নমস্কার,
দুদিন আগে হুট করেই ঠিক হলো মঙ্গলবার রাতের ট্রেনে বাড়ি যেতে হবে, মাঝে ট্রেনের টিকিট কাটার সুযোগ পেলেও, সিট অনিশ্চয়তায় কারণে টিকিট কাটিনি। সোমবার তাই ঘুম থেকে উঠেই ট্রেনের তৎকাল টিকিট কাটার জন্য বসে পড়লাম। হাতের কেরামতিতে সঠিক সময়ে তিনজনের টিকিট পেয়ে গেলাম, ভাবলাম একটু শান্তি! তখনই মনে হলো বাড়ি তো যাচ্ছি কয়েক দিনের জন্য তাহলে তো বেশ কয়েকদিন ছুটি নিতে হবে, আজ আর কালকের মধ্যে ক্লায়েন্টদের সমস্ত কাজ এগিয়ে রাখতে হবে। নাকে মুখে দিয়ে কাজে চলে গেলাম। গিয়ে কি কাজ করলাম সেসব বলে আজ আর বিরক্ত করবো না।
বড়ো বাজারের কাজ সেরে হাওড়া ব্রিজ ধরে পরের গন্তব্য। যেতে হবে হাওড়ার ঘুসুরি। প্রায় বছর খানেক পরে হাওড়ায় এলাম। আগে যাতায়াত করার জন্য হাওড়া স্টেশনের ব্যবহারই বেশি করতাম। করোনার পরে সেটা খুবই কমে গেছে। কলকাতার ঐতিহ্য ধরেই কলকাতা পেরিয়ে হাওড়ায় ঢুকলাম।
স্কুটারে হলেও বেশ খানিকটা সময় লেগে গেলো পৌঁছাতে। জীবনে প্রথমবারের জন্য জাহাজের ওয়ার্কসপে। এতো কাছ থেকে প্রথম জাহাজ দেখা। ঢুকেই যেটা চোখে পড়লো তা হলো চারিদিকে প্রচুর জাহাজের পার্টস এর সারাইয়ের কাজ। ওয়েল্ডিং চলছে।
ওয়ার্কসপের চারপাশটা ঘোরার আগে আমার আসল কাজটা চট করে সেরে নিলাম। গত ৪-৫ বছরের অনেক ভুলভ্রান্তি অবশেষে মেটানো গেলো। কাজ সেরেই সোজা চললাম জাহাজের দিকে। যেসব জাহাজ গঙ্গায় ভাসছে, সবই মালবাহী। মেরামতের কাজ চলছিল।
জাহাজের পাশ দিয়ে অল্প একটু হাওড়া ব্রিজের ঝলক পেতেই সোজা দৌড়ে গেলাম জাহাজের পেছনের দিকটায়। আহা। অতুলনীয়। পড়ন্ত বিকেলে হাওড়া ব্রিজ। অসাধারণ লাগছিলো। করোনার আগে বছরে চার পাঁচ বার হাওড়া ব্রিজ দেখতাম, তবে এতোটা সুন্দর আগে কখনো দেখিনি। বেশ কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে দেখলাম। অপরূপ।
যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে ছবি দেখছিলাম সেখানে দুজন ডকের কর্মী গঙ্গার মাছ ধরছিল।
ধীরে ধীরে শীত আসছে তাই যেন টুক করেই সন্ধ্যা নেমে এলো। আমাদের চোখের সামনেই অন্ধকার হয়ে গেলো।আমরাও স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
বিঃদ্রঃ - কিছু বিশেষ কারণে ওয়ার্কশপের অবস্থান দেওয়া গেলো না। দুঃখিত।
জাহাজের পেছনের দিকটা দেখতে এতো সুন্দর!
আমি জাস্ট অনেকক্ষণ তাকিয়েই থাকলাম ছবিটার দিকে।
এই ট্যাংরা মাছটা কখনোই খাওয়া হয়না আমাদের কেনো যেনো!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এইটা আবার গাঙ্গেয় ট্যাংরা। কেমন খেতে আমিও জানি না। তোমাদের না খাওয়ার কারণ?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাওড়া ব্রিজ ও গঙ্গার ট্যাংরা মাছ দেখে মন জুড়িয়ে গেল।আর আপনার উপস্থাপনাটি খুব সুন্দর হয়েছে ।ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাওড়া ব্রিজ তো দেখতে ভালোই তবে দূর থেকে আরো সুন্দর লাগছিলো। ধন্যবাদ আমার পোস্ট পড়ার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit