নমস্কার বন্ধুরা,
বাড়িতে পুজো থাকলে তিষ্ঠানোর সময় থাকে আর আমার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর সকালটা শুয়েই কাটাতে হলো। কারণ হঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাওয়া। শরীর চাঙ্গা করে নিতে জ্বরের ওষুধ খেয়ে শুয়ে শুয়েই পুজোর উত্তেজনায় ছটফট করলাম। যদিও পুজোর সময় এগিয়ে আসতেই শরীর কিছুটা ভালো হলো। তারপর যেটুকু সম্ভব হলো পুজোর জোগাড়ে হাত লাগলাম। জোগাড় করতে করতে পুজোর তিথি মেনে পুরোহিত মশাই চলে এলো, আমাদের সবটা গুছিয়ে ফেলার আগেই। তাকে দেখে মা লক্ষ্মীর প্রতিমা পিঁড়িতে বসানোর তোড়জোড় পড়ে গেলো। যেটা ছিলো আমার দায়িত্বে। তবে আমার পরিস্থিতি দেখে বাবা সেটাই নিজেই করে নিলেন। মা লক্ষ্মীর প্রতিমা পিঁড়িতে বসতেই মা চট করে আলপনা এঁকে দিলেন। তারপর প্রদীপ সরষের তেল দিয়ে জ্বালানো হলো, পুজোর জন্য কাটা হলো ফলমূল।
পুরোহিত মশাইকে পুজোর দিকটা গুছিয়ে আমার নতুন দায়িত্ব পড়লো ভক্তদের প্রসাদের দিকটা গুছিয়ে রাখা। পাশের বাড়ির এক ভাইকে নিয়ে নিজেই বসে পড়লাম। প্রসাদ ৬০ কিলো মুড়ি, ১০ কিলো মুড়কি, ৫ কিলো খই মিশিয়ে সাথে দু ধরনের নাড়ু আর ফলমূল, যা পুজোর শেষ না হলে পাওয়া যাবে না। ১৫ কিলো মুড়ির সাথে ২.৫ কিলো মুড়কি আর কিছুটা করে খই মিশিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগে প্যাকেটে পুরতে শুরু করে দিলাম। অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে বাবা পুজোর পঞ্চ প্রদীপ নিয়ে হাজির হলো। বুঝলাম ভক্তদের ভীড় কিছুক্ষনের মধ্যেই হবে তাই কাজের বেগ বাড়িয়ে দিলাম যাতে ভক্তরা আসতেই তাদের ঝটপট প্রসাদ হাতে তুলে দেওয়া যায়।
সন্ধ্যা ৭ টা বাজার সাথে সাথে ভক্তদের আগমন শুরু হলো। শুরুতে হাতে গোনা কয়েকজন আসলেও রাত ৮ টা বাজতেই ভক্তদের ঢল নামলো। ঘন্টাখানেকের মধ্যে প্রায় ১৮০/১৯০ খানা প্যাকেট শেষ হয়ে গেলো। হাতে আর মাত্র ৫০/৬০ খানা প্যাকেট, ফের হুড়মুড়িয়ে মুড়ি-মুড়কি-খই মাখবার কাজে লেগে পড়লাম। ঝফফট আরো ৬০ খানা প্যাকেট বানিয়ে নিলাম। রাত ৯:৩০ টা নাগাদ প্রসাদ বিতরন শেষ হলো, তখন হাতে পড়ে আছে মাত্র ৫ টা প্যাকেট। অবশেষে আমিও কাজ থেকে মুক্তি পেয়ে মা লক্ষ্মীর কাছে যাওয়ার সুযোগ পেলাম।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmVZ2LnjzbteWf1QSr3MqRaJx7dYMMGANXS258rRfzaubR/Division.jpeg)
দাদা হঠাৎ করে পুজোর দিনে সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আবার পুজো সময় এগিয়ে আসতে আসতে নিজেঝ একটু সুস্থ হয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। দাদা কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোয় দেখছি ভক্তদের জন্য অনেক খই মুড়ি বিতরণ করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে স্থাপিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শরীর খুব একটা ভালো না থাকলেও পূজার আগে বেশ ভালোই লাগছিল আপনার ।তাই পূজার আসরে যেতে পেরেছিলেন এবং প্রসাদের যোগাড় করতে পেরেছিলেন হাতে হাতে।সন্ধ্যা থেকে লোকজন আসতে আরম্ভ করেছিল।প্রসাদের প্যাকেট বিতরণ করে ঠাকুরের কাছে যেতে পারলেন অবশেষে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit