নমস্কার বন্ধুরা,
কদিন আগে চোখ পরীক্ষা করিয়ে নিলাম। সুখবর হলো, চোখের পাওয়ারে একটুও পরিবর্তন আসেনি। তবুও যেহেতু প্রায় বছরখানেক পরে চোখ দেখালাম সেই জন্য নতুন কিছু চশমা বানানোর চিন্তা সেইদিনই করে নিয়েছিলাম। আমার পুরোনো চশমা গুলোর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছে তার উপর যেহেতু স্কিনের উপরে কাজ বেড়েছে অনেকটা সেই অনুযায়ী চশমাও দরকার। আমি শেষ চশমা বানিয়েছিলাম ২০২২ সালের জুলাই মাসে, প্রায় দু বছর আগে। তাহলে নিশ্চই বুঝতে পারছেন সেই চশমা গুলো কেমন হয়ে গিয়েছে, যারা রোজ চশমা পরে তারা বিষয়টা ভালো বুঝবেন। তাছাড়া মনে মনে নতুন ট্রেন্ডি চশমার দিকে ঝুঁকে যাওয়ার ইচ্ছে করছিল। রাস্তা ঘাটে বেরোলে সবার চোখে দেখছি ট্রান্সপারেন্ট গোছের চশমার ফ্রেম, সেরম একটা বানাতে হবে।
ফাঁকা সময় পেয়ে শনিবার দুপুরে যাওয়া ঠিক করলাম। কলকাতায় ফের গরম পড়েছে সেই জন্য ভর দুপুরবেলায় বেরোবো কিনা সেটা নিয়ে একটু দোটানায় ছিলাম কিন্তু বিগত কদিনের রাস্তার জ্যাম দেখে বুঝেছি, বিকেল হলেই পুজোর বাজারের ভীড়ে বেশি সময়টা আমার রাস্তাতে বেরিয়ে যাবে তাই রোদ থাকতেই বেরিয়ে পড়লাম। আমি মূলত চশমা বানাতে চাই লালবাজারের কাছে কিছু চশমার দোকান আছে সেখানে, যাত্রা পথ অনেক দূরে না হলেও ভেঙে ভেঙে যেতে হয় বলে সময় লাগে। বহুদিন আগে গিয়েছি সেই জন্য রাস্তাঘাট ভুলতে বসেছিলাম, তাই যেমনটা একটা বাস ধরেই সেখানে পৌঁছে যেতাম সেটা একটু ঘুরপথ হয়েই আমাকে যেতে হলো। আসল কথা হলো গন্তব্যে পৌঁছানো, শেষ পর্যন্ত তা বেশ আরামের মধ্যে করতে পারলাম। আসলে ভর দুপুর বেলায় রাস্তায় খুব একটা মানুষজন বেশি না থাকার জন্য বাস বা মেট্রো দুটোই তুলনামূলকভাবে ফাঁকা ছিল। মেট্রো করে সেন্ট্রাল স্টেশনে নামলাম তারপর সোজা রাস্তা ধরে অল্প একটু হেঁটে যেতেই লালবাজার পৌঁছে গেলাম।
পরিচিত দোকানটাতে চলে গেলাম। দোকানদার জেঠু দেখেই চিনতে পারলেন। দুজনেই দুজনার হাল শুনে তাকে কিছু ফ্রেম দেখাতে বললাম। প্রথম যে দুটো চশমার ফ্রেম বেরোল সেই দুটোই আমার পছন্দ। কিন্তু তার মধ্যে সেই ট্রান্সপারেন্ট গোছের ফ্রেম চশমাটা নেই। অল্প খুঁজতেই সেরকম একটা পেলাম তবে ঠিক ট্রান্সপারেন্ট না, হালকা সবুজ রংয়ের একটা আভা ছিল চশমাটার মধ্যে। চোখে দিলাম, ভালো মানান সই লাগলো। ফ্রেমগুলো পছন্দ করে তারপরে পছন্দ করে নিলাম পাওয়ার ফাইবার গ্লাস। ল্যাপটপ মোবাইলের স্ক্রিনের জন্য, ব্লু কাট, এন্টি গ্লেয়ার ফাইবার নিয়ে নিলাম। সব কিছু নিয়ে দাম বেশ ভালোই পড়লো। চশমা বানাতে একটু সময় লাগে সেই জন্য সেগুলো বানাতে দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কাছেই আরেকটা ঘন্টাখানেকের কাজ ছিল সেটা সেরে আসার জন্য।
আসলে আমার ল্যাপটপটা কদিন ধরেই একটু সমস্যা করছিল গতকাল হঠাৎ করে অন হওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই সার্ভিস সেন্টারে গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি সেটা বন্ধ। সেখানে গিয়ে কাজটা হলো না তাই একটু তাড়াতাড়িই ফিরতে হলো। ফিরে দেখি আমার চশমা গুলো তৈরি হওয়া আর কিছুটা সময় লাগবে, কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর হাতে পেলাম আমার নতুন চশমা। সেগুলো চোখে লাগিয়ে দেখলাম বাহ বেশ ভালই লাগছে। সেই সাথে এই নতুন গ্লাসগুলো অনেকটাই পাতলা, যেটা হলো উপরি পাওনা। আমি তো বেজায় খুশি। আর ট্রান্সপারেন্ট ফ্রেমটা সত্যি দারুন মানিয়েছে। আহা! এতদিন কেন যে করিনি।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি নিজের পছন্দের ট্রান্সপারেন্ট চশমা বানিয়ে নিলেন পরিচিত কাকুর দোকান থেকে।স্ক্রিনের উপর কাজ বেড়ে হওয়ায় একটু ভালো চশমা ব্লুকাট গ্লাস নিয়েই ভালো করেছেন।আর নিজের পছন্দের চশমা পেয়ে অনেক খুশি জানতে পেরে ভালো লাগলো ।নিজের পছন্দের যেকোনো জিনিস নিতে পারলেই ভালো লাগে সবার।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা পুস কয়েন এর প্রমোশনের জন্য তো স্ক্রিনের দিকে এখন বেশি তাকাতে হচ্ছে। যাইহোক নিজের পছন্দ মতো ট্রান্সপারেন্ট চশমা বানিয়েছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। পরিচিত দোকানে গেলে মোটামুটি ভালোই সুবিধা পাওয়া যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন ট্রান্সপারেন্ট চশমা গুলোই ট্রেন্ডিংএ চলছে। আমি নিজেও দুটো বানিয়েছি দাদা।
এটা আসলেই সুখবর দাদা। যাইহোক, তোমার চশমা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আর কলকাতার গরমের ব্যাপারটা কিন্তু আসলে আমরা কেউই ঠিকঠাক মেনে নিতে পারছি না দাদা। হা হা হা...
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit