নমস্কার বন্ধুরা,
বাউলের গানে কখন যে সময়টা পেরিয়ে ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে গেছে সেটা বুঝতেও পারিনি। যখন বুঝতে পারলাম তখন বারবার নিজেকে দোষ দিতে থাকলাম। হাতে আর কয়েকটা ঘন্টা সময় নিয়ে এলে বইমেলার বাকি টুকু অংশ দেখে নেওয়া যেত আরকি। তাও বেরিয়ে পড়ার আগে আরো কয়েকটা প্রকাশনীতে ঢুকতেই হলো কারণ দুটো বইয়ের নাম মনে করে এসেছিলাম। যদিও অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও দুটো বইয়ের মধ্যে একটা মাত্র বই খুঁজে পেলাম। বইটি ধনঞ্জয় রায়ের লেখা বরেন্দ্রভূমি। হাতে সময় ছিল না তবুও বইয়ের প্রচ্ছদের কিছু অংশের ছবি তুলে নিলাম। যাতে কলেজ স্ট্রিটে গিয়ে বইটা খুব সহজেই খুঁজে পেয়ে যাই।
বই দেখে নিয়ে এগোতে থাকলাম। কলকাতা বইমেলার এই দিকটাতে বিভিন্ন বড় ছোট প্রকাশনী স্টল আছে কিন্তু কিছুর নাম জানি আর বেশিরভাগই অচেনা। যদি সেগুলো বাইরে থেকে দেখা ছাড়া উপায় নেই কারণ হাতে আর সময় নেই। শেষমেষ বইমেলার প্রায় চল্লিশ ভাগ অংশ ঘুরতেই পারলাম না। আসলে কলকাতা বইমেলা এতটাই বড় যে অন্তত সাত দিন পরপর এলে তাহলেই প্রত্যেকটা বইয়ের স্টল এবং বইমেলার প্রতিটা অংশ ভালোভাবে ঘুরে দেখা যাবে।
ভীড়ের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বইমেলার একদম শেষ প্রান্তে ছয় নাম্বার গেটের বেরোনোর মুখে চলে গেলাম তখন মনে ভালো-মন্দ মিশিয়ে সব ধরণের অনুভূতি কাজ করছিলো। কারণ একদিকে হাতে অল্প সময় নিয়ে এসে বইমেলার বেশ কিছুটা অংশ দেখতে পেরেছি কিন্তু আরেকদিকে হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকায় প্রায় ৪০ শতাংশ অংশ বাদ দিতে হয়েছে। মন খারাপ করেও কি হবে ভেবে আশপাশটা কিছুটা দেখে শেষবারের মতন আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা কে বিদায় জানিয়ে ৬ নাম্বার গেট দিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বইমেলার গা সংলগ্ন করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ড যেখান থেকে বাস ধরে ফিরে যাওয়া।
আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা অনন্য। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন ভাষার, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের, পশ্চিমবঙ্গের অগণিত প্রকাশনীর যেন এক মিলন স্থল। বইমেলা এক প্রকার অদ্ভুত পাওয়া। যদি সেদিন বন্ধুটি আমাকে বইমেলার আজই শেষ দিন না জানাতো তাহলে হয়তো এ বছরের মতন বইমেলা দেখাই হতো না। তবুও সব কিছুর মাঝে মনে কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেল। কারণ বইমেলার খাবার গুলো এক্সপ্লোর করতে পারলাম না। সাথে বইমেলার আরো দুটো দিক। একটা দিক যেখানে সবাই মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আড্ডা দেয় আর আরেকটা দিক হলো লিটিল ম্যাগাজিনের বৃহৎ প্যাভিলিয়ন।
মিশ্র অনুভূতি নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় স্থির করলাম যেগুলো এ বছর সময়ভাবে বাদ দিতে হলো আগামী বছরে আগে এসেই এই অংশগুলো ভালোভাবে ঘুরে নেবো।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
দাদা নমস্কার
সত্যিই ঠিক বলেছেন দাদা পশ্চিমবঙ্গের অগণিত প্রকাশনীর যেন এক মিলন স্থল কলকাতার বইমেলা ৷ গত পর্বে দেখেছিলাম বাউল গান ৷ সবমিলে ভালো লাগছে পোষ্ট গুলেো পড়তে ৷ পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা দাদা ৷ ভালো থাকবেন ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আর সময় ছিলো না। এটাই অন্তিম পর্ব ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাউল গান সত্যিই মনকে ভরিয়ে দেয়। ধনঞ্জয় রায়ের লেখা বরেন্দ্রভূমি বইটি ইতিহাস সম্পর্কিত মনে হচ্ছে।এত এত বইয়ের স্টল ঘুরে শেষ করা অসম্ভব।তবুও আজ শেষ করে দিলেন আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২৩ পর্ব দাদা ।অনেক মানুষের ভিড়ে মেলাটি জাকজমকপূর্ন হয়ে ওঠে।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ। বরেন্দ্রভূম নিয়েই বইটা। বরেন্দ্রভূম নিয়ে আরো বই পড়ার ইচ্ছে আছে। বই পাড়ায় গেলে পাবো নিশ্চই। মেলায় লোকে লোকারণ্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরও কয়েকটা ঘণ্টা হাতে নিয়ে গেলে বিশাল এই বই মেলাটির বাকি অংশ টুকুও দেখতে পেতেন। দুটো বইয়ের মধ্যে একটি বই খুঁজে পেয়েছেন জেনে খারাপ লাগলো। ঠিকই বলেছেন কলকাতা বইমেলা এতো বড়ো যে একদিনে সব স্টল গুলোতে ঘুরে দেখা অসম্ভব। আমি তো একবার গেছিলাম। আমার তো মাথা ঘুরছিল গিয়ে ভিড় দেখে আর এতো গুলো গলি দেখে, কোনটাই যে আগে যাবো বুঝতেই পারছিলাম না। একদমই তাই করবেন যে ৪০% এই বছর বাদ গেছে সামনের বছর গিয়ে সেইগুলো আগে দেখে নেবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
৪০০ র উপরে বইয়ের স্টল। যত গুলো পেরেছি তাতেই জীবন প্রায় ওষ্ঠাগত। পরের বার শেষ থেকে শুরু করবো তাহলে শেষ হবে মনে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হা হা হা। তাই করবেন। আমার তো একবার গিয়েই কাজ হয়ে গেছে আর যাবো না বাবা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit