আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলেন তবে সেটা অন্য আরেকদিন হবে। একটা ড্রপসও লিখে দিলেন যেটা দিনে তিনবার দিতে হবে তাহলে নাকি আমার সমস্যা গুলোর সমাধান পাওয়া যাবে। প্রেসক্রিপশন নিয়ে কিছুটা খুশি আর কিছুটা দুঃখে বেরিয়ে পড়লাম। তবে যত সহজে এসেছিলাম ততো সহজে ঘরে ফিরতে পারলাম না। চোখে এতই ঝাপসা যে মনে হচ্ছিলো, হাতে একটা লাঠি থাকলে সুবিধা হতো। হাঃ হাঃ।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমোশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS #TRON #TronMemeSeason
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যাক। পাওয়ার বাড়েনি শুনে ভালো লাগলো ভাই। তবে চোখের ব্যাপার, নিয়ম করে ড্রপ দাও। অবহেলা কোরো না। দিশা চোখের জন্য সেরা জায়গা। আমিও কদিন আগে মায়ের চোখের অপারেশন করালাম দিশা থেকে। এখন ভালো আছে। তবে নিয়ম করে চেকাপটা করিও। পাওয়ার না বাড়াই ভালো। বৃষ্টির দিনে ভালো থেকো আর খিচুড়ি খেও।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মোবাইল এবং ল্যাপটপ বেশিক্ষণ ইউজ করলে এমনিতেও চোখ দিয়ে একটু ঝাপসা দেখা যায়। যাইহোক শেষ পর্যন্ত পাওয়ার বাড়েনি,এটা জেনে আসলেই খুব ভালো লাগলো। তবে চোখের নিয়মিত যত্ন করবেন দাদা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা যারা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল কম্পিউটার নিয়ে থাকি তাদের চোখের অসুবিধা টা যেন নির্ধারিত। হয়তো কেউ আগে এবং কেউ পরে এর ভুক্তভোগী হয়। যাইহোক আশাকরি আপনার চোখের সমস্যা টা দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে। খুব একটা বেশি সমস্যা হয়নি আশাকরি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit