নমস্কার বন্ধুরা,
কলকাতায় চটপট দুর্গাপুজোর প্রথম কয়েকটা দিন কাটিয়ে সপ্তমীর দিন বাড়ি চলে এলাম। বাড়ি পৌঁছে সেদিনই সন্ধ্যাবেলা মায়ের সাথে আশপাশের বেশ কিছু পুজো মণ্ডপ দেখে নিলাম। অষ্টমীর দিন সকাল বেলা পুজোর অঞ্জলি দিয়ে এসে দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে কাটলো। বিকেলবেলা থেকে ফের প্ল্যান শুরু করলাম, জেলার সদর শহরের মন্ডপ গুলো ঘুরে আসার জন্য। মা-কে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে রাজি করিয়ে ফেললাম। দুর্গা মা-কে দেখতে যাব জন্মদাত্রী মা-কে নিয়ে যাবো না সেটা তো হতে পারে না। তাই মা-কে রাজি করিয়ে অষ্টমীর সন্ধ্যা বেলায় চলে গেলাম আমাদের সদর শহর বালুরঘাটের পুজো পরিক্রমা করতে।
বালুরঘাটে ছোট বড়ো পুজো সব মিলিয়ে প্রায় ত্রিশ খানা দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। শুধুমাত্র অষ্টমীর রাতে সব কটা পুজো ঘুরে ফেলা সম্ভব ছিলো না। তবে পা যতক্ষন সাথ দিয়েছে ততক্ষণ বালুরঘাটের প্রায় সবকটি ঐতিহ্যবাহী পুজোই দেখেছি। তার মধ্যে প্রথম যে পুজো মন্ডপে আমি গিয়েছিলাম সেটি ছিল সৃজনী সংঘে। বালুরঘাটের বড় বাজেটের পুজো গুলোর মধ্যে একটি হলো সৃজনী সংঘ। এবারেও তাদের থিম এবং দুর্গাপুজো ছিল নজর কারা।
শহরের একদম শেষ প্রান্ত থেকেই দূর্গা পুজো পরিক্রমা শুরু করেছি। যাওয়াটা যেহেতু অনেক দেরীতে স্থির হয় তাই পুজো পরিক্রমা শুরু করতেও বেশ রাত হয়ে গেছিলো। সৃজনী সংঘে পৌঁছেছি তখন মন্ডপের সামনে মানুষের ভিড় অনেকটাই বেশি। আর মানুষের ভীড় তো হওয়ারই ছিলো, সুবিশাল মাপের নজরকাড়া নৌকা যে কোনো দর্শনার্থীকেই টেনে নিয়ে আসবে। বেত, বাঁশ ও খড়ের কাজের উপরে বিশালাকার নৌকা বানিয়েছে দূর থেকে অসাধারণ লাগছিলো। আর এটাই মূলত সৃজনী সংঘের মূল আকর্ষণ হয়। গুটি গুটি পায়ে মন্ডপের ভেতরে পৌঁছে গেলাম। মন্ডপে ঢুকে সেখানের অন্দরসজ্জা এবং শিল্পীদের হাতের কারুকার্য দেখে অবাক হয়ে গেলাম। অত্যন্ত সূক্ষ্ম হাতের কাজ পুরো মন্ডপ সেজে উঠেছে। শিল্পীরা খুব সুন্দরভাবে খড়, কাঠ ও বেতের কাজে পুরো মন্ডপের সাজিয়ে দিয়েছেন।
মণ্ডপের মাঝের ঝাড়বাতির কাজও ছিল অত্যন্ত সুন্দর। মূলত ঝাড়বাতির চারপাশে কিছুটা কাঠের কাজ করার জন্য ঝাড়বাতিটা আরো ফুটে উঠেছে।
মন্ডপের ঠিক মাঝে বিরাজমান হয়ে আছেন জগত জননী মা দুর্গা। ডাকের সাজে বিশাল মাপের মায়ের প্রতিমা পুরো মণ্ডপের শোভা আরো বেশি করে ফুটিয়ে তুলেছে।
আপনার একটা কথা আমার দারুণ লেগেছে দাদা পা যতক্ষণ সাথ দিয়েছে ততক্ষণ দেখেছি হা হা। ব্যাপার টা বেশ মজার ছিল। সৃজনী সংঘ এর পূজা প্যান্ডেল টা বেশ চমৎকার ছিল তো। সত্যি বেশ দারুণ লাগছে। এবং আপনার অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। সত্যি বলতে আপনার পূজা পরিক্রমা এখনো চলছে এটা বেশ অবাক করা বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই দাদা দূর্গা মা'কে দেখতে যদি জন্মদাত্রী মা'কে নিয়ে না যান,তাহলে ব্যাপারটা আসলেই কেমন দেখা যায়। যাইহোক আপনার মা'কে সাথে নিয়ে সৃজনী সংঘ এর পূজার আয়োজন দেখতে গিয়েছেন। সৃজনী সংঘ এককথায় দুর্দান্ত আয়োজন করেছে। নৌকার ডিজাইন দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এক মাকে দেখতে যাবেন আরেক মাকে ছেড়ে এটাতো আসলেই মানানসই হতো না। তাই আপনি আপনার মাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়াই উত্তম কাজ করেছেন দাদা। সুজনী সংঘের তৈরি করা বিশাল আকৃতির নৌকাটি দেখে আমি তো প্রথমে কোন একটি মিনার বা রাজ প্রাসাদ মনে করেছিলাম। আসলেই নৌকাটি অনেক বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। এবং ঝাড়বাতিটিও অনেক বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে পাশে কাঠের কাজ করার জন্য আরো সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যাই হোক দাদা পূজার মধ্যে আপনি একটি সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। আর আমাদেরও দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তুমি তো তাও হেঁটে হেঁটে এত পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেছো দাদা। আমি তো দুটো তিনটে দেখার পর আর হাঁটতে পারি না তাই বাড়ি চলে আসি। তবে সৃজনী সংঘের পুজোর থিমটা কিন্তু আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগলো। তাছাড়া লোকের ভিড় তো হবেই, এত সুন্দর পুজো মন্ডপ তৈরি করলে। যাইহোক, মায়ের সাথে পুজোর মণ্ডপ ঘুরে ঘুরে দেখার মজাই কিন্তু আলাদা দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit