প্রয়োজনের আগমন

in hive-129948 •  2 years ago 

GridArt_20230523_223507309_copy_1228x818.jpg

নমস্কার বন্ধুরা,

বহুদিন নতুন হেডফোন কিনি না। একটা সময় ছিল যখন আমার কাছে হেডফোনটা কেনাটা একটা নেশা ছিল। নেশাই বলবো কারণ আমার মনে পড়ে একটা সময় আমার কাছে পাঁচটা কি ছটা হেডফোন এক সময়েই ছিল। যেগুলো আমি ঘুরিয়ে ফিরে ব্যবহার করতাম। তবে তখন হেডফোনগুলোর একটাই কাজ ছিল তা হলো গান শোনা। গান শুনতে আমি খুবই পছন্দ করি। সেই পছন্দ থেকেই কোন হেডফোনে কত সুন্দরভাবে গান শোনা যায় তাই বহু সংখ্যক হেডফোন একসাথে কিনা। তারা কেউই কথা বলার খুব একটা কাজে লাগেনি, গান শুনিয়েই দেহে রেখেছে। সে বয়স কয়েক বছর আগে কথা। বর্তমান সময়ে গান শোনা বিশেষ আর হয় না হেডফোন শুধুমাত্র কাজের জন্য। আমার পুরাতন হেডফোনটার সেখানেই ব্যাগড়া বাঁধলো। ক'দিন ধরে কথা বলায় সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। আমি কথা বললে অন্য পাশের লোক কথা শুনতে পাচ্ছিলো না। সেজন্যই হেডফোন কিনবো কিনবো করছি।

যদিও মোবাইলের ব্যাক কভার এর মতন আমাকে হেডফোনটা বিশেষ খুঁজতে হয়নি। কারণ এক বন্ধুর স্যামসাং এর ইএসএইচ৬৪ হেডফোনের কোয়ালিটি দেখে আমার পছন্দ হয়ে যায়। ভাবলাম সেটাই অর্ডার করবো আর যেমন বাবা তেমন কাজ করলাম। অর্ডার করে দিলাম স্যামসাংয়ের হেডফোনটাই। মাত্র একদিনের মধ্যেই হেডফোনটা বাড়িতে এসে হাজির। মাঝে যে হেডফোনের জন্য একটু উৎসুকতা জন্মাবে সেটার সুযোগই হলো না।

PXL_20230518_165438743_copy_1209x907.jpg

যাক নতুন হেডফোন যখন চলে এসেছে তাহলে সেটাই আপনাদের দেখাই। ইয়া বড় এক অ্যামাজনের বাক্সে খুলতে বেরিয়ে পড়ল হেডফোনটা। এমাজনের বাক্সটা যত বড় স্যামসাংয়ের হেডফোনের প্যাকেটটা ঠিক ততটাই ছোট। বাক্সের হয়তো ১/১০ অংশ জায়গা দখল করে রেখেছে। প্যাকেজটা শক্ত প্লাস্টিকের তৈরি। সেটার সেফটি স্টিকার গুলো কেটে হেডফোনটা বের করে নিলাম। প্যাকেটের ভেতরে মাত্র দুটি জিনিস হেডফোনটা এবং তার সাথে কিছু আরো ইয়ারটিপ।

PXL_20230518_165617765_copy_1209x907.jpg

PXL_20230518_165634333_copy_1209x907.jpg

বেশি অপেক্ষা করলাম না হেডফোনটা প্যাকেট থেকে বের করে ফেললাম। তবে ব্যবহার করার আগে একটা ছবি তুলে রাখলাম বটে। হেডফোনটা কানে গুঁজতেই সুন্দরভাবে ঢুকে গেল। বুঝলাম যে হেডফোনটা কানে গুঁজতেই বাইরের আওয়াজ খুব কম পরিমাণে আসছে।

PXL_20230518_165824323_copy_1209x907.jpg

PXL_20230518_170301349_copy_1209x907.jpg

শুরুতেই একটা গান চালিয়ে শুনে নিলাম। অনেকদিন পরে এরকম ভাবে গান শুনে বেশ ভালোই লাগলো। তারপর সোজা চলে গেলাম আমার যে কাজের জন্য নেওয়া সে কাজে। বাড়িতে ফোন করলাম। বাড়িতে কথাবার্তা বলার শেষে তাদের জিজ্ঞেস করলাম যে আমার কথা এতক্ষণে তারা পরিষ্কার শুনতে পেয়েছে কিনা। ওপার থেকে উত্তর এলো যে সব কথাই পরিষ্কার শুনেছে। সাথে সাথে খুব ভালো লাগলো। মাত্র ৫০০ টাকায় এত সুন্দর একটা হেডফোন পেয়ে যাব সেটা কল্পনাও করেনি। যাক এখন আমি বরং হেডফোনটা নিয়ে অল্প গান শুনি আপনারা সাথে দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

হুম শুরুর দিকে আসলেই হেডফোনগুলো গান শুনার কাছে ব্যবহার করা হতো, অন্য রকম একটা ভাব থাকতো তখন কানে হেডফোন থাকলে, হি হি হি। অনেক হেডফোনের ক্ষেত্রেই এই সমস্যাটা দেখা যায়, কয়দিন ভালো কাজ করে তারপর অন্য পাশের মানুষ শুধু হ্যালো হ্যালো বলতে থাকে, আমার কাছে বেশ মজাই লাগে তখন হা হা হা। বড় বক্স দেখিয়ে কাস্টমারদের খুশি রাখার চেষ্টা আরকি, হি হি হি।

আমি সেদিন হ্যাং আউটে কথা বলতে গিয়ে দেখি কেউ শুনতে পারছে না। তারপর দিন আবার কাজ করলো। রিস্ক টা নিলাম না। হাঃ হাঃ।

প্রথম দিক থেকে হেডফোনে গান শোনাটা অনেকটা মজার বিষয় নিজের কাছে মনে হতো। আটটায় অনেকগুলো হেডফোনও কেনা হতো। এখনো দেখছি প্রায় পাঁচ-ছয়টি হেডফোন ব্যবহার করতেন। একা সময় হেডফোন ব্যবহার করতে বেশ মজাই লাগতো। তবে যাক ৫০০ টাকায় অনেক ভালো একটি হেডফোন পেয়েছেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।