নমস্কার বন্ধুরা,
আমার এবারের বিশ্বকর্মা পুজো খুব সাধারণভাবেই কেটে গেলো। যদিও এর পেছনে মূল কারণ হলো বিশ্বকর্মা পুজোর দিন প্রচুর পরিমাণে হাতে কাজ থাকা সাথে আরেকটাও কারণ আছে সেটা হলো আগের রাতে ভালো ঘুম না হওয়া। কোলকাতায় হঠাৎ করে গরম ফিরে এসেছে সেই জন্য রোজ রাতের ঘুমের বারোটা বেজে যাচ্ছে। যার ফল পুজোর দিন সকাল থেকেই পাচ্ছিলাম, চোখ থেকে ঘুম কিছুতেই ছাড়ছিল না, তার ওপরে কাজের চাপ তো ছিল। সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর সময় পুজোর কাজ নিয়েই সারাটা দিন কাটে, এবার ক্লায়েন্ট দের কাজ নিয়ে দিনটা কাটলো 😬।
বাবা বিশ্বকর্মা হলেন ইঞ্জিনিয়ার দের দেবতা তাই সবার বাড়ির নিয়ম হলো সকালে উঠে বাড়ির যত্ত সব লৌহ জাতীয় বস্ত সব ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে তারপর পুজো করা হয়। পুজো শেষে পাওনা হয় দুপুরবেলার খিচুড়ি প্রসাদ। সেই সাথে শহরের দিকে বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে আরেকটা ট্রেডিশন চালু রয়েছে সেটা হচ্ছে ঘুড়ি ওড়ানো। আগে যখন হাতে হাতে স্মার্ট ফোন আসেনি তখন ঘুড়ি উড়ানো বিষয়টাকে সবাই অনেকটা সিরিয়াসলি নিতো এবং বিশ্বকর্মা পুজো শুরু হওয়ায় ৫ দিন আগে থেকে পুজো শেষ হওয়ার ৫ দিন পর পর্যন্ত বিকেলের আকাশ জুড়ে থাকতো ভর্তি ঘুড়ি। মোবাইল আসার পরে এইটা একদম হাতে গোনা হয়ে গিয়েছে এবং পুজোর দিনেই শুধুমাত্র ঘুড়ি ওড়ানো হয় যাও খুব নামমাত্র। মোবাইলের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে।
পুজোর সকালে ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে উঠে পিসে মশাইয়ের গাড়িগুলোর পুজোর ব্যবস্থা শুরু হয়ে গেলো। পুরোহিত মশাই একটু দেরি করে এলেন। যেহেতু বিশ্বকর্মা পুজো মোটামুটি সব বাড়িতেই হয় তাই পুরোহিতদেরর আজ খুব টানাটানি। পুরোহিত মশাই আসার আগেই আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম, পুরোহিত আসাতেই গাড়ির পুজো শুরু হলো। একে একে সব গুলো যন্ত্রের পুজো শেষ হয়ে গেলো। তারপরে প্রসাদ নিয়ে কাজে বসে পড়তে হলো।
সময়ের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়, এটাই বাস্তব এটাই নিয়ম। আগে পুজো পার্বণের দিনগুলো পড়াশুনা গুলো থেকে শত হস্ত দূরে সারাদিন শুধু পুজোর দিকে থাকা আর প্রসাদ খাওয়া। কারণ তখন দিনগুলো ছিলো ফাঁকা, সময় পরিবর্তনের সাথে সেই ফাঁকা দিন গুলো এখন কাজকর্মে ভরে গিয়েছে। যদিও আমি খুব একটা ঘুড়ি ওড়াতাম না তবে ঘুড়ি যারা ওড়াতে পারতো তাদের "ভোকাট্টা" শব্দটা শুনতে খুব ভালো লাগতো। কাজ গুছিয়ে যখন একটু ফাঁকা হলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে ভাবলাম ছাদে গিয়ে দেখি আকাশে দু একটা যদি ঘুড়ির দেখা পাই। ছাদে গেলাম দেখলাম অনেক কটা ঘুড়ি কেটে পড়ে আছে। গোধূলি বেলায় দুজন তখনো ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। কিছুক্ষণ বসে আছি ঘুড়ির লড়াই দেখলাম, হঠাৎ আওয়াজ পেলাম "ভোকাট্টা"...
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের মত আমাদের এখানেও হুট করে গরম ফিরে এসেছে দাদা।আর গরম এর জন্যই যত সমস্যা।আপনার এবারের বিশ্বকর্মা পূজা ভালো কাটেনি রাতে ঘুম না হওয়াই।ব্যস্ততার জন্যই যত সমস্যা।আর সময়ের পরিবর্তন এ মানুষের জীবন ও পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক।ছাদে গিয়ে শেষ মুহূর্তেও দুজনের ঘুড়ি ওড়ানো দেখতে পেলেন নিশ্চয়ই অনেক ভালো লাগছিল।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি উড়ানোটা আমিও কলকাতায় থাকাকালীন দেখেছিলাম। আমাদের মেদিনীপুরের গ্রামের থেকে এই প্রচলনটা নেই। সাধারণত মাঠে যখন ধান উঠে যায় সেই দিনগুলোতে ঘুড়ি ওড়ানো হয় সেটা ওই মার্চ এপ্রিল মাসের দিকে। এবার তো শুনেছিলাম বিশ্বকর্মা পূজোয় আকাশে অনেক কালো ঘুড়ি উড়েছে। প্রবাসে মানে অবাঙ্গালীদের মধ্যে বিশ্বকর্মা পুজোর প্রচলন একেবারেই নেই। এরা গাড়ি ঘোড়া পুজো করে এদের যেদিন নববর্ষ থাকে সেই দিন। কতদিন বিশ্বকর্মা পূজোর প্রসাদ খাই না মনে পড়ে গেল। অবস্থাটা অনেকটা এমন যে আমার কাছে সবই স্মৃতি হয়ে গেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের দেশেও কোন একটা উৎসবের সময় যেন, ঠিক খেয়াল নেই, পুরান ঢাকায় সাকরাইন নামে একটা ঘুড়ি উৎসব হয়। এখন অবশ্য আগের মত জৌলুশ নেই। তবে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে মোবাইল ফোন হাতে পাওয়ার পর থেকে অনেক কিছুই এখন আর দেখা যায় না কিংবা খুবই কম দেখা যায়। ছোটবেলায় দেখতাম অনেকেই ঘুড়ি উড়াতো,কিন্তু এখন সেসব দেখাই যায় না। তবে ঘুড়ি উড়ালে এবং খেলাধুলা করলে শরীর ভালো থাকে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit