নমস্কার বন্ধুরা,
শিবতলী ক্লাব থেকে এরপর এগিয়ে গেলাম আমার পরের গন্তব্যে, যেটা ছিলো ত্রিধারা ক্লাবে। ঐতিহ্যবাহী এই পুজো কমিটি প্রতিবছরই প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে তাদের পুজো সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে। এবছরেও তার ভিন্নতা হয়নি, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই পুরো পুজো মন্ডপ গড়ে তুলেছেন তারা। মূলত ক্লাবের নিজস্ব মঞ্চটিকে ঘিরেই প্রতিবছর দুর্গা মণ্ডপ বানানো হয় এবারেও তাদের মন্ডপটি সেখানে বানানো হয়েছে। শহরের অন্য প্রান্তে হওয়ার জন্য এখানে তুলনামূলক লোকের ভিড় একটু কমই হয়। তবে যেহেতু পুজোর থিম প্রতি বছরই খুব ভালো হয়ে থাকে সেজন্য কিছুটা শীতের উপেক্ষা করেই ক্লাবের সামনে উপস্থিত হলাম।
কয়েক বছর আগে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ পালন করে এবছর ৫৮ তম বর্ষে পদার্পণ করা এই পুজো কমিটির থিম "মাটির সুতা"। তারা প্রতিবছর নানান প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে পুজোর ভাবনা ফুটিয়ে তোলেন। এবারে সেই উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মাটি ও পাটের সুতো। যা দিয়েই করা হয়েছে মন্ডপ বাইরের সজ্জা এবং অন্দরের সজ্জা। হাঁটতে হাটতে যখন ত্রিধারা ক্লাবে পৌঁছে গেলাম তখন পুজো মন্ডপের বাইরের দিকটা একটু যেন ফাঁকা লাগলো। মণ্ডপের ভেতরে গিয়ে ভুলটা ভাঙলো। আসলে মানুষজন ঠান্ডার কারণে মণ্ডপের ভেতরেই ভীড় জমিয়ে রেখেছেন। যেটা বাইরে থেকে একটুও বোঝার উপায় নেই।
মন্ডপের বাইরে মূলত চটের উপরে মাটির প্রলেপ দিয়ে করা হয়েছে। তার উপরেই রঙের ব্যবহার পুরো জিনিস সুন্দর রূপে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছে। মন্ডপের ভেতরে ঢুকতেই পেলাম এক বিশাল আকৃতির চট এবং মাটির দিয়ে তৈরী ধ্যান রত মুখাকৃতি। ভালোভাবে লক্ষ্য করে বুঝলাম ভগবান শিবের ধ্যানমগ্ন মুখাকৃতি মন্ডপের ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। মন্ডপের অন্দরের সজ্জা পুরোপুরি হয়েছে পাটের সুতো এবং চটের মাটির অল্প আস্তরণ ব্যবহার করে। তার উপরে আলো আঁধারিতে এমন ভাবে মন্ডপের ভেতরের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিলো যেটা মন্ডপের ভেতরে আবহ এক প্রাচীন গুহার মতোই করে দিয়েছিল।
ধ্যানমগ্ন শিবের মুখাকৃতির পেছনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন স্বয়ং জগৎ জননী মা দুর্গা। প্রতিবারের মতোই এবারেও ত্রিধারা ক্লাবের দেবী প্রতিমা বনেদিয়ানা ধাঁচের উপরেই তৈরি করা হয়েছে। প্রতিমাতে ডাকের কাজের পরিবর্তে সোনালী জরি ব্যবহার হয়েছে।
ত্রিধারা ক্লাবের মাটির সুতার থিমটি বেশ দারুন লেগেছে দাদা। এবারে এই ক্লাবের ৫৮ তম বর্ষের পূজা বেশ জাঁকজমকপূর্ণ করেছে দেখছি। পূজার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে দাদা। আমার ইচ্ছা আছে ভারতে গিয়ে এরকম থিম পূজা দেখার। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছেও দারুন লেগেছে ত্রিধারা ক্লাবের পরিবেশন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ্! ত্রিধারা ক্লাবের থিমটা তো দারুণ হয়েছে দাদা। থিমের সাথে তাদের আয়োজন একেবারে পারফেক্ট হয়েছে। মাটি ও পাটের সুতা দিয়ে কতো চমৎকারভাবে সবকিছু তৈরি করেছে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ উপভোগ করলাম দাদা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুরোটাই পরিবেশ বান্ধব জিনিস দিয়ে বানানো। সেটা আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ত্রিধারা ক্লাবের "মাটির সুতা" থিমটা কিন্তু আসলেই অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে দাদা। এবার তারা ৫৮ তম বর্ষের পুজো বেশ ভালোভাবেই করেছে যা দেখছি। তবে বাইরে থেকে ভেতরের চাকচিক্য আরো অনেক বেশি ভালো লাগছে। বিশেষ করে মায়ের মুখটা দেখে মনটা জুড়িয়ে গেল দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছেও মাটির সুতা কনসেপ্ট টা বেশ লেগেছে। বিশেষ করে ওদের ম্যাটেরিয়াল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দাদা, ঠিক বলেছো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit