নমস্কার বন্ধুরা,
মাঝেমধ্যে কোন জিনিসপত্র অসময়েই আমাদের থেকে বিদায় নিয়ে নেয়। সেরম আজ দুপুরে আমার হাত থেকে পড়ে বিগত তিন বছরের আমার এক সাথী বিদায় নিলো। দুপুরবেলা কমিউনিটি খুলে কিছুক্ষন কাজ করবো ভেবে ল্যাপটপটা দোতলা থেকে একতলায় নামিয়ে আনার সময়েই মাউসটা হাত থেকে পড়ে মাটিতে আছাড় খেলো। যদিও আগেও বেশ কয়েকবার হাত থেকে পড়ে আছাড় খেয়েছে তবে এখন পর্যন্ত তার কোনো সমস্যাই ছিল না। মাউসটি কিনেছি তিনবছর হতে চললো। আর বিগত বছর গুলোতে মোট কতবার যে সেটি আছার খেয়েছে তা আমি ভুলে গিয়েছি। যাইহোক প্রতিবার হাত থেকে পড়ে গিয়েও কোনক্রমে সে প্রতিবারেই বেঁচে গিয়েছে। তো আজ হঠাৎ আবার যখন পড়ল, আমি ভাবলাম এ যাত্রায় হয়তো বেঁচে গেলো। যথারীতি আগে যেরকম চলতো সেভাবেই চলবে। কিন্তু সে যে আদপে ধরাধাম ছেড়ে চলে গেছে সেটা বুঝতে পারলাম মাটি থেকে তাকে হাতে তুলতেই। হাতে তুলে বোঝা গেলো স্ক্রল বাটনটা নাচানাচি করছে। মনে প্রমাদ গুনলাম। মনের ভাবনা মিলে গেলো সেটিকে ল্যাপটপে লাগানোর সাথে সাথে।
কোনমতে কমিউনিটির কাজকর্ম করছিলাম কিন্তু হাত বারবারই মাউস খুজছিল। আসলে মাউসের ব্যবহার করে অভ্যাসটা একদমই অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। মাউস অভাব বোধ করতে থাকলাম। কাছে পিঠে কম্পিউটারের দোকান বলতে ১০ কিলোমিটার দূরে। এদিকে মাউসের অত্যন্ত প্রয়োজন তাই ঝটপট কাজকর্ম সেরে নিয়ে জামা গলিয়ে নিলাম। মাউস কিনতে যাবো।
রাস্তায় গাড়ি ধরবো বলে দাঁড়িয়ে আছি। সেই সাথে সাথে ইন্টারনেট সার্ফ করতে থাকলাম কোন মাউসটা কিনলে সবচেয়ে ভালো হয়। কিন্তু মজার বিষয়টা হলো আমি যে মাউসটা আগেও ব্যবহার করতাম এখনো সেটিই সেরা বিক্রি হওয়া মাউসের মধ্যে একটি। তার সাথে পাল্লা দিয়ে রয়েছে ডেল কোম্পানির মাউস। যথারীতি দুপুর বেলার ফাঁকা রাস্তা দিয়ে পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে। খুব তাড়াতাড়ি দোকানটাও খুঁজে পেয়ে গেলাম। আমাদের তল্লাটে একটি মাত্রই কম্পিউটারের দোকান।
দোকানে ঢুকেই দুই সেরা বিক্রিত মাউস দুটো দেখতে পেয়ে হাতে তুলে নিলাম। কোনটা কিনব, কোনটা কিনব ভাবছি। শেষমেষ ডেল-এর মাউসটাই বেছে দাম জিজ্ঞেস করলাম। সাড়ে পাঁচশ টাকা। দাম শুনে আমার চক্ষু চড়কগাছ। অনলাইন মার্কেটে যেখানে দাম ২৭০ টাকা সেখানে দোকানের ৫৫০ টাকা অনেকটাই বেশি। অল্প দড়াদড়ি করতেই দামটা কমে ৪০০ তে এসে দাড়ালো। তবুও অনেকটা বেশি। আমি ৩২০ পর্যন্ত যাওয়ার কথা বললাম কিন্তু দোকানের মালিক আমার দামে দিতে নারাজ। ওদিকে আবার অনলাইনে মাত্র দুদিনের মধ্যে ডেলিভারি দিয়ে যাবে। তাই দেখে দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম আর সাথে সাথে অর্ডার বসিয়ে দিলাম। দুদিন না হয় অল্প কষ্ট করেই কাজ সারি।

দাদা কাজের জিনিস নষ্ট হয়ে গেলে কাজ করতে আসলেই ব্যাঘাত ঘটে ৷ আমি তো ভাবলাম মাউস কিনলেন মনে হয় ৷ ওমা আসলে তো দাম অনেক ৷ যা হোক অর্ডার যেহেতু করেছেন পেয়ে যাবেন ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাউস ছাড়া ল্যাপটপ ব্যবহার করতে আমারও বিরক্ত লাগে। যাইহোক অনলাইন থেকে তারবিহীন মাউস অর্ডার দিলে মনে হয় খুব ভালো হতো দাদা। দোকানে সবসময় দাম বেশি থাকে সব জিনিসের। তার চেয়ে অনলাইনে দাম অনেক কম থাকে। যাইহোক দোকানে গিয়েও শেষ পর্যন্ত মাউস না কিনে, অনলাইন থেকে অর্ডার দিয়েছেন তাহলে। আশা করি দুই দিনের মধ্যে মাউসটি হাতে পেয়ে যাবেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা, যতগুলো আছাড় খেয়েছে বললে তোমার মাউস, তাতে এতদিন বেঁচে ছিল কি করে সেটাই ভাবছিলাম। হা হা হা..😂😂 তবে এমনিতে কিন্তু ডেল কোম্পানির মাউস গুলো খুব ভালো। তবে আমি প্রথমে যে কথাটা ভাবছিলাম তুমি শেষে একদম সেটাই করেছ, যে অনলাইনে অর্ডার করেছো। এই জিনিসগুলো অনলাইনে অনেক কম দাম থাকে। এখন দুই দিন একটু কষ্ট করে কাজ করো তারপর অনলাইন থেকে দিয়ে গেলে তো হয়ে গেল। দুদিন একটু কষ্ট হলেও, কিছু টাকা তো অন্তত বাঁচলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit