নমস্কার বন্ধুরা,
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ পথ হাঁটছে। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন চাহিদার অপূর্ণ ঘড়া নিয়ে তার হেঁটে চলা। চাহিদার ঘড়া কিছুতেই পূর্ণ হয় না, একটা ঘড়া ভরলে আরেকটা উঠে আসে। চাহিদারা অন্তহীন, এক চাহিদা পূরণ হলে আরেক চাহিদা কিছুদিনের মধ্যে জীবনে চলে আসে। তারপর সেটার দিকেই আবার ধেয়ে চলা। এ যেন এক অদ্ভুত চক্র এবং এই চক্র থেকে বাঁচতে পারে খুব কম মানুষই। এই ভাবনা নিয়েই এবারে প্রতাপাদিত্য রোড ত্রিকোণ পার্ক বারোয়ারি দুর্গা পূজা কমিটি থিম "অন্তহীন"।
বোধ বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই আমাদের চাহিদার আগমন শুরু। ভিন্ন ভিন্ন বয়সে এসে মানুষের ভিন্ন চাহিদা থাকে। যার একটার পূরণ হলে অন্য গুলো যেন অধরা থেকে যায়। প্রতাপাদিত্য রোড ত্রিকোণ পার্ক বারোয়ারি দুর্গা পূজা কমিটির মানুষের জীবনের সেই দিকটাকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। আমাদের জীবনের চাওয়া পাওয়া গুলোর মধ্যে কিছুটা আমরা পাই আবার কিছুটা অধরা থেকে যায় তা নিয়েই অন্তহীন ভাবে আমরা এগিয়ে চলছি, সেটাই পুরো মণ্ডপের কাজে ফুটে উঠেছে।
সুরুচি সংঘের ভিড় কাটিয়ে কোনমতে পৌঁছে গেলাম ত্রিকোণ পার্কের পুজোতে। আগেই কালীঘাটের এক দিকের পুজো শেষ করে আলিপুরের বড়ো পুজো ঘুরে নিয়েছি। তারপরে আবার সেই কালীঘাটে ফিরে এলাম, কালীঘাটের অন্য আরেক প্রান্তে যেখান থেকে দক্ষিণ কলকাতার বাকি পুজো গুলো ঘুরে নেবো। শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি রোড থেকে কিছুটা ভেতরে এগিয়ে যেতেই মন্ডপটা চোখে পড়লো। মন্ডপের মুখটা শুরু হয়েছে একটা সুরঙ্গ দিয়ে। যা দিয়েই মণ্ডপের ভেতরে ঢোকার পথ। তার সাথে মন্ডপের পাশ দিয়ে উঠে গেছে একটা সিঁড়ি যেটার শেষ নেই, অন্তহীন ভাবে উঠে চলে গেছে।
সুড়ঙ্গ দিয়ে মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করতেই গুহার সুরঙ্গের একদম শেষে এক মানুষের চলতে থাকার দৃশ্য ফুটে উঠলো। সেটা দেখে মণ্ডপের একদম ভিতরে ঢুকতেই বুঝতে পারলাম। পুরো কাজ খড় ও মাটি দিয়ে। মণ্ডপের উপর থেকে কিছু জলের পাইপ নেমে এসেছে যার একদম শেষে রাখা আছে মাটির ঘড়া। যেটা কখন পূর্ণ হচ্ছে না।
মণ্ডপের ঠিক মাঝে রয়েছেন জগৎজননী মা দুর্গার প্রতিমা। দুর্গতিনাশিনী মা দুর্গা এখানে স্নেহরূপে আছেন।
প্রতি বছরই প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে কলকাতার পুজোগুলো দেখি দাদা । সুরুচি সংঘে অনেক ভিড় হয় প্রতিবছরই। ত্রিকোণ পার্কের পুজোও প্রতিবছর আমি দেখি। তবে এইবার অসুস্থ থাকার জন্য কলকাতার পুজো গুলো দেখতে পাই নি। সবার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে, এইবার কলকাতার পুজো দেখা সম্পন্ন করেছি আর কি! সুড়ঙ্গ দিয়ে মণ্ডপের ভেতরে প্রবেশ করার ব্যাপার টি বেশ দারুন ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit