দুর্গাপুর ব্যারাজ

in hive-129948 •  last year 

নমস্কার বন্ধুরা,

দুর্গাপুরে থাকাকালীন অল্প সময় পেতেই আবারও বেরিয়ে পড়লাম শহরটাকে ঘুরে দেখবার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিধানচন্দ্র রায়ের পরিকল্পনায় বানানো লৌহ ইস্পাত নগরী দুর্গাপুর জনবসতি নতুন তাই শহরের বেশিরভাগ জায়গা বেশ সাজানো-গোছানো। আর যেহেতু শহরটা অনেকটাই নতুন তাই ঘুরে দেখবার মতন জায়গাও খুব কম। আগের দিন গিয়েছিলাম ভগবান শ্রী রাম চন্দ্র মন্দিরের অঞ্চলটায় সেদিনই ঠিক করেছিলাম সময় পেলে দামোদর নদের উপরে অবস্থিত দুর্গাপুর ব্যারেজটাও দেখে আসবো। রবিবারের বিকেলে সময় পেতেই তাই বেরিয়ে পড়লাম।

১৯৫৫ সালে চালু হওয়া দুর্গাপুর ব্যারেজটি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। মূলত দুটো দিক চিন্তা ভাবনা করে তিনি দুর্গাপুর ব্যারেজের বানিয়েছিলেন। পশ্চিম বর্ধমান (তৎকালীন বর্ধমান) ও বাঁকুড়া জেলায় কৃষি জমিতে চাষবাসের জল দামোদর নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। যা দুর্গাপুর ব্যারেজের কাছেই অবস্থিত। তাই এই ব্যারেজের প্রয়োজনীয়তা বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষকদের কাছে অপরিসীম।

দুপুর নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম দুর্গাপুর ব্যারেজের উদ্দেশ্যে। দুর্গাপুরের বিধাননগরের থেকে প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুর ব্যারেজটি অবস্থিত তাই প্রথমে দুর্গাপুর বাস স্ট্যান্ড গিয়ে সেখান থেকে টোটো ধরে চলে গেলাম দুর্গাপুর ব্যারেজে। দুর্গাপুর ব্যারেজের মুখেই নেমে পড়লাম যেখানে ছিলো ব্যারেজ পার্ক। পার্কের গেট খোলাই ছিল দেখে সেখান থেকেই ঢুকে পড়লাম। পার্কে ঢুকেই পার্কে অবস্থিত এক শ্রী বিষ্ণু মন্দির নজরে এলো।

PXL_20230409_170401247_copy_1209x907.jpg

PXL_20230409_170512154_copy_1209x907.jpg

মন্দির থেকে উল্টো দিকে এগোতেই নজরে এলো শুকনো দুর্গাপুর নদ। প্রথমে শুকনো দুর্গাপুর নদ দেখে অনেকটাই অস্বাভাবিক লাগলো কিন্তু কাছাকাছি যেতে বুঝতে পারলাম যে দুর্গাপুর ব্যারেজ টি বন্ধ রাখার জন্য এরকম অবস্থা। আসলে দুর্গাপুর ব্যারেজের কাজ চলছে। সেজন্যই দুর্গাপুর ব্যারেজটি বন্ধ ফলে দুর্গাপুরের দামোদর নদের জল তলানিতে।

PXL_20230409_170818578_copy_1209x907.jpg

PXL_20230409_170837296_copy_1209x907.jpg

জল না থাকার সৌজন্যে কাছ থেকে দামোদর নদ দেখব বলে পাশে এক সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে পড়লাম বালির মধ্যে। বালির মধ্যে নেমেই দামোদর নদের আসল বিস্তৃতি বুঝতে পারলাম। প্রচন্ড গরম বালির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না তাই উপরে উঠে এলাম তবে উঠে আসার আগে দুর্গাপুরের ব্যারেজের কিছু ছবি তুলে নিলাম।

PXL_20230409_171019059_copy_1209x907.jpg

PXL_20230409_170930049_copy_1209x907.jpg




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness


Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

|| Join HEROISM ||

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা নমস্কার
দুর্গাপুর নিয়ে মনে গত পোষ্টে ও দেখেছিলাম ৷ ভাল লাগলো মন্দির টি দেখে ৷ তবে দাদা কি মন্দির সেটা জানতে পারলাম না ৷ এছাড়াও দামোদর নদ বেশ বড় আর চড় পড়েছে ৷ ভালো লাগলো দাদা পোষ্ট টি দেখে ও পড়ে ৷

ভগবান বিষ্ণুর মন্দির ভাই।

আপনি যেখানে ছিলেন সেখান থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজ টি ১০ কিলোমিটার দূরে।তাই অনেকটা পথ অতিক্রম করে আপনাকে সেখানে যেতে হয়েছিল।সেখানে গিয়ে পার্কে আগে ঢুকলেন।ব্যারাজের কাজ চলাই বন্ধ ছিল।অবশেষে দমোদর নদ দেখতে গেলেন বালির মধ্যে দিয়ে হেঁটে।যেহেতু গরম বালি ছিল,তাই বেশিক্ষণ থাকতে না পেরে চলে এসেছিলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

বালি বেশ ভালোই গরম ছিলো।

কোন একটা ক্লাসে বইয়ের পাতায় পড়েছিলাম দুর্গাপুর কে ইস্পাত নগরী বলা হয় ।আর আজ তার কিছু ফটোগ্রাফিও আপনার মাধ্যমে দেখার সুযোগ পেলাম। আপনার পোস্টটি পড়ে দুর্গাপুর ব্যারেজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেও পারলাম এত কিছু আমার জানা ছিল না। তার সাথে শ্রীবিষ্ণু মন্দিরটিও দেখার সুযোগ হয়ে গেল।

8 কিংবা 9 এর ভূগোল বইতে। আমার ঠিক মনে নেই।

আমারও ঠিক মনে নেই।

দুর্গাপুর ব্যারাজ দ্বারা কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে এটা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আমার। ব্যারেজ পার্কের পরিবেশটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বিশেষ করে মন্দিরটি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দুর্গাপুর ব্যারেজের কাজ শেষ হয়ে গেলে নদীটি অবশ্যই আরো বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় দাদা।

কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছিলো।

দুর্গাপুর ব্যারাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম।আসলে গরমের সময় বালি দ্রুত সূর্যের তাপ শুষে নিয়ে গরম হয়ে যায়।তাছাড়া মন্দিরটি বেশ পুরোনো বলে মনে হচ্ছে কিন্তু বেশ সুন্দর প্রকৃতির মাঝে।ধন্যবাদ দাদা।

আরো কিছু লেখার ছিলো তবে তখন মাথায় ছিলো না।