কলকাতা ফিরে এলাম

in hive-129948 •  last month 

নমস্কার বন্ধুরা,

পুজোর ছুটির সমাপ্তি। সেই সাথে কলকাতা ফেরার ঘন্টা। আসলে ছুটি আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে তবে বাড়ির কিছু কাজ থাকার জন্য কদিন থেকে গিয়েছিলাম। সেই সাথে বাড়ির লক্ষ্মী পুজোটাও ছিল, সেটা কাটিয়ে আসবো আগে থেকেই ঠিক করা ছিলো। যাওয়ার টিকিটটা তৎকাল করে যাই কিন্তু ফেরার টিকিটটা বাড়ি পৌঁছেই এক সপ্তাহ আগেই কেটে রাখি। ছুটি কাটিয়ে ফের কাজে ফিরতে হবে, তবে কলকাতা ফেরা সব সময় বেশ ধকলের হয় তাই একদিন আগেই পৌঁছে যাওয়া মূল লক্ষ্য ছিলো। টিকিট না পাওয়াটা আরেকটা বিষয় অবশ্যই, হাঃ হাঃ। বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেনে টিকিট নেই এবং শনিবার তাতেও সেই এক রকম অবস্থা। মাঝে শুধু শুক্রবারে কিছু টিকিট পড়েছিল, তাই ফেরা শুক্রবারে।

1000045490.jpg

জেলার দিকে এখন সকাল সন্ধ্যা বেশ ভালোই শীত পড়ছে। বেশ কিছুদিন হলো ফ্যানের প্রয়োজন নেই বললেই চলে। সকালবেলা হলে কুয়াশা দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু বিগত সাত দিনে আমার একদিনও ঘুম ভাঙ্গেনি সেই জন্য শীতের প্রথম কুয়াশা চাক্ষুষ করতে পারলাম না। তবে সন্ধ্যাবেলায় যখন স্টেশন আসছিলাম সেই সময়ে আশপাশে হালকা কুয়াশার পরত নজরে আসছিল। আর শিরশিরে ঠাণ্ডা বাতাস। আহা! শীত আসন্ন।

1000045491.jpg

আমাদের জেলার সদর শহরের স্টেশনে আসছি এবং প্রতিবার নতুন কিছু দেখছি। বিগত সেপ্টেম্বর মাসে যখন কলকাতা ফিরছিলাম তখন কার শেড তৈরি হচ্ছিল এবার গিয়ে লক্ষ্য করলাম পুরো শেড টাই তৈরি হয়ে গিয়েছে। কাজ যে কি পরিমানে এগিয়ে চলেছে সেটা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। পাশাপাশি লোকোমোটিভ তেলের স্টোরেজ বানানোর কাজ জোর কদমে চলছে। গ্রামের দিক তাই বেশ কিছুটা আগেই স্টেশন পৌঁছে যেতে হয়, পৌঁছে রীতিমতো মুদ্ধ হলাম। ট্রেন ছাড়ার বেশ খানিকটা সময় আগে পৌঁছে যাওয়ার জন্য সেই ফাঁকে আমার বাংলা ব্লগের বেশ কিছু কাজ সেরে নিলাম। কাজ শেষ হওয়ার কিছু পরে যথা সময়ে ট্রেন ছেড়ে দিল। লক্ষ্মী পুজোর একদম পরদিন হওয়ার জন্য ট্রেনে ভালো ভিড় ছিল। ট্রেন ধীরে ধীরে স্টেশন থেকে পেরিয়ে রাতের অন্ধকার মিশে গেল। ট্রেনের অল্প আলোয় রাতের কুয়াশা নজরে আসছিল।

1000045492.jpg

যাত্রীদের নামা ওঠায় ঘুম বারবার ভেঙে যাচ্ছিল। সেভাবেই কোনরকম রাত কাটলো। খুব ভোরে একবার ঘুম ভাঙলে দেখি হাওড়া স্টেশন ঢোকার সঠিক সময়ের ১:১৫ ঘণ্টা আগে ট্রেন হাওড়া স্টেশনের কিছুটা বাইরে দাড়িয়ে আছে। ভাবলাম স্টেশন ঢুকতে ঘন্টাখানেক সময় লাগবে আরেকটু ঘুমিয়ে নিই। ওমা! চোখ লেগেছে। মিনিট দশেক পরে সহযাত্রীদের আওয়াজ পেয়ে দেখি হাওড়া স্টেশন পৌঁছে গিয়েছি। হাত ঘড়িতে তখন পাঁচটা বেজে পঁচিশ মিনিট। অর্থাৎ ট্রেন ১ ঘন্টা আগেই পৌঁছে গেছে। ধীরে সুস্থে ব্যাগপত্র গুছিয়ে নেমে পড়লাম। ভ্যাপসা গরম আমাকে স্বাগত জানালো। হাঃ হাঃ।

1000045489.jpg



"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা

"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা


X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #SunPump $PUSS




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাবা। এইতো আমি প্রথম শুনলাম আপনার পোস্টে। যে হাওড়ায় ট্রেন এক ঘণ্টা আগে ঢুকছে। ভারতীয় রেলের যে অবস্থা, তাতে এই ঘটনা বেশ চমকপ্রদ। তবে আপনি সাত দিনের একটা ভালো ছুটি কাটিয়ে এলেন। আবার কর্মজীবনে ফেরা। পুজো মিটে গেলে এই সময়টা সকলের কাছেই বেশ বিষাদের।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

ট্রেন আগেও ঢোকে। ভাবা যায়! আমার সাথেও যদি কখনও এমন হত ধন্য হয়ে যেতাম। হা হা আপনার জার্নি সুস্থ ভাবে হয়েছে এটাই বড় ব্যপার ভাই৷ তবে ট্রেনে রাত কাটাতে বেশ লাগে৷ বাড়ি থেকে চলে আসার কথা শুনে মনে হত কত মাস হল বাড়ি যাইনি৷

কলকাতার সাথে আপনাদের ওখানকার দারুণ পার্থক্য। আপনাদের ওখানে ইতিমধ্যেই শীত পড়ে গিয়েছে, কিন্তু কলকাতায় এখনও পুরোপুরি গরম। আমাদের ঢাকায়ও পুরোপুরি গরম। একেবারে ফুল স্পিডে ফ্যান অন করতে হয়। যাইহোক পূজার ছুটি শেষ করে ঠিকমতো কলকাতায় পৌঁছাতে পেরেছেন,জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বেশ অনেকদিন ধরে আপনার ট্রেন জার্নির পোস্ট পড়ি। বেশ ভালোই লাগে। আমাদের এখানে তো উৎসবের সময় কোন দিনই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। সেদিক থেকে আপনাদের ওখানে বেশ ভালো। শীতের একটা আমেজ বুঝতে পারছি। আপনার পোস্টে পড়ে আরেকটু বোধগম্য হলো শীত তাহলে সত্যি চলে এসেছে।