নমস্কার বন্ধুরা,
বালেশ্বরের পর্বগুলো লিখবো লিখবো করেও লেখা হয় না। একের পর এক বিভিন্ন কাজ এসে পড়ছে সেই সাথে ভুলে যাওয়ার অভ্যেস হয়েছে নতুন সঙ্গী। বালেশ্বরে একদিন সুযোগ পেয়ে বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে ফেলেছিলাম। আরো জায়গা ঘুরতে পারতাম শুধুমাত্র অভাব ছিল একটা স্কুটারের। পরে মনে হলো যদি একটা স্কুটার কিংবা বাইক সাথে থাকতো তাহলে সব জায়গা অনেক সহজে ঘুরে ফেলা সম্ভব হতো। যাই হোক তবুও কোনো প্রকারে মোটামুটি বহু জায়গা ঘুরতে পারলাম সেইটা বড় পাওনা ছিল। সোমবার মূলত সকালবেলা থেকেই কাজের জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়েছিল।
আমার কাজগুলো যে বিশেষ কঠিন বা বিশেষ সময় সাপেক্ষ সেটা নয়। কাজ অল্পই ছিল এবং যেহেতু ছোট শহর সেহেতু অফিস কাছারিগুলোতে গেলে মোটামুটি তাড়াতাড়ি অফিসের সরকারি বাবুরা সময় দেন সেই কারণে একটা বিশাল সুবিধা পেলাম ও কাজ গুলো দ্রুত করে ফেলা গেলো। দুপুরের আগেই কাজকর্ম মোটামুটি গুটিয়ে ফেললাম তারপরে সেখান থেকেচলে আসলাম আমাদের পান্থনিবাসে। ভ্যাপসা গরম থাকায় স্নান সেরে নেওয়াটা ঠিক মনে হয়েছিল। স্নান সেরে সোজা লাঞ্চ করতে চলে গেলাম। দুদিন দৈনিক চলতি ভাতের হোটেল গুলোতে খেয়েছি তাই ভাবলাম কলকাতা ফেরার আগে কিছুটা ভালো জায়গায় খাওয়া উচিত। পান্থনিবাসে ফেরার পথে লক্ষ্য করেছিলাম, ঝাড়েশ্বর, একটা সম্পূর্ণ ভেজ রেস্তোরাঁ। দুপুরের খাবার সারতে সেখানেই পৌছালাম।
বালেশ্বর শহরের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে রেস্তোরাঁর নাম ঝাড়েশ্বর। যা আসলে ভগবান শিবের অপর নাম। ভেতরে ঢুকে দেখলাম বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সম্পূর্ণ বাতানুকূল। দুপুরের গরম রোদে মিষ্টি ঠান্ডা বাতাসে বসে মেনু চাইলাম। ওহ বাবা! বিশাল তার মেনু এবং ওয়েটারের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম তারা দুপুর পর্যন্ত রেস্টুরেন্ট এর পাশাপাশি পাইস হোটেল। রাত্রিতে শুধুমাত্র রেস্টুরেন্ট। মেনুতে অনেক ধরনের খাবার দেখলাম, সবই পছন্দসই তবে দুপুরে ভাত না খেলে হয় না তাছাড়া একটু পরে ট্রেনে কলকাতা ফিরে আসা। সেজন্য খুঁজে একটা স্পেশাল ভেজ থালি নিয়ে নিলাম।
কঠিন কোন অর্ডার নয় সেজন্য কিছুটা বসতেই খাবার চলে এলো। থালায় পেলাম ভাত, স্যালাড, ভাজা, ডাল, সবজি, পনিরের তরকারি উপরি স্পেশাল পাওনা একটা তন্দুরি বাটার রুটি, টক দই রসগোল্লা আর একটা পাপড়। যদিও ছবি তোলার আগেই পাপড়টা আমি উড়িয়ে দিয়েছি তাই সেটা ছবিতে আসেনি 😁। খাবারের পরিমাণ এবং স্বাদ দুটোই অত্যন্ত ভালো ছিল, একটা রেস্টুরেন্টের যেরকম থাকা উচিত। প্রত্যেকটা খাবারেই অল্প ঘি থাকার জন্য আলাদা এক সুগন্ধ আসছিল। দুপুরের খিদের পেটে যা অমৃতর মতো লাগলো।
আমার কাছে পাইস খাবার হিসেবে ৮/১০। রুটি যদি আরেকটা বেশি পাওয়া যেত তাহলে আমি নাম্বার আরো ০.৫ বাড়িয়ে দিতাম 😂। শেষ পাতে টক দই আর ওড়িয়া রসগোল্লা মধুরেণ সমাপয়েৎ।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছবি দেখেই ক্ষুধা পেয়ে গেল। নতুন একটা তথ্য জানতে পারলাম। তা হলো ঝাড়েশ্বর নামটা। একটা নতুন শব্দও শিখলাম। বাতানুকূল। ধন্যবাদ দাদা এমন নতুন কিছু শেখানোর জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বালেশ্বরের খুব কাছে আবার একটা ধর্মীয় স্থান পঞ্চলীঙ্গেশ্বর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ, দাদা। আরেকটি তথ্য জানতে পারলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হোটেল ঝাড়েশ্বর যে খুব ভালো একটি হোটেল তা আপনার ব্যাখ্যা এবং ছবিতে কি বোঝা যাচ্ছে। যদিও শুধুমাত্র ভেজ খাবারে আমার এলার্জি আছে, কিন্তু তাও এমন সুন্দর পরিবেশে বসে খেতে বেশ লাগে। বালেশ্বর আমি এই বছরই গিয়েছিলাম। যদিও আমরা চাঁদিপুর চলে গেছিলাম। কিন্তু বালেশ্বর জায়গাটিও বেশ লেগেছিল। আপনার ব্যাখ্যাতে আরো সুন্দর হয়ে উঠলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হোটেল ঝাড়েশ্বরে গিয়ে তো জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন দাদা। আসলে লাঞ্চের সময় মজার মজার আইটেম থাকলে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit